অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের জনগণের দাবি ও মতামতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আগামী ১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গুজরাটের কসাই খ্যাত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার মোদির মুখপাত্র রবিশ কুমার মোদির বাংলাদেশে আসার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মুসলমানদের ওপর ক্ষমতাসীন বিজেপির গুন্ডা-পান্ডা ও সন্ত্রাসীরা নির্বিচারে গুলি করে মুসলমানদের হত্যা, বাড়িঘরে হামলা ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় মোদির প্রশাসন সন্ত্রাসীদেরকে বাধা দেয়ার পরিবর্তে উল্টো সহযোগিতা করেছে। কোনো উপায় না দেখে অসহায় মুসলমান নারী পুরুষ তাদের শিশু সন্তানদেরকে নিয়ে প্রাণভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও ভারতের মুসলমানদের বক্তব্য থেকে জানা গেছে, রাজধানী দিল্লিকে মুসলিম শূন্য করার লক্ষ্যেই নরেন্দ্র মোদি সরকার মুসলমানদের ওপর হত্যা নির্যাতন চালাচ্ছে।
ভারতে মুসলমানদের ওপর হত্যা নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনসহ ওলামায়ে কেরাম, তৌহিদী জনতা, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও প্রতিবাদ করছে।
আগামী ১৭ অনুষ্ঠিত শেখ মুজিবের জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে না আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে প্রতিবাদকারী সংগঠনগুলো। এমনকি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিশিষ্ট জনেরাও শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে মোদিকে না আনতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী সংগঠনগুলোর নেতারা সরকারকে হুশিয়ার করে বলেছেন, যদি মোদিকে বাংলাদেশে আনা হয় তাহলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে। কড়া ভাষায় হুমকি দিয়েছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরও।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করেই নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে আনার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার যদি আগামী ১৭ মার্চ মোদিকে বাংলাদেশে আনে তাহলে ইসলামী দল, ওলামায়ে কেরাম, তৌহিদী জনতা বড় ধরণের প্রতিবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
হেফাজতে ইসলাম, চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাধিক নেতা বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি এর আগেও বাংলাদেশে এসেছেন। আমরা কিন্তু তখন প্রতিবাদ করিনি। মোদি এখন আর আগের মোদি নয়, তিনি এখন একজন খুনিতে পরিণত হয়েছেন। নরেন্দ্র মোদিকে একজন বিশ্ববাসী চিনে একজন খুনি হিসেবে। ভারতের মুসলমানদেরকে হত্যা করে মোদি এদেশের মুসলমানদের কলিজায় আগুন দিয়েছে। এদেশের মুসলমানরা জীবন থাকতে বাংলাদেশে মোদিকে কোনোভাবেই বরদাশত করবে না।মোদিকে ঠেকাতে যা যা করা দরকার সবই করবো আমরা।
মোদির আগমনের দিন কি ধরণের কর্মসূচি তারা দিতে পারে জানতে চাইলে একজন শীর্ষ আলেম বলেন, আমরা প্রতিবাদ করবো। সেই প্রতিবাদ কোথায় ও কিভাবে হবে সেটা আমরা এখন বলবো না।তবে এতটুকু জেনে রাখুন, শক্ত প্রতিবাদ হবে। সরকার বাধা দিলে পরিস্থিতি যেকোনো মোড় নিতে পারে বলে জানান। ইতিমধ্যে মোদিকে রুখতে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে, হাতে জুতা নিয়ে বিমানবন্দরে থাকার ঘোষনা দিয়েছে হেফাজত ইসলামী।