অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ভারতের চাপে পাকিস্তানের নতুন হাই কমিশনারকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম মারফত এমন তথ্যই জানা গেছে। এর মধ্য দিয়ে ভারতের পর বাংলাদেশের সঙ্গেও পাকিস্তানের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তানের নতুন হাই কমিশনারকে গ্রহণ না করার পেছনে ভারতের ইন্ধণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন সাবেক পাকিস্তানি হাই কমিশনার রফিউজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানবিরোধী বলে উল্লেখ করেন এবং তিনি নয়া দিল্লীর কথায় চলেন বলেও মন্তব্য করেন।
‘ঢাকা রিফিউজেস টু এক্সেপ্ট নিউ পাকিস্তানি হাই কমিশনার’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের অনলাইন ডেইলি টাইমস। এতে আরো বলা হয়, বিশ্বাসযোগ্য কূটনৈতিক সূত্রগুলো ডেইলি টাইমসকে বলেছেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানের নতুন হাই কমিশনার হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে সাকলাইন সায়েদাকে। এ বিষয়ে ঢাকার সম্মতির জন্য এখনো অপেক্ষমাণ ইসলামাবাদ।
ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়, এ পদ থেকে রফিকুজ্জামান সিদ্দিকী অবসরে যাওয়ার পর এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাই কমিশনারের পদ শূণ্য রয়েছে। তার অবসরের ফলে সাকলাইন সায়েদাকে বাংলাদেশে পাকিস্তানের নতুন হাই কমিশনার হিসেবে মনোনীত করা হয়। তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র বিভাগের পিবিএস-২০ এর একজন কর্মকর্তা।
কূটনৈতিক রীতিনীতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের কাছে তাকে নতুন হাই কমিশনার হিসেবে মনোনয়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি (নমিনেশন ক্রেডেন্সিয়ালস) দেরি না করে পাঠিয়ে দেয় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু অনেকবার ঢাকার কাছে ‘নোট ভারবালস’ পাঠানো সত্ত্বেও তারা কোনো সাড়াও দেয় নি। এমন কি কোনো কারণও জানায় নি।
এ বিষয়ে মন্তব্য করতে বললে সাবেক হাই কমিশনার রফিউজামান সিদ্দিকী বলেছেন, এ বিষয়ে সম্মতি জানাতে বড়জোর এক মাস সময় লাগে। ‘এক্ষেত্রে ঢাকা যে বিলম্ব করছে তার অর্থ হলো বাংলাদেশ সরকার সাকলাইন সায়েদাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। এর কারণ অবশ্যই ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না’।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানবিরোধী আখ্যায়িত করে রফিউজ্জামান বলেন, তিনি চলেন নয়া দিল্লির কথা মতো।
রফিউজামান সিদ্দিকী বলেছেন, এই নিয়োগ নিয়ে অধিক সময় লাগতে পারে। কিন্তু দুটি দেশের মধ্যে এই রকম দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য এই বিলম্ব ভাল নয়। এ দেশ দুটি জাতিসংঘ, সার্ক, ওআইসি ও কমনওয়েলথসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্য।
উল্লেখ্য, নিকট অতীতে (২০১৫-১৬ সালে) ইসলামাবাদ ও ঢাকা উভয় উভয়ের কূটনীতিকদের বিভিন্ন অভিযোগে বহিষ্কার করেছে।