অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও জনাব হামিদুর রহমান আজাদসহ ১০ জনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেছে নেতাকর্মীরা।
আজ সন্ধ্যায় জামায়াত নেতাদের গ্রেফতার করায় তাৎক্ষণিক ভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
রাজধানীতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী উত্তর শাখার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, শিবিরের কেন্দ্রীয় কলেজ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মারুফ, ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা শিবির সভাপতি শাব্বির বিন হারুন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
একই সময় বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী উত্তর শাখার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, শিবিরের কেন্দ্রীয় কলেজ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মারুফ, ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা শিবির সভাপতি শাব্বির বিন হারুন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া সারাদেশে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানায় শাখা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এদিকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের মুক্তির আহ্ববান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে। সরকার দীর্ঘ এক যুগ ধরে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার কেঁড়ে নিয়েছে। কোনো দলকেই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিচ্ছে না। সরকারের সবচাইতে জুলুম-নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালানো হয়েছে। অনেককে গুম করা হয়েছে ও পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। শত জুলুম বুকে ধারণ করে জামায়াত নিয়মতান্ত্রিকভাবে তার স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের ১৮ মাসে জামায়াত জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দেয়ার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার আছে। এটা দেশের জনগণের নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারো নেই। গায়ের জোরে বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। অতীতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে জনগণের ন্যায় সংগত অধিকার আদায়ের কোনো আন্দোলনকে দমন করা যায়নি। এখনো যাবে না ইনশাআল্লাহ। আমি সকল ষড়যন্ত্র ও জুলুম বন্ধ করে গ্রেফতারকৃত সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদসহ গ্রেফতারকৃত ১০ জনকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এছাড়া ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আযাদসহ ১০ জনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়েছে লেবার পার্টি।
সোমবার সন্ধ্যায় লেবার পার্টির দফতর সম্পাদক আমানুল্লাহ মহব্বত স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার শান্তিপূর্ন কর্মসূচী থেকে জামায়াতের শীর্ষনেতাদের গ্রেফতারের ঘটনা বিরোধীদল ও মতের শক্তিকে নির্মুলের অংশ মাত্র। দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও গণবিরোধী সরকার জনগণের দৃষ্টি আড়াল করতে বিএনপি-জামায়াতের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা ক্রমশঃ বাড়িয়ে দিয়েছে।
লেবার পার্টি অবিলম্বে শান্তিপূর্ণ কর্মসুচী থেকে গ্রেফতারকৃত জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আযাদ, নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যাপক আবদুর রব, অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসেন ও শিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত-সহ ১০ নেতা-কর্মীকে মুক্তি দেয়ার আহবান জানান।
জানা যায়, জামায়াতের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই বৈঠক থেকে সরকার অন্যায়ভাবে জামায়াতের সাতজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে।
Discussion about this post