• যোগাযোগ
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৩, ২০২৩
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

চুরি-ছিনতাই করে শেখ মুজিবের স্বপ্ন পূরণ করছে ছাত্রলীগ!

এপ্রিল ৪, ২০১৯
in Home Post, slide, বিশেষ অ্যানালাইসিস
Share on FacebookShare on Twitter

অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হল দখল, জমি দখল, ধর্ষণ, ভর্তি বাণিজ্য, ছিনতাই, চুরি, খুন-হত্যা, নির্যাতন ও ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করার মাধ্যমে তাদের অতীত ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যাচ্ছে। বলা যায়-শেখ মুজিবের সৈনিক পরিচয় দিয়ে এমন কোনো অপকর্ম বাদ নেই যা তারা করছে না। সব কিছুর আগেই তাদের স্লোগান হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন বাস্তবায়ন। এখন স্বাভাবিকভাবেই সচেতন মানুষের মনে এখন প্রশ্ন জাগে শেখ মুজিব কি সারাদিন চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ, দখল-বাণিজ্য আর খুন-হত্যার স্বপ্নই দেখতেন?

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এমন কোনো দিন নেই যেদিন পত্রিকার পাতায় ছাত্রলীগের অপকর্মের নিউজ থাকে না। বিশেষ করে দখল-বাণিজ্য নিয়ে নিজেরা মারামারি করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোকে তারা রণাঙ্গনে পরিণত করেছে। তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। তাদের সীমাহীন অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ছাত্রলীগকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে ভিসি বলেছেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসর ছোট হলেও ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে বারবার গণমাধ্যমের শিরোনাম হতে হয় আমাদের। ছাত্রলীগ নামধারীরা কিছুদিন আগে রাজীবের ওপর চাপাতি দিয়ে হামলা করেছে, আঘাত করেছে। এরা ছাত্র নয়, ছাত্র নামধারী জঙ্গি। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করতে চায়, তাদের স্থান এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না। তিনি বলেন, তোমরা কখনও শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আসো নাই। এসেছো উন্নয়ন কাজে ভাগ বসাতে, উন্নয়ন কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে। তোমরা মারামারি, হানাহানি থেকে বের হয়ে আসো। শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে আসো। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।

ভিসির এই বক্তব্যের পর ছাত্রলীগের খুন-হত্যা, ধর্ষণ, চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে আর বেশি কিছু বলার থাকে না। তারপরও এই প্রতিবেদনে ছাত্রলীগের সর্বশেষ ৩টি অপকর্মের ঘটনা উল্লেখ করা হলো-

প্রথমত: মাগুরা আদর্শ কলেজের নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের ব্যবস্থা করে দেয়ার নামে টাকা নিয়েছিলেন কলেজ ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না করে ওই টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন তাঁরা। গত রোববার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রলীগ।

সোমবার থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় মাগুরা আদর্শ কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের ৩৩৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারছে না কলেজের শতাধিক নিয়মিত শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার নামে কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা টাকা নিয়েছিলেন। ওই কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেওয়া হয় রোববার। অন্যদের সঙ্গে প্রবেশপত্র নিতে এসেছিল মানবিক বিভাগের ছাত্র রিয়াজ হোসেন। রিয়াজ জানতে পারে, অন্য বন্ধুদের প্রবেশপত্র এলেও তার টা আসেনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার ফরমই পূরণ হয়নি, প্রবেশপত্র আসবে কোত্থেকে। যদিও ফরম পূরণের জন্য সে টাকা দিয়েছিল কলেজ ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে।

এ বিষয়ে রিয়াজ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ও আমার দুই বন্ধুর কাছ থেকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হুদা ১৬ হাজার ৬০০ টাকা নিয়েছেন। কথা ছিল, ফরম পূরণ করে দেবেন তাঁরা। তবে আমাদের প্রবেশপত্র আসেনি। দুই দিন হলো ফোনও ধরছেন না ওই নেতা।’ ওই শিক্ষার্থীরাসহ ৩০ জনের টাকা ওই নেতা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করে রিয়াজ।

একই অভিযোগ মানবিক বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ইমন হোসেনেরও। ইমন বলে, ‘পরীক্ষার ফরম পূরণের কথা বলে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হুদা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিন হোসেন আমার কাছ থেকে দুই দফায় ৮ হাজার ৩০০ টাকা নিয়েছেন। ফরম পূরণে নির্ধারিত ফি যেখানে ২ হাজার ৫০০ টাকা, সেখানে ছাত্রলীগের নেতার কাছে ফরম পূরণের জন্য এত টাকা দিয়েছ কেন জানতে চাইলে ইমন হোসেন বলে, নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় চূড়ান্ত পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর প্রতিবছর কিছু টাকা বেশি নিয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করিয়ে দেন ছাত্রলীগের নেতারা। ছাত্রলীগের নেতারা আশ্বাস দিয়েছিলেন, এবারও তাদের পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করে দেবেন। তাই তাঁদের কাছে নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত করে অর্থ দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এভাবে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে জানায় ইমন হোসেন।

দ্বিতীয়ত: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত এক ব্যক্তিকে মারধর ও তার কাছ থেকে টাকা ছিনতাইয়ের দায়ে ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ছাত্রলীগের ওই পাঁচ কর্মীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের কর্মীরা পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। এ ছাড়া ছিনতাই ও মারধরের বিষয়টি তাঁদের পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে। সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের কর্মীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সঞ্জয় ঘোষ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মোহাম্মদ আল-রাজি, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের রায়হান পাটোয়ারী, দর্শন বিভাগের মোকাররম শিবলু ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শাহ মুশতাক সৈকত। তাঁদের মধ্যে সঞ্জয় ঘোষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম ব্যাচের ও বাকিরা ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, গত শনিবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িচালক আলমগীর হোসেনের জামাতা মনির হোসেন তাঁর কর্মস্থলে যোগদানের জন্য বিশমাইল এলাকার সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁকে আটক করে মুঠোফোন, নগদ টাকাসহ মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেন। একপর্যায়ে মনির হোসেন পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ধরে ইজিবাইকে করে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে নিয়ে যান অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। সেখানে তাঁরা মনির হোসেনকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে তাঁরা মনিরের স্ত্রীর কাছে মুঠোফোনে এক লাখ টাকা দাবি করেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা পালানোর চেষ্টা করেন। কর্মচারীরা তাঁদের মধ্যে তিনজনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন।

সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলে ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় এক শিক্ষার্থীরা পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় ডাসকু ভিপি নুরুল হক নুর ও সামসুন্নাহার হলের ভিপি ইমিকে লাঞ্চিত ও তাদের ওপর ডিম নিক্ষেপ করেছে তারা।

এভাবে তারা প্রতিদিন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের ওপর নির্যাতন করছে।

সম্পর্কিত সংবাদ

এমন জনপ্রিয়তার দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে অদ্বিতীয়, বিশ্বে বিরল
slide

এমন জনপ্রিয়তার দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে অদ্বিতীয়, বিশ্বে বিরল

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
ওয়ালি-মুকাদ্দাস গুমের আদ্যপান্ত
slide

ওয়ালি-মুকাদ্দাস গুমের আদ্যপান্ত

ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩
শিক্ষা সন্ত্রাসের ইতিহাস!
বিশেষ অ্যানালাইসিস

শিক্ষা সন্ত্রাসের ইতিহাস!

ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩

জনপ্রিয় সংবাদ

  • বসুন্ধরার মালিকের পরিবারে চাঞ্চল্যকর যত খুন

    বসুন্ধরার মালিকের পরিবারে চাঞ্চল্যকর যত খুন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • মামুনুল হক স্ত্রীসহ লাঞ্ছনার ঘটনা ক্ষমতাসীনদের পূর্ব পরিকল্পিত

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • শাহ আব্দুল হান্নান : একটি নাম একটি ইতিহাস

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নয় বিরোধিতা করে জেলে গিয়েছিল মোদি

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • আ.লীগ নেতারাই পূজা মন্ডপে কোরআন রেখেছিল

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

আজ শহীদ শায়খ আহমেদ ইয়াসিনের শাদাতবার্ষিকী

আজ শহীদ শায়খ আহমেদ ইয়াসিনের শাদাতবার্ষিকী

মার্চ ২২, ২০২৩
নতুন কারিকুলামের নামে মাউশি’র তামাশা

নতুন কারিকুলামের নামে মাউশি’র তামাশা

মার্চ ১৪, ২০২৩
এমন জনপ্রিয়তার দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে অদ্বিতীয়, বিশ্বে বিরল

এমন জনপ্রিয়তার দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে অদ্বিতীয়, বিশ্বে বিরল

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
পিলখানা ট্রাজেডি, অন্তরালের কিছু কথা!

পিলখানা ট্রাজেডি, অন্তরালের কিছু কথা!

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
মিরাজের রাতে কী ঘটেছিল?

মিরাজের রাতে কী ঘটেছিল?

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD