অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ব্যাপক ভোটাডাকাতির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন বাতিল, ভিসি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ ও ভোট ডাকাতির সঙ্গে জড়িত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে সোমবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করেছে ভোটবর্জনকারী ৫ প্যানেল। এসময় তারা ভিসির বাসভবনের সামনে প্রায় ৪ ঘণ্টা অবস্থান করে। কিন্তু, ভিসি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেনি।
রোববার এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন বামছাত্র সংগঠনগুলো প্যানেল থেকে ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী ও ভিপি নুরুল হক নুর। কিন্তু দুই ছাত্রনেতা সোমবারের কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন না। দুই নেতার সহকর্মীরা গণমাধ্যমকে বলেছেন, তারা অসুস্থ। তাই আসতে পারেননি। এ নিয়ে এখন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সকল মহলে চলছে নানা গুঞ্জন। নুর-নন্দীর কঠোর সমালোচনাও করছেন অনেকে।
কী কারণে ভিপি নুরুল হক নুর ও লিটন নন্দী সোমবারের কর্মসূচিতে যোগ দেননি এনিয়ে বিশিষ্টজনসহ রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
এদিকে, নুর ও নন্দীর সহকর্মীরা গণমাধ্যমের কাছে তাদের অসুস্থতার কথা বললেও খোঁজ খবর নিয়ে ভিন্ন তথ্যও জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোটা আন্দোলনের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ভিপি নুর ও লিটন নন্দী সুস্থ আছেন। এখানে ভিন্ন খেলা হচ্ছে। তিনি বলেন, শনিবার গণভবনে গিয়ে নুর প্রধানমন্ত্রীর অনেক প্রশংসা করেছেন। এরপর রোববার আবার বলেছেন উল্টো কথা। রোববার সংবাদ সম্মেলনে দেয়া নুরের বক্তব্য সরকার খুব ভালভাবে নেয়নি। নির্বাচন বাতিলের কর্মসুচিতে একাত্মতা ঘোষণা করায় সরকার ভিপি নুরের ওপর আবার ক্ষুব্ধ হয়েছে। রোববার রাতেই সরকারের পক্ষ থেকে নুরকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, নুর যেন এই কর্মসুচিতে অংশ না নেয়। এমনকি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নুরের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারের চাপের কারণে নুর সোমবারের কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি। এখন পরবর্তীতে কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটা এখনো ঠিক হয়নি।
অপরদিকে, বামছাত্রজোট সূত্রে জানা গেছে, লিটন নন্দীও একই কারণে সোমবারের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে ঢাবি ভিসি ড. আখতারুজ্জামানকেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, ছাত্ররা আসলেও আপনি তাদের সঙ্গে দেখা করবেন না। এজন্য ভিসিও অসুস্থতার কথা বলে আন্দোলনরত ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করেন নি।