অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আটকের পর অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে শিবির নেতার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দিয়েছে পুলিশ। এমন অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশের বিরুদ্ধে।
গতকাল বুধবার রাজশাহী শহরের শাহমাখদুম থানার পোষ্টাল একাডেমি অডিটোরিয়মে এক বিয়ের প্রোগ্রাম থেকে ইসলামি ছাত্রশিবির রাজশাহী মহানগরী সভাপতি মঞ্জুর রহমান মনিরকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এসময় বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ৫জন ব্যাংক কর্মকর্তা ও স্থানীয় জামায়াত নেতা আইয়ুব আলীকেও আটক করা হয়।
পরবর্তীতে ৫ ব্যাংক কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেয় ডিবি পুলিশ। আটক জামায়াত নেতা আইয়ুব আলী জামায়াতের ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বলেও জানা গেছে।
ডিবি পুলিশের ওসি রাশেদের নেতৃত্বে এস আই হাসানসহ আরো কয়েকজন অংশ নেয় গ্রেফতার অভিযানে।
আটকের পরেরদিন বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম জানিয়েছেন, মঞ্জুরের দেয়া তথ্যে তিন রাউন্ড গুলি ও ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। আদালত তার ৩ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছে।
এদিকে পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারের বক্তব্যকে নাটক বলে দাবি করেছেন মঞ্জুরের পরিবার ও স্থানীয়রা। তারা বলছেন, আসন্ন সিটি নির্বাচনকে টার্গেট করেই কাউন্সিলরপ্রার্থীসহ শিবির নেতা মঞ্জুরকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে সম্পুর্ণ অন্যায়ভাবে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এখন আবার অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে মঞ্জুরের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দেয়া হয়েছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির উদ্দেশ্যেই পুলিশ এই নাটক সাজিয়েছে বলেও দাবি করেছেন তারা।

স্থানীয়রা বলছেন, মঞ্জুরের কাছে কোনো প্রকারের পিস্তল থাকার প্রশ্নই আসে না। আমরা মঞ্জুরকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি। আসন্ন নির্বাচনে বিরোধী নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতেই তাকে এবং কাউন্সিলরপ্রার্থীকে আটক করে অস্ত্র নাটক সাজিয়েছে পুলিশ। নিরপরাধ আসামীকে ফাঁসানোর জন্য পুলিশের এমন অস্ত্র উদ্ধার নাটক বহুদিন ধরেই দেশবাসী প্রত্যক্ষ করে আসছে।
স্থানীয় জামায়াত ও শিবির নেতারা বলছেন, টেকনাফের কাউন্সিলর একরামুল হককে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার ফাঁস হওয়া অডিওতে আমরা দেখেছি কিভাবে পুলিশ নিজেরাই আসামীর কাছে অস্ত্র দিয়ে উদ্ধারের নাটক করে। দেশবাসী এখন আর বোকা নয়। তারা অবিলম্বে মিথ্যা অস্ত্র মামলা প্রত্যাহার এবং মঞ্জুর ও আইয়ুব আলীর মুক্তি দাবি করেছেন।