কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে পূর্ব-ঘোষিত ধানের শীষের নির্বাচনী গণসংযোগ ও মিছিলে বাধা দিতে পুলিশের ব্যাপক মহড়া লক্ষ করা গেছে।
আজ সকালে চৌদ্দগ্রাম বাজারে গিয়ে দেখা যায় সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি। অর্ধ-শতাধিক পুলিশ বাজারের প্রধান সড়কে মহড়া দিয়ে সোনালী ব্যাংকের পেছনে অবস্থিত চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ের দিকে যায়। এসময় কার্যালয়টি বন্ধ ছিলো।
পরবর্তীতে পুলিশ বাজারের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেয়। এতে বাজারে এবং আশেপাশের জামায়াত অধ্যুষিত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চারদিকে যখন নির্বাচনের উৎসব বিরাজ করছে তখন পুলিশের এমন রণ প্রস্তুতিতে চৌদ্দগ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পুলিশের এমন শোডাউনকে নৌকার পক্ষের মিছিল এবং ধানের শীষের গণসংযোগে বাধাদানের প্রস্তুতি অভিযোগ করে চৌদ্দগ্রাম জামায়াতের এক শীর্ষনেতা বলেন, আজ সকাল ১০টায় চৌদ্দগ্রাম বাজারে ২০ দলীয় জোট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ডা.সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের গণসংযোগ ও মিছিল করবে বলে গতকাল পুলিশকে জানিয়ে রাখেন, যেন বিরোধী পক্ষের কোন নাশকতার শিকার হতে না হয়। কিন্তু পুলিশ উল্টো কোনো গণসংযোগ ও মিছিল করতে দেয়া হবে না বলে জানায়। আর তাই উক্ত কর্মসূচী স্থগিত করতে বাধ্য হই আমরা। তবুও আজ পুলিশের এমন মহড়া প্রমাণ করে প্রশাসন নিরপেক্ষ নয়। তারা ধানের শীষের বিজয় ঠেকাতে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, নৌকার পক্ষে নির্বিগ্নে মিছিল, সমাবেশ, গণসংযোগ করতে পারলেও ধানের শীষের নেতা-কর্মীদের মাঠে নামতে দিচ্ছে না পুলিশ। পূর্বে কোনো মামলা না থাকলেও নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে। বাড়িতে না পেলে পরিবারের সদস্যদের শাসিয়ে যাচ্ছে।
এই নেতা আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের পক্ষ হতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কথা বললেও কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে নির্বাচনের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নাই। আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে নষ্ট করছে। তারা ধানের শীষের প্রার্থী ডা.তাহেরের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা, কর্মীদের মারধর করা এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে গেলে উল্টো হয়রানি ও গ্রেফতারের শিকার হতে হচ্ছে। পুলিশ সম্পূর্ণ নৌকার প্রার্থী রেলমন্ত্রী মুজিবের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে।
এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান এই নেতা।
পুলিশের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।