অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ইউএস কংগ্রেসে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী বিরোধী প্রস্তাব আনা হয়েছে বলে বাংলাদেশের কিছু মিডিয়ায় মিথ্যা ও বিভ্রান্ত সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। জিম ব্যাংকস নামে এক রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যানের নামে প্রকাশিত নিউজগুলোতে জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তুলে ধরা হয়। একই ব্যাক্তির নামে একই ধরণের সংবাদ তিনমাস আগেও বাংলাদেশের কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
তিনমাস পর একই ব্যক্তির নামে একই ধরণের সংবাদ প্রকাশ হওয়ায়, এটি যে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর, তা অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। গতকাল বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়াতেও প্রকাশিত একই ধরণের সংবাদ। তবে টাইমস অব ইন্ডিয়ার সংবাদে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইয়্যেবার কথা বলা হলেও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো জঙ্গি সংগঠনটির নাম পুরোপুরি বাদ দিয়ে বাংলাদেশের জামায়াত ইসলামীর কথা তুলে ধরেছে। এসব থেকেই স্পষ্ট যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে অনলাইনে বিভিন্নভাবে সার্চ করেও এই নিউজ অন্য কোনো আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে পাওয়া যায়নি। তিন মাস আগের একই ধরণের সংবাদটিতে জামায়াত-শিবিরের পাশাপাশি বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামকেও সন্ত্রাসী দল হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। এছাড়া সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলার জন্যও বিএনপি হেফাজতকে দায়ী করা হয়েছিলো। এসব থেকে প্রমাণীত হয় উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।
গতকালের সংবাদে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চরমপন্থী দলগুলোকে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা এবং ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের জন্য হুমকি আখ্যা দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে একটি প্রস্তাব আনা হয়েছে। প্রস্তাবে ধর্মভিত্তিক ওই রাজনৈতিক শক্তিকে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলেও তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে দলটির সক্ষমতার ভিত্তিমূলে আঘাত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে ওই প্রস্তাবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার সংবাদে পাকিস্তান ও কাশ্মিরে কাজ করা পাকিস্তানের লস্কর-ই-তইয়্যেবাকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এবং এই সংগঠনকে যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীক সহায়তা বন্ধেরও দাবি জানানো হয়। অথচ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো এই জঙ্গি সংগঠনের নাম সম্পূর্ণরুপে বাদ দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কথা উল্লেখ করেছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবেই এসব সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।