• যোগাযোগ
শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

শেখ হাসিনার ১৫ মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নেয়ার নেপথ্যে

মে ১৩, ২০১৭
in Home Post, বিশেষ অ্যানালাইসিস, রাজনীতি
Share on FacebookShare on Twitter

অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে বলে দাবি করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা। যদিও দেশে আইনের শাসন নেই বলে দাবি করছেন দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা, আইনবিদ, বিশিষ্টজন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এমনকি প্রধান বিচারপতিও সেদিন বলেছেন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় তার বিরুদ্ধে মোট ১৫টি মামলা ছিলো। তবে কোনো মামলায় তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী পদের ক্ষমতা ব্যবহার করে অনুগত বিচারপতিদের দিয়ে তিনি সবগুলো মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নেন। বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মোট ৯টি মামলা করে। এরপর ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারীর পর মঈন-ফখরুদ্দিন সরকারের অনিয়মতান্ত্রিক সরকার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করে আরো ৬টি মামলা। ১৫টি মামলার ৬টি রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। আর হাইকোর্টের মাধ্যমে বাতিল করিয়ে নেয়া হয় ৯টি মামলা।

২০১০ সালের ৩ মার্চ থেকে শুরু করে ৩০ মে পর্যন্ত মাত্র তিন মাসেই ৯টি দুর্নীতি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ। সেই সময় এই দুটি বেঞ্চের একটি বেঞ্চের বিচারপতি ছিলেন বিচারপতি মো. শামসুল হুদা ও বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী এবং অপর বেঞ্চের বিচারপতি ছিলেন এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং বিচারপতি বোরহান উদ্দিন। এই দুই বেঞ্চের দুই সিনিয়র বিচারপতি ছিলেন শামসুল হুদা ও মানিক।

জানা গেছে, শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার মাত্র পাঁচ মাস আগে ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোপালগঞ্জের আওয়ামি লীগ নেতা মোহাম্মদ শামসুল হুদা এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী দুই বছর পর রাষ্ট্রপতি তাদের চাকরি স্থায়ী করতে পারেন আবার নাও পারেন। তাদের অস্থায়ী নিয়োগ দু’বছর হলে ২০০৩ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার তাদের স্থায়ী নিয়োগ স্থায়ী করেনি। এরপর ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে এই বিচারপতিদের ভাগ্য খুলে যায়। আদালতের একটি রায়ের দোহাই দিয়ে ২০০৯ সালের ২২ মার্চ তারা হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে পুনরায় স্থায়ী নিয়োগ পান। ফলে দেখা যায়, শেখ হাসিনার প্রতিও এই বিচারপতিদের কৃতজ্ঞতার শেষ ছিলোনা।

শেখ হাসিনার আমলে বিচারপতি হিসেবে পুনর্বহাল হওয়া এই দুই বিচারপতির একজন বিচারপতি শামসুল হুদার বেঞ্চে মাত্র তিনমাসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৫টি মামলা বাতিল করে দেয়া হয়। এই পাঁচটি মামলা হলো, ফ্রিগেট (যুদ্ধজাহাজ) ক্রয় দুর্নীতি মামলা, মেঘনা ঘাট বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুর্নীতি মামলা, নাইকো দুর্নীতি মামলা এবং ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুর্নীতি মামলা এবং বেপজায় পরামর্শক নিয়োগের মামলা। ঠিক একই সময়ে হাইকোর্টের অপর বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকও মাত্র তিন মাসের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির চারটি মামলা বাতিল করে দিয়েছিলেন। এই চারটি মামলা হলো, নভোথিয়েটার দুর্নীতি সংক্রান্ত তিনটি মামলা এবং মিগ যুদ্ধ বিমান ক্রয় দুর্নীতি মামলা।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার বিবরণ

বেপজায় পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি : রাষ্ট্রের ২ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬৮৮ টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগে ২০০১ সালের ১১ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন ব্যুরো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেছিলো। ২০১০ সালের ৩০ মে এই মালাটি বাতিল করে দেয় বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

ফ্রিগেট ক্রয় দুর্নীতি মামলা : দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে দক্ষিন কোরিয়া থেকে পুরাতন যুদ্ধজাহাজ ক্রয় করে রাষ্ট্রের ৪৪৭ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে ২০০২ সালের ৭ ই আগষ্ট শেখ হাসিনাসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছিলো দুর্নীতি দমন ব্যুরো। ২০১০ সালের ১৮ মে হাইকোর্টে এই মামলাটি বাতিল করে দেন বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

মেঘনা ঘাট বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুর্নীতি মামলা : অবৈধভাবে কাজ দিয়ে রাষ্ট্রের ১৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ক্ষতি করার অভিযোগে ২০০১ সালের ১১ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন ব্যুরো। ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল এই দুর্নীতির মামলাটি খারিজ করে বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

খুলনায় ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা : বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে তিন কোটি টাকা চাঁদা নিয়ে খুলনায় ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সর্বনিম্ন দরদাতাকে বাদ দিয়ে দ্বিতীয় দরদাতাকে কাজ দেয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলা করে মইন-ফখরুদ্দীন আমলের দুদক। এই চাঁদাবাজি মামলায় ২০০৮ সালের ১৮ মে অভিযোগ গঠনের পর বিশেষ জজ আদালতে মামলার সাক্ষগ্রহণ শুরু হয়েছিলো। ২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল এ মামলাটি বাতিল করে দেয় বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

নাইকো দুর্নীতি মামলা : রাষ্ট্রের ১৩ হাজার ৬৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি করার অভিযোগে ফখরুদ্দিন সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেছিলো দুদক। ২০১০ সালের ১১ মার্চ এ মামলাটি বাতিল করে দেয় গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

৮টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ক্রয় দুর্নীতি মামলা : নীতিমালা লঙ্ঘন করে রাশিয়া থেকে ৮টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ক্রয় করে রাষ্ট্রের প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতিসাধন করার অভিযোগে ২০০১ সালের ১১ ডিসেম্বর এ মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন ব্যুরো। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২০ আগষ্ট শেখ হাসিনাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এ মামলার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার দায়ের করা একটি কোয়াশমেন্ট আবেদন আদালত খারিজ করে দিয়ে বলা হয় এই মামলাটি নিম্ন আদালতে চলতে। প্রধান বিচারপতি এম রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির ফুল আপিলেট ডিভিশন এই রায় দেয়। ফলে বিশেষ জজ আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১০ সালের ৯ মার্চ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিগ-২৯ যুদ্ধ বিমান ক্রয়ে দুর্নীতি মামলাটি বাতিল করে দেয় যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণ দুর্নীতি মামলা : মাওলানা ভাসানীর নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণে প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতি, অবৈধভাবে ব্যয় বৃদ্ধি করে রাষ্ট্রের ৫২ কোটি টাকা ক্ষতিসাধন করার অভিযোগে ২০০২ সালের ২৭ মার্চ তেজগাঁও থানায় তিনটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন ব্যুরো। ২০১০ সালের ৪ মার্চ তিনটি মামলা বাতিল করে দেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের নামে থাকা ১৫টি মামলার মধ্যে নয়টি মামলা এই দুই দলীয় বিচারপতিকে দিয়ে এবং বাকি ছয়টি মামলা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক আখ্যা দিয়ে প্রত্যাহার করে নেন।

 

সম্পর্কিত সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে
Home Post

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য
Home Post

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক
Home Post

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • একজন বীর শহীদ তিতুমীর: মুসলিম জাতির প্রেরণা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রক্তাক্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বিচার গণহত্যার দিন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির যত মামলা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • সেঞ্চুরিয়ান মানিক ও জাবির সেই সময়ের ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫
ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

মার্চ ১৯, ২০২৫
কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

মার্চ ১৬, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD