অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ঘনিয়ে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ মার্চ এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু, সকলের মতামতকে উপেক্ষা করে হলগুলোতে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ঢাবি ভিসি ড. আখতারুজ্জামানের একতরফা সিদ্ধান্তের কারণে ইতিমধ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হওয়া নিয়ে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। ভিসির এমন একতরফা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রসংগঠনগুলো বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করছে। এমনকি ভিসি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে ছাত্রসংগঠনগুলো কঠোর আন্দোলনেরও হুমকি দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিগত ১০ বছরের মধ্যে ছাত্রদলসহ অন্যকোনো ছাত্রসংগঠন তাদের কার্যক্রম চালাতে পারছে না। এমনকি অন্য কোনো ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা হলেও থাকতে পারছে না। তাদের পরিচয় প্রকাশ হলেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে পিটিয়ে হল থেকে বের করে দিচ্ছে। বলা যায়- পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এখন ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এমন অবস্থায় অন্য ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা হলে গিয়ে ভোট দিতে পারবে না বলে তাদের আশঙ্কা। কিন্তু, ঢাবি ভিসি তাদের এই বিষয়টিকে কোনো পাত্তাই দিচ্ছেন না।
এখন অন্যান্য ছাত্রসংগঠনসহ শিক্ষকরাও মনে করছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের মতোই ডাকসুর নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কারণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদাও ঢাবি ভিসির মতো এমন শত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দিতে পারবে। কিন্তু ভোটের দিন ঘটনা ঘটেছে সম্পূর্ণ বিপরীত।
ছাত্রসংগঠনগুলোর আশঙ্কা, ডাকসুর ভোটের দিন ভিসি তার কোনো প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করবেন না। কারণ, তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত ভিসি। তার টার্গেট ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগকে জেতানো। তিনি তার পদ ধরে রাখার জন্য যেকোনোভাবে হোক ছাত্রলীগকে বিজয়ী করবেন।