অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
অবশেষে কেন্দ্র দখল করে ডিজিটার কারচুপির মাধ্যমে আওয়ালীগ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হলো। নির্বাচন রুখতে না পেরে প্রত্যাখ্যা করে আগামীকাল সকাল সন্ধ্যা হরতালও দিয়েছে বিএনপি।
দেখা গেছে, শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণে ফজলে নুর তাপস ও উত্তরে আতিকুল ইসলামকে জেতাতে সব আয়োজন করে রেখেছিলো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগের নেতাকর্মীদেরকে দ্বারা ভোটকেন্দ্র দখল করে।
এর অগে অ্যানালােইসিস বিডি কেন্দ্র দখলের ষড়যন্ত্র আ.লীগের, ঠেকাতে পারবে বিএনপি? এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে নির্বাচনে ভোট কেমন হবে ও ক্ষমতাসীনদের ভূমিকা নিয়ে দুইটি দিক উল্লেখ করা হয়। অবষেশে প্রতিবেদনটি সত্য হয়েছে।
অ্যানালাইসিস বিডির প্রতিবেদনে প্রথমত উল্লেখ করা হয়েছিলো ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন থাকবে তবে সেই লাইনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং তাদের ভোটাররাই থাকবে। বিএনপির ভোটার ও সাধারণ মানুষ ভোট দেয়ার বেশি সুযোগ পাবে না। বাইরে পরিবেশ থাকবে শান্ত আর ভেতরে সিল মারা হবে নৌকায়।
দেখা গেছে, বিভিন্ন কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন ধরে আছেন মানুষ। কিন্তু তাদের কেউই ভোটার নয়। এছাড়া সিল মারতে না পরলেও ভোটার দের স্থানে গিয়ে নিজেরা ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে ভোট দিয়েছে।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দিতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে আঙুলের ছাপও দিয়েছিলেন। তবে ভোট দেওয়ার বাটনে চাপ দিতে পারেননি, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি বাটন চাপ দিয়ে তাঁর ভোট দিয়ে দিয়েছেন। এমন কাজে হতবাক তিনি, বের হয়ে এসে অভিযোগ করতে থাকেন।
নাম পরিচয়ে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি জানান, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একজন তাঁর ভোট বাটন চেপে দিয়ে দিয়েছেন।
ঐ প্রাতবেদনে দ্বিতীয়ত যে বিষয়টি উল্লেখ কার হয় সেটি হলো, কিছু কিছু কেন্দ্র তারা জোরপূর্বকভাবে দখল করে নেবে। আর সেই কাজটি তারা সকাল সকালই করে ফেলবে।
ভোটের দিন রাত থেকে বিভিন্ন জায়গায় ভোট কেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষ ও বাকবিতন্ডতা দেখা যায়। সকাল থেকে কয়েক টি ভোট কেন্দ্র দখলও করে নেয় তারা।
দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি কেন্দ্রের কোথায়ও ধানের শীষের এজেন্ট নেই। সর্বশেষ এনএক্স (কাজী মোতাহার হোসেন ভবন) কেন্দ্রের এজেন্টদের বের করে দিয়ে সব কেন্দ্রই নৌকার দখলে নেওয়া হয়। বাইরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতি। তবে ভেতরে ভোটার দেখা যায়নি।
এছাড়া ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে বিড়ম্বনায় পড়েন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) দেখিয়ে নিজের ভোট দেন তিনি।