অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
লোহাগাড়া উপজেলা ও সাতকানিয়া উপজেলার আংশিক নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম ১৫ আসন। স্বাধীনতার পর কখনো এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেনি। ৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াতের শাজাহান চৌধুরী এমপি হন। ৯৬ সালে নির্বাচিত হন বিএনপি থেকে কর্নেল অলি আহমেদ। এরপর ২০০১ সালে আবার পুনরায় নির্বাচিত হন জামায়াতের শাজাহান চৌধুরী। এরপর ২০০৮ সালে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন জামায়াত প্রার্থী শামসুল ইসলাম। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অংশ না নেয়ায় আসনটি থেকে বিনাভোটে এমপি নির্বাচিত হন নৌকার প্রার্থী আবু রেজা নদভী।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের একক প্রার্থী হয়েছেন জামায়াতের শামসুল ইসলাম। বিনাভোটের এমপি নদভী মনে করেছিলেন এবার বুঝি বিএনপি জামায়াত নির্বাচনে অংশ নেবে না। এ ফাঁকে তিনি আবারো বিনাভোটে এমপি নির্বাচিত হবেন। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আবু রেজা নদভী। কারণ, শত মেকানিজম করেও তার পক্ষে বিজয়ী হওয়া সম্ভব হবে না।
কারণ, লোহাগাড়া-সাতকানিয়া উপজেলা দুইটি জামায়াতের একক ঘাটি হিসেবে সারাদেশের মানুষের কাছে পরিচিত। এখানে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানও জামায়াতের। এমনকি এই আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজে প্রার্থী হলেও বিজয়ী হতে পারবেন না। শুধু নির্বাচন হলেই জামায়াত প্রার্থী শামসুল ইসলাম আগের মতো এবারও রেকর্ড সংখ্যক ভোটে বিজয়ী হবেন।
এ অবস্থায় বিনাভোটের বর্তমান এমপি আবু রেজা নদভী চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মান-ইজ্জতের কারণে তিনি এখন প্রার্থিতা প্রত্যাহারও করতে পারছেন না।
এছাড়া এমপি নদভীর বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। শুধু সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া বরাদ্দের টাকাই নয়, হত দরিদ্র মানুষদের দেয়ার কথা বলে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা থেকে টাকা এনেও তিনি আত্মসাত করেছেন। এসব কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও তার ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। সব মিলিয়ে আবু রেজা নদভী এখন চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।