অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
প্রতিবেশি দেশ ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফলে দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল স্বর্বভারতীয় কংগ্রেসের চরম ভরাডুবি হয়েছে। নির্বাচনে ছোট খাটো কিছু সমস্যা হলেও বাংলাদেশে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মতো ভোটের আগের দিন রাতে ভোটডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনে পরাজিত কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও ফলাফল মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ভারতের নির্বাচনে বিজয়ী দল বিজেপিকে আমরা উগ্র হিন্দুত্ববাদী আর আগ্রাসী হিসেবে মূল্যায়ণ করলেও দেশটির জনগণ তাদেরকে বেছে নিয়েছেন। একথা বলার সুযোগ নেই যে, মোদি ভোটডাকাতির মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতা দখল করেছেন। দেশটির জনগণের ভোটেই তার দল বিজেপি নির্বাচিত হয়েছে।
এদিকে, নির্বাচনে চরম ভরাডুবির পর হতাশা প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের প্রধান উপদেষ্টা সোানিয়া গান্ধী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবিতে সোনিয়া গান্ধীকে চোখের পানি মুছতে দেখা গেছে। তারা অবশ্য বিজেপিকে স্বৈরাচারী হিসেবেই আখ্যা দিচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হলো- সোনিয়া-প্রণবের দৃষ্টিতে বিজেপি যদি স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতা দখল করে থাকে তাহলে বাংলাদেশে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় কাকে বসিয়েছিল? বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল একতরফা নির্বাচনে অংশ না নিলেও সোনিয়া-প্রণবেরা জোর করে আওয়ামী লীগকে দিয়ে একটি নির্বাচন করিয়েছিল। জোর করে তারা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ওপর একটি স্বৈরাচারী সরকারকে চাপিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ আজ সেই স্বৈরাচারের যাঁতাকলে পিষ্ট। স্বৈরাচার যে কি জিনিস সোনিয়া-প্রণবরা এখন নিশ্চয়ই টের পাচ্ছেন।
রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, গত ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে যে নির্বাচন হয়েছে সেটাকে কোনোভাবেই নির্বাচন বলা যায় না। রাতের আঁধারে ভোটডাকাতির মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতা দখল করেছে। ভারতের মতো যদি বাংলাদেশের জনগণও ৩০ ডিসম্বের ভোট দেয়ার সুযোগ পেতো তাহলে দৃশ্যপট এমনটা হতো না। সোনিয়া-প্রণবের কংগ্রেসের মতো শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগেরও চরম ভরাডুবি হতো। সোনিয়া গান্ধীর মতো শেখ হাসিনাকেও চোখের পানি মুছতে হতো। এমনকি ক্ষমতাতো দূরের কথা সংসদে বিরোধীদল হওয়ার মতো আসনও শেখ হাসিনার দল পেতো কিনা সন্দেহ।