• যোগাযোগ
বুধবার, মে ১৪, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: শুধু সুন্দরবন নয়, প্রতি বছর দেশের ৫০০০ কোটি টাকা ক্ষতি!

আগস্ট ২৩, ২০১৯
in Home Post, slide, বিশেষ অ্যানালাইসিস
Share on FacebookShare on Twitter

অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক

বিশেষজ্ঞ মতামত ও সকল জনমতকে উপেক্ষা করেই ঐতিহ্যবাহী সুন্দরবনের অতি নিকটবর্তী রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন মারত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন হবে। শুধু সুন্দরবনই ধ্বংস হবে না, পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে ওই এলাকার কৃষি জমির ওপরও এটার মারাত্ম প্রভাব পড়বে।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সরকার ১৮৩০একর ধানী জমি অধিগ্রহণ করেছে। এর ফলে ৮ হাজার পরিবার উচ্ছেদ হয়ে যাবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মসংস্থান হতে পারে সর্বোচ্চ ৬০০ জনের। ফলে উদ্বাস্তু এবং কর্মহীন হয়ে যাবে প্রায় ৭৫০০ পরিবার। শুধু তাই নয়, এর ফলে প্রতি বছর হারাতে হবে কয়েক কোটি টাকার কৃষিজ উৎপাদন। এইতো গেল কৃষকের দুর্ভোগের কথা। এবার দেখুন পরিবেশের কি ক্ষতি হবে?

কয়লাভিত্তিক যেকোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে অন্য যে কোনো প্রকল্পের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। বিশেষত ভষ্মিভূত কয়লার ছাই এবং উৎপন্ন গ্যাসের ফলে বায়ু ও পানি দূষণের যুগপৎ প্রভাবের কারণে এই ক্ষতি হয়। এ ধরনের প্রকল্প এলাকার আশেপাশের অঞ্চলে এসিড বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে যা বৃক্ষ এবং বনাঞ্চলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে ভয়ানক মাত্রায়। যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা যায় যে, ২০১০ সালে দেশটির মোট কার্বন ডাই অক্সাইডের ৮১ ভাগ উদগীরণ করেছে কয়লাভিত্তিক প্রকল্পগুলো, যা থেকে মোট শক্তির মাত্র ৪১ ভাগ পাওয়া গেছে। এই সকল বিবেচনায় পৃথিবী ব্যাপি সকল দেশেই কয়লাভিত্তিক প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।

সাম্প্রতিককালে এই ধরনের প্রকল্প এড়িয়ে চলার চেষ্টাটাই বেশি চোখে পড়ে। এ ধরনের কয়লাভিত্তিক প্রকল্প প্রতি ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রায় ২.২ বিলিয়ন গ্যালন পানির প্রয়োজন হয়। রামপালের প্রকল্পের ক্ষেত্রে তা নিঃসন্দেহে মেটানো হবে পশুর নদী থেকে। পশুর নদীর পানি নোনা ও মিঠা জলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের প্রয়োজন মেটাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই নদীটির সাথে ওই গোটা অঞ্চলের সামগ্রিক জীববৈচিত্রের সংযোগ রয়েছে। এটি ওই অঞ্চলের জনবসতির ক্ষেত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। কিন্তু এই প্রকল্প তৈরি করতে গিয়ে সেই নদীর অস্তিত্বকেই বিপন্ন করে ফেলা হচ্ছে।

সবমিলিয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে সুন্দরবন ও রামপাল এলাকায় এক ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। এছাড়া এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে যে লাভের কথা প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং লাভ হলে সেটা যাবে ভারতের পকেটে। আর লস হলে পুরো দায় নিতে বাংলাদেশকে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র মোটেও কোনো ভূমিকা রাখবে না। বরং ভারতের স্বার্থ টিকিয়ে রাখতে গিয়ে এক সময় রাষ্ট্রের রাজস্ব খাত থেকে টাকা দিয়ে এর ভর্তুকি মিটাতে হবে।

রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হবে দুই দেশের সমান অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুই দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি নামে একটি কোম্পানিও গঠন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অর্থায়ন করবে ১৫% পি ডি বি, ১৫% ভারতীয় পক্ষ আর ৭০% ঋণ নেয়া হবে। যে নীট লাভ হবে সেটা ভাগ করা হবে ৫০% হারে। আর প্রকল্পে যদি লস হয় তাহলে এর পুরো দায় নিতে বাংলাদেশকে। ভারতের শুধু লাভের অংশ নেবে, কোনো লস তারা নেবে না।

উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনবে পি ডি বি। বিদ্যুতের দাম নির্ধারিত হবে একটা ফর্মুলা অনুসারে। কী সে ফর্মুলা? যদি কয়লার দাম প্রতি টন ১০৫ ডলার হয় তবে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ এর দাম হবে ৫ টাকা ৯০ পয়সা এবং প্রতি টন ১৪৫ ডলার হলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৮ টাকা ৮৫ পয়সা। অথচ দেশীয় ওরিয়ন গ্রুপের সাথে মাওয়া, খুলনার লবন চড়া এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারাতে যে তিনটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের যে চুক্তি হয়েছে পি ডি বির সাথে সেখানে সরকার মাওয়া থেকে ৪ টাকায় প্রতি ইউনিট এবং আনোয়ারা ও লবন চড়া থেকে ৩টাকা ৮০ পয়সা দরে বিদ্যুৎ কিনবে।

কিন্তু, সরকার ১৪৫ ডলার করে রামপালের জন্য কয়লা আমদানির প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে। এরফলে ৮ টাকা ৮৫ পয়সা দিয়ে পি ডি বি এখান থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনবে।

আরও মজার বিষয় হলো-১৪৫ ডলার করে যে কয়লা কিনা হবে সেটাও আনবে ভারত থেকে। বিশ্ববাজারে যে কয়লার দাম কোয়ালিটি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০- ৮০ ডলারের কাছাকাছি। আর ৭০% বিদেশী ব্যাংক থেকে যে ঋণ আনা হবে, ওই ঋনের সমস্ত সুদ বহন করবে বাংলাদেশ। এছাড়া ঋণের টাকাও নাকি নেয়া হবে তাদের কাছ থেকেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যদি ২০ ঘণ্টা করে ৩০ বছর চালু থাকে এবং ইউনিট প্রতি ৪.৮৫ টাকা আর্থিক ক্ষতি ধরা হয় কেবল তাহলেই অঙ্কটা দাঁড়াবে এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা! এ হিসাবে প্রতি বছল বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা।

দেশের স্বার্থে নয়, শুধু ভারতকে খুশি করতেই শেখ হাসিনা দেশের এমন সর্বনাশী পরিকল্পনা করছে।

সম্পর্কিত সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে
Home Post

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য
Home Post

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক
Home Post

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫

জনপ্রিয় সংবাদ

  • একজন বীর শহীদ তিতুমীর: মুসলিম জাতির প্রেরণা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির যত মামলা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • বিতর্কিত আজিজের সাক্ষাৎকার নিয়ে লে. কর্নেল মুস্তাফিজের বিশ্লেষণ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রক্তাক্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বিচার গণহত্যার দিন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫
ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

মার্চ ১৯, ২০২৫
কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

মার্চ ১৬, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD