অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট জালিয়াতির ভয়াবহ তথ্য ফাঁস করলো সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু। কিভাবে পরিকল্পিতভাবে নোৗকার নির্দিষ্ট পরিমান ভোট কাস্ট করা হয়েছে এবং কিভাবে বিএনপি ও জামায়াতের এজেন্টদেরকে ও ভোটারদেরকে কেন্দ্রে আসতে দেয়া হয়নি সেসব তথ্য ফাঁস করেছেন তিনি।
হিরণ মাহমুদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আজ দুপুরে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসব তথ্য ফাঁস করেন। সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হিরণ মাহমুদের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি অ্যানালাইসিস বিডির পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
“রাজশাহী – বরিশালে এবং গাজী পুর সিটি নির্বাচনে প্রত্যেকটিতে ৭০/৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন এবং কিভাবে এত ব্যবধানে নৌকা বিজয়ী হয়েছে তা শুধু দেশবাসী নয় বিশ্ববাসী জানে ব্যতিক্রম শুধু সিলেটের জন্য ।
Badar Uddin Ahmed Kamran ভাই কে আতর গোলাপ চন্দন মাখিয়ে বলি দেওয়ার কি প্রয়োজন ছিলো?
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক কলাকৌশলের কারনে অন্য কাউকে মেয়রপ্রার্থী করা যেত।
জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে এমন একটি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সম্পন্ন ব্যক্তি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান কে ধ্বংস করে দিলেন ?
কি অপরাধ ছিল বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এর কি অপরাধ ছিলো আমাদের মত আবেগী কর্মীদের যে আমাদের সাথে এমন সাজানো নাটক করলেন ?
আরিফুল হক সাহেব এর সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন দ্বন্দ্ব ছিলোনা বা থাকার প্রশ্নই ওঠে না বরং খুবই ভাল সম্পর্ক উনি যেদিন হাইকোর্ট এর রায় পেয়েছিলেন সেদিন তিনি আমার বাসার সামনে পেয়ে বললেন হিরন বিয়ে করেছ শুনেছি এসো তোমার বৌ দেখব বলেই ঘরে ঢুকে আমার বৌকে বলেন যে ছোট বোন হে একটা পাগল আমি কিছু খাব না আমার ডায়াবেটিস তুমি আমাকে কমলা থাকলে খাবাও ।
পাতানো নির্বাচনের স্বার্থে এই শহরের মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করেছি, জীবনে কখনো উপশহর সেন্টারে নৌকা বিজয়ী হয়নি। ৩৫শত ভোটের মধ্যে ৩৩ কাস্ট হওয়ার কথা বললেন আনোয়ারুজ্জান চৌধুরী।
কথামতো কাজ করেছি নৌকা কে বিজয়ী করেছি ।নবীনচন্দ স্কুল সেন্টারে সকাল ৭টায় নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই ঘরির এজেন্ট বিএনপির এজেন্টদের সাথে আল্লাহ্ মাবুধ….
ব্লুবার্ড স্কুল সেন্টারে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী সালেহ আহমদ ট্রেক্টর মার্কা এবং ধানের শীর্ষে জোট বেঁধে ভোট দিতে দেই নি ।
এত কষ্ট চরিত্র নষ্ট করে আমার পরিবারের জন্য কিছু করিনি।
আওয়ামী লীগ তোমার রাজনীতি করি করছি কিন্তু শেষ বিকেলে তুমি তোমার প্রয়োজনে আমাকেই বলি?
বাঘ যখন ক্ষোদা পায় তখন তার বাচ্চা খায় এটাই কি বাস্তবতা?
নির্বাচন কে কেন্দ্র করে নানাজনের নানা মত নানা ধরনে ক্ষোভ মিশ্রিত প্রতিক্রিয়া আবেগী কর্মীদের বুকফাটা আর্তনাদ প্রকাশ করছেন টংদোকান অফিস কক্ষ সহ যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে।অত্যন্ত স্বাভাবিক ।অত্যন্ত স্বাভাবিক হলেও বিষয়টির ফলাফল অস্বাভাবিক যা আগামী প্রজন্মকে রাজনীতিতে বিমুখতার সহায়ক হবে।
বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ভাই কে ছোট্ট একটি পরামর্শ- সোহেল তাজ এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এর মত পরিবার নিয়ে বিদেশে চলে যান । যেটুকু গিয়েছে যাক চিন্তা না করে যা রয়েছে তা রক্ষা করেন।”
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেটে একযোগে সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । নির্বাচনে ব্যাপক পরিমানে জালভোট, কারচুপি, কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে। কলঙ্কিত এই নির্বাচনে একপ্রকার জোরপূর্বকই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদেরকে জয়ী করা হয়। কিন্তু সিলেটে সরকার ইচ্ছে করেই রাজনৈতিক খেলার অংশ হিসেবে হাড্ডাহাড্ডি লাড়াইয়ের মাধ্যমে বিএনপি প্রার্থীকে জয়ী করিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। যেটা ছাত্রলীগ সভাপতির এই স্ট্যাটাস থেকেও প্রমাণীত হলো।