অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
এবার জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়ে দুইটি পুরস্কার আনতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটি হলো কথিত ভ্যাকসিন হিরো আর অপরটি হলো চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ূথ অ্যাওয়ার্ড। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই দুইটি পুরুস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই লবিং করে আসছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। এজন্য লবিং ফার্মকে তারা মোটা অংকের টাকাও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, শেখ হাসিনা এই দুই পুরুস্কার পাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আনন্দে আত্মহারা। দেখা গেছে দেশের রাস্তা-ঘাট ,অফিস-আদালতসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার-ফ্যাস্টুন লাগিয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের নেতারা।
প্রধানমন্ত্রীর এসব পুরস্কার নিয়ে আওয়ামী নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত হলেও এনিয়ে হাসি-মশকরা এবং নেতিবাচক আলোচনা করছেন দেশের বয়জোষ্ঠ থেকে শুরু করে সাধারন স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা । অনেকেই বলছেন-তরুণদের জন্য শেখ হাসিনা এমন কি করেছেন যে যার জন্য তাকে পুরস্কার দিতে হবে। আবার অনেকেই বলছেন, ক্যাসিনো অভিযানে কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসায় মিডিয়াকে মুখ ঘুরাতে এই পুরস্কার।
এছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান তরুণ সমাজ যে একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করছেন তারা। ২০০৯ সালের নির্বাচনে ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের লাবিং-এ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সারাদেশে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা ও মাদকের বিস্তার শুরু হয়। এ অবস্থা এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে পর্যন্ত ইয়াবা মাদক চলে গেছে। একেবারে সহজভাবে বলা যায়-দেশে এখন মাদক এক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। যুবক, তরুণ ও কিশোররা প্রতিনিয়ত ব্যাপকভাবে মাদকাসক্ত হচ্ছে। এসব নিয়ে মানুষ এখন চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে আছে।
আর যারা এই মাদক সারাদেশে সাপ্লাই দিচ্ছে তারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সারাদেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই মূলত এই ইয়াবা ও মাদকের ডিলার। এছাড়া প্রতিবেশি দেশ ভারত ও মায়ানমার থেকে যারা ইয়াবা, ফেনসিডিল ও মাদক আমদানি করছে তারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতা। অনেকেই বলছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে ইয়াবা আর মাদক দিয়ে এদেশের যুবক, তরুণ ও কিশোরদেরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
এভাবে তরুণদের হাতে হাতে মাদক ধরিয়ে দিয়ে আবার তরুণদেরকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার নামে শেখ হাসিনার পুরস্কার গ্রহণ করা হাস্যকর ছাড়া আর কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল। তার বলছেন, ক্ষমতাসীন সরকার আসার পর থেকে ক্যাসিনো বাণিজ্যের নামে প্রতিটি ক্লাবে মদ,জুয়ার আড্ডাদিয়ে একদিকে জাতির মেরুতন্ড যুব সমাজকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন নামে দেশের ছাত্র, ও যুব সমাজকে অপসংস্কৃতির চর্চা করিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলছে।