• যোগাযোগ
শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

বাংলাদেশে নেপথ্যের রাজনীতি: আগাম নির্বাচন হচ্ছে না

এপ্রিল ২০, ২০১৭
in Home Post, রাজনীতি
Share on FacebookShare on Twitter

ফারাহ মাসুম

বাংলাদেশের স্থবির হয়ে থাকা রাজনীতির নেপথ্যে নানা ধরনের তৎপরতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পরবর্তি নির্বাচনে সব দলকে নিয়ে এসে বর্তমান সরকারের সময় নেয়া বিভিন্ন আলোচিত চুক্তি ও সমঝোতায় জাতীয় গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার ও বিরোধি পক্ষের সামনে একাধিক প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সব পক্ষের মধ্যে গ্রহণযোগ্য একটি ফর্মুলা বের হলে নির্বাচনের আয়োজন সচ্ছন্দ হতে পারে। তবে ২০১৯ সালের প্রথমার্ধে বর্তমান সরকারের স্বাভাবিক মেয়াদ পূর্ণ হবার এক বা দেড় বছর আগে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে যে জল্পনা চলে আসছিল সেটি সম্ভবত আর হচ্ছে না। ২০১৯ সালের স্বাভাবিক সময়েই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দিল্লি সফরের সময় নিশ্চিত হবার মত আশ্বাস পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশের সব দল বিশেষত বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য চতুর্মুখি তৎপরতা শুরু হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনে বেশকিছু মামলা থেকে খালেদা জিয়ার অব্যাহতি পাবার ক্ষেত্রে কোন বাধা তৈরি করা হয়নি। লন্ডন এবং অন্য দেশে থাকা বিএনপির প্রভাবশালী কয়েক নেতার মাধ্যমে এই দলকে নির্বাচনে নিয়ে যাবার জন্য কাজ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বিগত সরকারের দুই মেয়াদে যে সব চুক্তি ও সমঝোতাপত্র ভারতের সাথে সই করা হয়েছে তা অব্যাহত রাখা হলে পরবর্র্তী নির্বাচনে বিএনপির জনরায়ে ক্ষমতায় যাবার পথে কোন বাধা তৈরি করা হবে না। এ ব্যাপারে প্রতিবেশি দেশের এজেন্সির সাথে বিএনপির যে সব নেতার অতীতে যোগাযোগ ছিল সেসব কন্টাক্ট নতুন করে সক্রিয় করা হয়েছে।

গত দশ বছরে প্রতিবেশি ভারতের সাথে সম্পর্ক সুদৃঢ করার অগ্রগতি হয়েছে এমন বিষয়ের মধ্যে চারটি ক্ষেত্রকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রথমত, ভারত বিরোধি বিচ্ছিন্নতাবাদী কোন শক্তি বাংলাদেশ ভুখণ্ড থেকে কোন ধরনের সমর্থন বা ইন্ধন পাবে না। দ্বিতীয়ত, ভারতের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিকভাবে যেসব কানেকটিভিটির প্রক্রিয়া, চুক্তি বা সমঝোতা চলমান রয়েছে সেটাকে পরিণতিতে নিয়ে যাওয়া। তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ ও বিডিআর বিদ্রোহের মতো ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেসব সংবেদনশীল ইস্যু রয়েছে সেগুলোকে নিষ্পন্ন হিসাবে গণ্য করা এবং তা নিয়ে নতুন চাপ্টার না খোলা। চতুর্থত, প্রতিরক্ষা ও সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতার ক্ষেত্রে যে সব চুক্তি ও সমঝোতাপত্র সই হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা। এসব শর্তের বাইরে ভারত বিরোধি হিসাবে পরিচিত ইসলামী দলগুলোর সাথে নির্বাচনী কোন জোট না করার একটি শর্তের কথাও অনানুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে মর্মে জানা গেছে। বলা হচ্ছে, এসব বিষয়ে অঙ্গীকার করা হলে একটি অবাধ ও মুক্ত নির্বাচনের ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের সূত্র থেকেও এই আলোচনার চলার ব্যাপারে ইতিবাচক মন্তব্য করা হয়েছে।

সমঝোতা প্রস্তাবে অবশ্য এমন কোন আশ্বাস দেয়া হয়নি যাতে বিএনপির দাবি অনুসারে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা তার পদ থেকে সরে এসে অন্তবর্তী কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন দেবেন। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ক্ষমতা চর্চায় নিষ্ক্রীয় থাকার কথা বলা হয়েছে। বিরোধি পক্ষ অবশ্য শেখ হাসিনা তার পদ থেকে ইস্তফা না দিলেও একটি অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভার হাতে কর্তৃত্ব হস্তান্তরের কথা বলছে যারা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম তদারকি করবে।

শেষ পর্যন্ত বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য কতটা ছাড় দেয়া হবে তার পেছনে সরকার পক্ষের সম্মতির একটি বিষয় যুক্ত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী তিনি ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধ শত বার্ষিকী পালন করতে চান। এ আকাংক্ষার কথা সমঝোতার পেছনে যারা কাজ করছে তাদের জানানো হয়েছে। ২০১৭ সালের অনুকূল পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে আরো ৫ বছর মেয়াদে ক্ষমতায় যাবার বিষয়টি এটাকে সামনে রেখে সামনে আনা হয়েছিল। তবে এ মুহূর্তে মধ্যবর্র্তী নির্বাচনের কথা আর ভাবা হচ্ছে না। আর সরকারে নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব অন্য কারো হাতে ছেড়ে দিয়ে হাসিনার প্রেসিডেন্টের অভিভাবকের পদে চলে যাবার চিন্তাও আর করা হচ্ছে না। এই পদে এখন পরবর্তী ব্যক্তি হিসাবে সৈয়দ আশরাফের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। বিএনপির সাংগঠনিক বিশৃঙ্খল অবস্থাকে একটি প্রস্তুতি পর্যায়ে নিয়ে আসতে সময়ের প্রয়োজন বিবেচনা করে আগাম নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপিও বিশেষ জোর দিচ্ছে না ।

এ ধরনের একটি সমঝোতার কার্যকারিতার ব্যাপারে বিএনপি কতটা নিশ্চিন্ত এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সংশ্লিষ্ট একজন নেতা বলেছেন, নিশ্চিন্ত হবার কোন অবকাশ চূড়ান্তভাবে থাকে না। তবে বিএনপির সামনে বিকল্প আছে দুটি। হয়তো চূড়ান্ত পর্যায়ে এস্পার ওস্পার একটি আন্দোলন করা। আর দ্বিতীয়টি হলো বিশ্বাস করা যায় এমন বাইরের কোন সমঝোতায় যাওয়া। অতীতে আমেরিকান প্রভাবশালী কোন কোন পক্ষের সাথে কথা বলে আন্দোলনের কর্মসূচি নির্ধারণ করে কোন লাভ হয়নি একারণে যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের করণীয় শেষ পর্যন্ত খুব বেশিকিছু থাকে না। বৃহত্তর কিছু কৌশলগত স্বার্থের কারণে বাংলাদেশ ও চারপাশের কয়েকটি দেশে ভারতের স্বার্থ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র মেনে নিয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে আরেকটি নিয়ন্ত্রক প্রভাব সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে । সেটি হলো ইসরাইলের সাথে ভারতের অতি উচ্চ পর্যায়ের কৌশলগত সমঝোতাকে আন্তর্জাতিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজে লাগানো। ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র্রসহ পশ্চিমা প্রভাবশালী কয়েকটি দেশ কঠোর অবস্থান নিলে সেই পরিস্থিতিকে সামাল দেবার ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের পক্ষে ইসরাইলের লবি এবং ক্ষমতাকেও কাজে লাগিয়েছে।

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের উচ্চ পর্যায়ের একটি লবিও এক্ষেত্রে কাজ করেছে। নির্ভর করার মতো তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের সাথে উপসাগরীয় দেশগুলোর বর্তমান সমঝোতামূলক সম্পর্কের ব্যাপারে মধ্যপ্রাচ্যে এখন ব্যাপকতর হয়ে ওঠা প্রভাবকে কাজে লাগিয়েছে ইসরাইল। বাংলাদেশের সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে যোগদানের সিদ্ধান্ত এবং সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে ইতিবাচক সম্পর্কের পেছনে এ প্রভাব সক্রিয়।
এই বাস্তবতার বিষয়টি জানা থাকার কারণে হাসিনা কিছু বিষয়ে ছাড় পাবার জন্য কঠোর অবস্থান নিতে চাইলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে দিল্লির প্রভাবের বাইরে কিছু করতে চান না। এক্ষেত্রে চীনের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরালো করা ছাড়া নিরাপত্তা ও কৌশলগত ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপই নেননি। এবারের দিল্লি সফরের সময় দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরক্ষা চুক্তি না করার জন্য সময়ের যুক্তিটাই হাসিনা দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন আগামী মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর তিনি এই বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন। এখন প্রশ্ন হলো দিল্লি কার উপর আস্থা আনবে?

এসব কিছু বিবেচনা করে বিএনপির সাথে ভারতের নেপথ্য কোন সমঝোতা কতটা ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে তা নিয়ে দলটির ভেতরে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে। তবে ২০১৯ সালের নির্বাচনের সময় আসার আগে আরো অনেক পরিবর্তন দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনীতির নেপথ্য নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে গতানুগতিক ভারত চীন আমেরিকা রাশিয়ার বাইরে আরো অনেক শক্তি ক্রমেই সক্রিয় হয়ে উঠছে।

সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর

সম্পর্কিত সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে
Home Post

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য
Home Post

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক
Home Post

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • একজন বীর শহীদ তিতুমীর: মুসলিম জাতির প্রেরণা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রক্তাক্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বিচার গণহত্যার দিন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির যত মামলা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • সেঞ্চুরিয়ান মানিক ও জাবির সেই সময়ের ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫
ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

মার্চ ১৯, ২০২৫
কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

মার্চ ১৬, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD