ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে বিড়ম্বনায় পড়েন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) দেখিয়ে নিজের ভোট দেন তিনি।
শনিবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে উত্তরার আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দেন তিনি। সিইসি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোটার।
ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এবার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকার দুই সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্র ও ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষ এবং দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে।
গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল গত ৩১ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ জানুয়ারি, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ৯ জানুয়ারি। ভোটগ্রহণের তারিখ ৩০ জানুয়ারি থাকলেও ওইদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা থাকায় তা পরিবর্তন করে ১ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। গত ১০ জানুয়ারি প্রচার শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার প্রচার শেষ হলো। মোট ২১ দিন প্রচারের সুযোগ পান প্রার্থীরা।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রাজধানীর সবগুলো কেন্দ্রে ট্রায়াল (মক) ভোট হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্র সরেজমিনে ঘুরে নানা বিপত্তি দেখা গেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ইত্তেফাক।
এর মধ্যে নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তারাই সঠিকভাবে মেশিন চালাতে পারছেন না। আবার কোনো ধরনের গড়বড় হলে কীভাবে ঠিক করা যাবে তার কোনো প্রশিক্ষণ নেই তাদের। পাশাপাশি বিদ্যুত্ নিয়ে এক ধরনের শঙ্কার কথাই প্রকাশ করেছেন অনেকে। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, প্রথমদিকে ইভিএমে ত্রুটি থাকলেও এবার প্রস্তুতি বেশ ভালো আছে।
এদিকে ইভিএমে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ ভোটাররাই। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের আঙুলের ছাপ না মিললেও প্রিজাইডিং অফিসার শতকরা এক ভাগ ভোটারকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে পারবেন। প্রয়োজন মনে করলে, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে এই ভোটের সংখ্যা আরো বাড়িয়েও নিতে পারবেন। এখন প্রিজাইডিং অফিসাররা এই সুযোগ কাদের দেবেন বা কীভাবে দেবেন সেটা নিয়েও অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া তারা এই সংখ্যা বাড়িয়ে নিলেও কেউ জানতে পারবে না বলে মনে করেন তারা। এটা বন্ধ রাখার পক্ষেই মত সাধারণ ভোটারদের।
সূত্র: জাগো নিউজ ও বাংলা নিউজ