অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
কখনও বালিশ, কখনও রেল আবার কখনও কয়লা চুরি এভাবে রাষ্ট্রীয় টাকা লোপাটের যেনো শেষই হচ্ছে না। পাবনার রূপপুরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রের গ্রীন সিটির বালিশ কেলেংকারির পর এবার সামনে এসেছে রেলের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর বাসা মেরামত কেলেংকারি। আর বড় পুকুর কেলেংকারি বেশ পুরানো হলেও আবার নতুনভাবে লুট শুরু হয়েছে সেখানেও। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ট্রাস্টি বোর্ডের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা বিভিন্ন অযুহাতে ৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, স্টাফদের পেনশন প্রথা চালুসহ বেশকিছু সুবিধা এনে দেয়ার কথা বলে ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত তিন দফায় ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বিধিবহির্ভূতভাবে এই অর্থ দিয়ে আসছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেয়ার কথা বলে এই অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে তারা।
জানা যায়, যারা এইসব কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের এরই মধ্যে অন্যত্র বদলি করে দেয়া হয়েছে। কথা অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় বেশকিছু দিন এ নিয়ে কানাঘুষা চলছিল। একপর্যায়ে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় ৮ এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উপমহাব্যবস্থাপক জাফর সাদিকের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে রেল সেক্টরেও থেমে নেই হরির লুট। রেলের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর বাসা মেরামতের জন্য সরকারি বরাদ্দ করেছে ২৮ লাখ টাকা।
জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর বাসা মেরামতে ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার পর গত ১৩ মার্চ আলমগীর, মনির হোসেন, শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ জুয়েল ও মো. জসিম নামে কতিপয় ঠিকাদার রেলমন্ত্রী বরাবর একটি অভিযোগ দেন। অবশ্য ততদিনে মেরামত কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। অভিযোগকারীরা তাদের দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএমের পরিচয় ব্যবহার করে সাইফুল নামে এক ঠিকাদার কাজটি করেছেন। অধিকাংশ মেরামত কাজে দুর্নীতি হয় বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে একজন কর্মচারীর বাসা মেরামতে ২৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়নি। চার থেকে পাঁচটি পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি একাই এই খরচ দেখিয়েছেন। এবিষয়ে ঠিকাদার সাইফুলের মোবাইল ফোনেও একাধিকবার কল দেওয়া হয়। তিনিও রিসিভ করেননি।
অভিযোগ রয়েছে, সিআরবি এলাকায় রেলের ভিআইপি রেস্ট হাউস মেরামতের জন্য কয়েকটি ধাপে টেন্ডার ছাড়াই প্রায় ৮০ লাখ টাকার কাজ বরাদ্দ দেন প্রধান প্রকৌশলী আবদুল জলিল। এরই মধ্যে বেশ কিছু কাজ করিয়ে নিয়েছেন মৌখিক নির্দেশে। একই ঠিকাদারকে সব কাজ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ শতাংশ হারে অগ্রিম ঘুষও নিয়েছেন তিনি।
এইসব লুটপাট কাণ্ড নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়ের বেতন নিয়েও। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উন্নয়নকে হাইস্যকর করে তারা বলেছেন, এ উন্নয়ন শুধুমাত্র পকেট ভর্তির উন্নয়ন। অনেকেই বলছেন, দেশে এখন আওয়ামী লীগময় উন্নয়ন হচ্ছে।