অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আর মাত্র দুই দিন পরই অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অতীতে জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনগুলো জনগণের নিকট ছিল উৎসবের মতো। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের সহযোগিতায় বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করার পরই বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন জনগণের নিকট আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। বলা যায়-আওয়ামী লীগ অবাধ ও সুষ্ঠু ধারার নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে একেবারে ভেঙ্গে দিয়েছে।
বিশেষ করে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ যা করেছে তা নজিরবিহীন। সারাদেশের নির্বাচনী মাঠকে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে রণক্ষেত্রে পরিণত করেছে। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের মূল টার্গেট সারাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণকে ভোটদান থেকে বিরত রাখা।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কাছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট আছে এবার তাদের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে পরাজিত হবে। মেকানিজম করা ছাড়া এবার ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়। এসব গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতেই নির্বাচনের দিন ভোট ডাকাতির মাস্টার প্লান করেছে আওয়ামী লীগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৯ ডিসেম্বর রাতেই তারা পুলিশের সহযোগিতায় ৩০ শতাংশ ব্যালটে নৌকার সিল মেরে রাখবে। পরে ভোটের দিন কেন্দ্রদখল, ব্যালট ছিনতাই, ধানের শীষের ভোটারদেরকে কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়া ও জালভোট প্রদানের মাধ্যমে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবে। এজন্য তারা প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। এসব কাজে তাদেরকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির সকল প্রকার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট। তফসিল ঘোষণার পর থেকে তারা প্রচার-প্রচারণায় নিরবতা পালন করলেও ভোটের মাঠে সরব থাকবে। এই নির্বাচনকে নিজেদের অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে নিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। এবার তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো-আওয়ামী লীগ যেখানেই কেন্দ্রদখলের চেষ্টা করবে সেখানেই শক্তি প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা।
তাদের বিশ্বাস, ৫০ শতাংশ লোকও যদি কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে তাহলেই ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত। তাই জনগণকে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিতে যা দরকার তাই করবে তারা।
জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদেরকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটের দিন কোনোভাবেই মাঠ ছাড়া যাবে না। আওয়ামী লীগ কেন্দ্র দখল করতে আসলে শক্তভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।
অপরদিকে, জামায়াত শিবির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি প্রতিরোধ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বিগত ১০ বছর ধরে নিজেদের ঘরবাড়ি ছাড়া নেতাকর্মীরা এবার নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। তারাও ভোট কেন্দ্র রক্ষার জন্য যা যা করার দরকার তাই করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।