অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সম্প্রতি বিএনপি নেতা জাহিদুর রহমানের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে শপথ নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই সোমবার দলীয় সিদ্ধান্তে শপথ গ্রহণ করেছেন দলের আরও চার সাংসদ।
হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নের খানিকটা উত্তর মেলে দলটির মহাসচিবের বক্তব্যে। মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা, মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অংশ হিসাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তে আমাদের দল সংসদে যাচ্ছে। তবে নিজের শপথ গ্রহণের কথা জানতে চাইলে অনেকটা এড়িয়ে যান এ নেতা। তিনি বলেন, অপেক্ষা করুন জানতে পারবেন।
তাহলে কি খালেদা জিয়ার মুক্তির স্বার্থেই তারেক রহমানের এমন সিদ্ধান্ত? সূত্র বলছে, দলীয়প্রধানের জামিনে মুক্তির পর জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা ছিলো বিএনপির নির্বাচিতদের। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকারের চাপে দলীয় প্রধানের মুক্তির শর্তে সিনিয়র নেতারা তাৎক্ষণিক ভাবে নীতিগত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন।
অন্য একটি সূত্র বলছে, এর আগে গত ৩১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিএনপির নেতাদের শপথের বিষয়ে আলোচনা হয়। এরপর ১ এপ্রিল বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের একটি বৈঠকেও এ নিয়ে চুলচেরা পর্যালোচনা হলেও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি নেতারা।
এদিকে জাহিদুর রহমানের শপথ নেয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিজয়ী ব্যক্তিরা যাতে শপথ নেন, সে জন্য সরকার হুমকি-ধামকি ও নানাভাবে চাপ তৈরি করছে এবং তাঁদের নজরদারিতে রেখেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এক দিকে সরকারের পরিকল্পনা বিএনপি নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণে বাধ্য করবে, তাই তাদেরকে কোন চিঠি পাঠানো হয়নি। অন্যদিকে রাজনৈতিক সমঝোতার অংশ হিসেবে ‘ধীরে চলো নীতি’ অবলম্বন করছিলেন বিএনপি। কিন্তু আইন অনুযায়ী, সংসদ বসার তিন মাসের মধ্যে শপথ নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ হিসেবে ৩০ এপ্রিলের আগেই শপথ নিতে হবে ঐক্যফ্রন্টের সকল বিজয়ী প্রার্থীদের। তাই সরকারের চাপে ও খালেদা জিয়ার মুক্তির শর্তে দলীয় নীতি ভেঙে তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিএনপি।