• যোগাযোগ
শনিবার, মে ১০, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

বিদুৎ প্রকল্পের নামে চলছে রাষ্ট্রীয় অর্থ হরিলুট!

মে ১৯, ২০১৯
in Home Post, slide, বিশেষ অ্যানালাইসিস
Share on FacebookShare on Twitter

অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক

শুধু রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটপাটের জন্যই যে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় কথিত উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হচ্ছে তা এখন আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে। আর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যেসব প্রকল্প নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলোতে চলছে হরিলুট। এর মধ্যে অন্যতম হলো দেশের মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের দুর্নীতির মহোৎসবের তথ্য ফাঁস হয়েছে। এ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মিত গ্রিনসিটিতে আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ের নাম করে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে।

দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আসবাবপত্র ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র কেনা ও ফ্ল্যাটে তুলতে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য নির্মিত ভবনে ওয়াশিং মেশিনসহ অন্তত ৫০টি পণ্য ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ক্রয়মূল্যের প্রায় অর্ধেক, কোনো কোনোটিতে ৭৫ শতাংশ।

আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হলো- এক কেজির মতো ওজনের একটি বৈদ্যুতিক কেটলি নিচ থেকে ফ্ল্যাটে তুলতে খরচ হয়েছে প্রায় তিন হাজার টাকা। জামা-কাপড় ইস্ত্রি করার কাজে ব্যবহৃত প্রতিটি ইলেক্ট্রিক আয়রন ওপরে তুলতেও খরচ হয়েছে প্রায় সমপরিমাণ টাকা।

প্রায় আট হাজার টাকা করে কেনা প্রতিটি বৈদ্যুতিক চুলা ফ্ল্যাটে পৌঁছে দিতে খরচ দেখানো হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার টাকার বেশি। প্রতিটি শোবার বালিশ ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে প্রায় এক হাজার টাকা করে। আর একেকটি ওয়াশিং মেশিন ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৩০ হাজার টাকারও বেশি।

কেবল ভবনে ওঠানোর ক্ষেত্রেই নয়, আসবাবপত্র কেনার ক্ষেত্রেও অস্বাভাবিক অর্থ ব্যয় দেখানো হয়েছে। ২০ তলা ওই ভবনটির প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য প্রতিটি বালিশ কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা করে, ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা করে কেনা প্রতিটি রেফ্রিজারেটর ওপরে ওঠাতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ৫২১ টাকা। একেকটি ওয়াশিং মেশিন কেনা হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা দরে, ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৩০ হাজার ৪১৯ টাকা করে। একেকটি ড্রেসিং টেবিল কেনা হয়েছে ২১ হাজার ২১৫ টাকায়, আর ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৮ হাজার ৯১০ টাকা করে। এছাড়া রুম পরিষ্কার করার মেশিন কিনতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ১৮ টাকা, ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ছয় হাজার ৬৫০ টাকা।

প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য ৪৩ হাজার ৩৫৭ টাকা দরে ১১০টি খাট কিনতে খরচ হয়েছে ৪৭ লাখ ৫৯ হাজার ২৭০ টাকা। খাটগুলোর প্রত্যেকটি ফ্ল্যাটে নিতে খরচ দেখানো হয়েছে ১০ হাজার ৭৭৩ টাকা করে। একেকটি সোফা কেনা হয়েছে ৭৪ হাজার ৫০৯ টাকায়, ভবনে ওঠাতে খরচ হয়েছে ২৪ হাজার ২৪৪ টাকা করে। ১৪ হাজার ৫৬১ টাকা দরে কেনা সেন্টার টেবিলের প্রত্যেকটি ভবনে তুলতে লেগেছে ২ হাজার ৪৮৯ টাকা।

ছয়টি চেয়ারসহ ডাইনিং টেবিলের একেকটি সেট কেনা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭৪ টাকায়, ভবনে তুলতে লেগেছে ২১ হাজার ৩৭৫ টাকা করে। ৫৯ হাজার ৮৫৮ টাকা দরে ওয়ারড্রব কিনে ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১৭ হাজার ৪৯৯ টাকা করে। ৩৬ হাজার ৫৭ টাকা দরে ৩৩০টি মেট্রেস ও তোশক কেনা হয়েছে মোট এক কোটি ১৯ লাখ টাকায়, যার প্রতিটি ভবনে ওঠাতে খরচ করা হয়েছে সাত হাজার ৭৫২ টাকা করে।

আরও জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় একজন গাড়িচালকের বেতন ধরা হয়েছে ৭৩ হাজার ৭০৮ টাকা, যা একজন সচিবের বেতনের সমান। বর্তমানে সচিবের বেতন ৭৮ হাজার টাকা। অন্যদিকে রাঁধুনি আর মালির বেতন ধরা হয়েছে ৬৩ হাজার ৭০৮ টাকা। এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের বেতন ধরা হয়েছে সর্বসাকুল্যে ৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। যা প্রধানমন্ত্রীর সম্মানীর ছয়গুণেরও বেশি। প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালকের মাসিক বেতন মোট ৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। যা প্রধানমন্ত্রীর সম্মানীর প্রায় পাঁচগুণ। কোনো কিছু তোয়াক্কা না করে দেশের টাকা এভাবেই হরিলুট করা হচ্ছে রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব দুর্নীতি-লুটপাটের সঙ্গে সরকারের উচ্চপর্যায়ের লোকজন জড়িত। এই দুর্নীতির টাকার বড় একটি অংশ এসেছে তাদের পকেটে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এগুলোতো হলো খুচরা দুর্নীতি। সরকার এখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে। যেগুলো প্রকাশিত হয়নি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের এই লুটপাটের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিশেষজ্ঞমহলসহ সাধারণ মানুষ বিস্মিত হয়েছেন। সবার প্রশ্ন একটিই- বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে এসব কি হচ্ছে? মেগা প্রকল্পের নামে যে সরকার মেগা দুর্নীতি করছে এটাই প্রমাণ।

সম্পর্কিত সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে
Home Post

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য
Home Post

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক
Home Post

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫

জনপ্রিয় সংবাদ

  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • একজন বীর শহীদ তিতুমীর: মুসলিম জাতির প্রেরণা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রক্তাক্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বিচার গণহত্যার দিন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির যত মামলা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ইসলামী সংস্কৃতি ও আধুনিক সংস্কৃতি

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫
ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

মার্চ ১৯, ২০২৫
কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

মার্চ ১৬, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD