• যোগাযোগ
শনিবার, মে ১০, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home কলাম

মিস ওয়ার্ল্ডের নামে বাকী পোশাকটুকুও খুলে নেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে!

জুলাই ২৮, ২০১৭
in কলাম, বিশেষ অ্যানালাইসিস, মতামত
Share on FacebookShare on Twitter

জুনায়েদ আব্বাসী

প্রত্যেক জনগোষ্ঠীই তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে তাদের জাতিসত্তার পরিচয় তুলে ধরতে চায়। কিন্তু আমরা হলাম এর সম্পূর্ণ বিপরীত। আমদানি করা সংস্কৃতির পূজা করতেই আমরা বেশি ভালবাসি। পাশ্চাত্যের উলংগ সংস্কৃতির চর্চা করে আমরা এখন উলংগ হয়ে পথে বসেছি। সংস্কৃতি চর্চার নামে দেশে আজ যা চলছে তা ভাবতেও কষ্ট লাগে। একটি মুসলিম দেশে সংস্কৃতির নামে যে ধরনের অশ্লীল বেহায়াপনা চালু হয়েছে তা আমাদের জাতিসত্তাকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা যেন একেবারে ভুলে গিয়েছি আমাদের পরিচয় ও অতীত ইতিহাস।

২০০৯ সালের আগে বাংলাদেশে পশ্চিমা সাংস্কৃতির আগ্রাসন এত বেশি ছিল না। ২০১০ সালের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গিয়ে সে দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি করেন। এর মাধ্যমে ভারত তার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। এরপর থেকেই ভারতের অপসংস্কৃতিতে বাংলাদেশের বাজার সয়লাব হয়ে পড়ে। বলা যায় এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগতের দরজা ভারতের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে আসে।

ভারত শুধু আমাদের সম্পদ লুট আর সীমানা দখলের পরিকল্পনাই করেনি। বাংলাদেশের জাতিসত্ত্বাকে ধ্বংস করতে তারা সুদূর প্রসারী এক সূক্ষ্ম পরিকল্পনাও করেছে। যার বাস্তব প্রমাণ বাংলাদেশের সাথে ভারতের সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি। এর মাধ্যমে ভারত তাদের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

ভারত শুধু চুক্তি করে বসে থাকেনি। ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর শাহরুখ খানের কিং খান লাইভ ইন ঢাকা-এর মাধ্যমে চুক্তি বাস্তবায়নের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে। ভারত নাকি প্রতিনিয়ত সরকারের উপর চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। ভারতকে খুশি করতে সে দেশের বলিউডের নায়ক-নায়িকাদের দিয়েই পরে সূচনা করেন কিং খান লাইভ। ওই অনুষ্ঠানকে দেশীয় সংস্কৃতি ধ্বংস করে বাহিরের নোংরা সংস্কৃতি চালুর ষড়যন্ত্র বলেই বুদ্ধিজীবী মহল মনে করেছে।

তারপর আমাদের দেশে পাশ্চাত্যের কিছু গোলাম রয়েছে যারা সর্বদাই এ কাজে আমাদের তরুণ-তরুণীদেরকে উৎসাহ যোগাচ্ছে। তারা মুসলমান নামটা ধারণ করে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পাশ্চাত্যের নোংরা সংস্কৃতি বিস্তারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের টার্গেট আমাদের কোমলমতি ছেলেমেয়ে ও যুব সমাজের নৈতিকতাকে ধ্বংস করে দেয়া। আর হচ্ছেও তাই। জাতি হিসাবে আমরা আজ একেবারে পঙ্গু। বাসা থেকে বের হয়ে এক কিলোমিটার পথ হাঁটলে এর মধ্যে কমপক্ষে ৩/৪টি সিডির দোকান পড়ে। যেগুলোতে রাখা হয় শুধু চরিত্র বিধ্বংসী অশ্লীল সিনেমা ও নাটকের সিডি। আর এখন তো হলো আকাশ সংস্কৃতির যুগ। ভদ্র ঘরের ছেলেমেয়েদের দোকান থেকে সিডি নিতে হয় না। ডিসের মাধ্যমে টেলিভিশনেই সবকিছু তারা দেখতে পায়। দেশী-বিদেশী অনেক স্যাটেলাইট টিভি দেখার সুযোগ রয়েছে। এর সঙ্গে আছে সস্তা দামি ইন্টারনেট।

এছাড়া এই নোংরা সংস্কৃতি এখন মোবাইলের মাধ্যমে সমাজে ভাইরাসের মত ছড়াচ্ছে। অশ্লীল গান-বাজনার জন্য এখন আর সিডির দোকানে যাওয়া লাগে না। মোবাইলের মেমোরিতেই শতশত গান লোড করার ব্যবস্থা রয়েছে। দুঃখজনক বিষয় হলো বাচ্চাদের খাবারের বিভিন্ন কোম্পানির চকলেট এবং আচারের প্যাকেটগুলোতেও সুন্দরী মেয়েদের অর্ধনগ্ন ছবি ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। ছেলে-মেয়েদের চরিত্র নষ্ট করার জন্য যা দরকার সব ষড়যন্ত্রই আজ করা হচ্ছে। যার দরুণ সমাজব্যবস্থা আজ একেবারে ধ্বংসের পথে।

আমাদের ছেলে-মেয়েদের শরীরে যে পোশাকটুকু আছে এখন তাও খুলে নেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কোনো অসুবিধা নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

তথ্যমন্ত্রী আজ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘নারীরা তাদের মেধা, সৌন্দর্য, মনন এবং পোশাক-পরিচ্ছদের মধ্য দিয়ে একটা দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। সুতরাং সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় আমাদের অংশগ্রহণে কোনো অসুবিধা নেই।’

১৮ নভেম্বর চীনের সানাইয়া শহরে অনুষ্ঠেয় ৬৭তম এ আসরে থাকবে বাংলাদেশের প্রতিযোগীও। এ লক্ষ্য নিয়ে দেশে শুরু হচ্ছে বাছাই প্রতিযোগিতা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ থেকে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার নিবন্ধন শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে।

১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী বাংলাদেশি মেয়েরা এতে অংশ নিতে পারবেন। এমনকি তারকা শিল্পী বা দেশের কোনো প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসা শিল্পীরাও আবেদন করতে পারবেন।

সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীদের চরিত্র এখন পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন যদি আবার বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ পায় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। সরকারকে এখনই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তর মুসলিম দেশ বাংলাদেশ। এদেশের মুসলমানরা প্রতিবাদ করতে জানে। সরকার যদি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।

 

সম্পর্কিত সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে
Home Post

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য
Home Post

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক
Home Post

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • একজন বীর শহীদ তিতুমীর: মুসলিম জাতির প্রেরণা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রক্তাক্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বিচার গণহত্যার দিন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির যত মামলা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ইসলামী সংস্কৃতি ও আধুনিক সংস্কৃতি

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫
ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

মার্চ ১৯, ২০২৫
কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

মার্চ ১৬, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD