অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক বিবৃতিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা এবং অকার্যকর ভুমিকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষত প্রতিদিন দেশজুড়ে বিরোধী জোটের প্রার্থীদের এবং তাদের সমর্থকদের উপর যেভাবে হামলা হচ্ছে এবং তাদেরকে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত রাখতে যেভাবে একের পর এক মামলা দায়ের করা হচ্ছে, তা বন্ধ করতে এখনো পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কিছুই করতে পারেনি বলেও সংস্থার বিবৃতিতে জানানো হয়।
সেই সাথে যেভাবে বিরোধী প্রার্থীদেরকে বাঁধা দেয়া হচ্ছে, বিরোধী নেতা ও সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে, হুমকি দেয়া হচ্ছে তাতেও উদ্বেগ জানায় টিআইবি। সংস্থাটি জানায়, এখন পর্যন্ত একটি দল নিয়মিতভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে গেলেও নির্বাচন কমিশন তার প্রতিকার নিতে পারেনি। বরং এ ধরনের প্রতিকুল পরিস্থিতিগুলো তারা নীরব মুর্তির মত নিরবে দেখে যাচ্ছে।
টিআইবি জানায়, বিরোধীরা শুধু যে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা নিগৃহিত হচ্ছে তাই নয়, পুলিশ ও অন্যন্য আইন শৃংখলা প্রয়োগকারী সংস্থাও তাদের সাথে বৈরী ও বৈষম্যমুলক আচরণ করে যাচ্ছে। আর আইন শৃংখলা বাহিনীর এই ব্যর্থতার দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে পোলিং সেন্টারে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করা হয়। বলা হয় নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত তাদের দুর্বল মানসিকতা ও সাংঘর্ষিক আচরনের বহি:প্রকাশ। কেননা ইতোপূর্বের নির্বাচনগুলোতে কেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দেয়া হয়েছিল।
বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশনকে তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে আরো সক্রিয় হওয়ার আহবান জানানো হয়। বার বার বিভিন্ন মহল থেকে চলমান সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও নির্বাচন কমিশন সক্রিয় না হওয়ায় কমিশনের ভুমিকা ও সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তোলে টিআইবি।
বিবৃতিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, শুধু প্রতিশ্রুতি বা সুন্দর কথাই যথেষ্ট নয়। নির্বাচন কমিশন এখনো পর্যন্ত লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরীর কোন নমুনাই দেখাতে পারেনি- যা ভীষন বিব্রতকর।