অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ভোটের আগের রাত থেকেই পুলিশের সহযোগিতায় কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির সূত্রপাত। এরপর একের পর এক কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে বাক্স। সকালে ভোটকেন্দ্রে যেতেই বাধার মুখে পড়েন ধানের শীষের এজেন্টরা। অন্তত ৭০ টি কেন্দ্রে প্রবেশই করতে পারেননি ধানের শীষের এজেন্টরা। ছাত্রলীগ কর্তৃক অপহৃত হয়েছেন ২০ জন এজেন্ট। এভাবেই ঢাকা-১৫ আসনে ভোট ডাকাতি ও নৈরাজ্যের রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন নৌকার প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার।
ঢাকা-১৫ আসনে কেন্দ্র দখল করে রাতেই সিল মারার অভিযোগ আসতে শুরু করে সামাজিক মাধ্যমে। এরপর এক এক করে অন্তত ৮টি ভোট কেন্দ্রে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করার অভিযোগ মেলে। রাতেই ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ড. শফিকুর রহমানের মিডিয়া সমন্বয়ক মু. আতাউর রহমান সরকার জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদারের কর্মীরা লাইট বন্ধ করে ও কেন্দ্রের পাশে থাকা বাড়িগুলোর সিসি ক্যামেরা জোরপূর্বক খুলে নিয়ে সন্ধ্যা ৭ টা থেকেই কেন্দ্রগুলো দখলে নিয়ে নৌকায় সিল মারছে। স্থানীয় পুলিশ ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেও এ বিষয়ে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে জানান আতাউর রহমান সরকার।
তার অভিযোগ অনুযায়ী আওয়ামী লীগের দখলে থাকা কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- কাফরুল এর ১৩ সেকশন আল জাহরা কেন্দ্র, আদর্শ স্কুল, মিরপুর-১০ এর পূর্ব দিকে ১৩নং হাজী আলী হোসেন স্কুল, পশ্চিম শেওড়াপাড়া ইস্ট ওয়েস্ট স্কুল, ইউনানী আইয়ুবেদী মেডিকেল কলেজ, আবুল হোসেন স্কুল, মনিপুর বালক স্কুল ও মনিপুর বালিকা স্কুল। এসব স্কুলের মোট ৫০ টি কেন্দ্র দখল করে রাতেই ভোট কেটে নেয় তারা।
সকালে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতিকালে ৭০টি কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি পুলিশ ও নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। এখন পর্যন্ত ২০ জন ধানের শীষ এজেন্ট ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্তৃক অপহরণ ও পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারের শিকার হয়েছেন।
ধানের শীষ প্রতীকের মিডিয়া সমন্বয়ক মু. আতাউর রহমান সরকার এই অভিযোগ করে বলেন, মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ব্রাঞ্চ-৩ কেন্দ্রে, ইব্রাহিমপুর সালাউদ্দিন শিক্ষালয়ে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের যুবলীগ নেতা আলমগীরের কার্যালয়ে আটকে রেখেছেন। তাছাড়া মিরপুর আদর্শ স্কুল, রোটারী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মমতাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কিন্ডার গার্ডেন, ইব্রাহিমপুর প্রাাথমিক বিদ্যালয়, চেরি গ্রামার স্কুল, হলি চাইল্ড কিন্ডার গার্ডেন, হাজী আলী ইউসুফ স্কুলে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন। এছাড়া শেরেবাংলা নগরের হালিম ফাউন্ডেশনের তিনটি কেন্দ্র আওয়ামী লীগ সভাপতি বেলাল হোসেন ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতেই দেয়নি।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বিশেষ শিক্ষা কেন্দ্রে ঢাকা মেট্রো-১২২১৩৩ গাড়ি ব্যবহারকারী মেজিষ্ট্রেট, ১১০০০৫ গাড়ির বিজিবিকে জানানো হলেও তারা কোনো প্রকার প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং আমাদের নেতাকর্মীদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেছে।