অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সাংবাদিকদের শীর্ষ ৬টি সংগঠনের সভাপতি-সেক্রেটারিদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইন্টিলিজেন্স ইউনিট। এ নিয়ে দেশের সাংবাদিকদের মধ্যে ইতিবাচক-নেতিবাচক দুই ধরণের প্রতিক্রিয়াই সৃষ্টি হয়েছে। যদিও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন-এ বিষয়ে তিনিও কিছু জানেন না। কিন্তু একাধিক সূত্রে জানা গেছে-সরকার এবং সরকারপন্থী কয়েকজন সাংবাদিকের ইঙ্গিতেই ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।
তবে লক্ষণীয় বিষয় হল-সাংবাদিকদের মধ্যে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিতদের কারো নাম নাই। দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, একুশে টিভির সিইও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, একাত্তর টিভির মালিক মোজাম্মেল বাবু, ইশতিয়াক রেজা, শাবান মাহমুদ, একাত্তর টিভির ফারজানা রূপা, একাত্তরের মিথিলা ফারজানা, এটিএন বাংলার মাহফুজুর রহমান, মুন্নি সাহা, জয় ই মামুন, ইত্তেফাকের ফরাজী আজমল, কালেরকণ্ঠের সম্পাদক এমদাদুল হক মিলন, পীর হাবিবুর রহমান, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফী, ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য, ঢাকা পোষ্টের সম্পাদক, বাংলানিউজের সম্পাদক, সারাবাংলাডটকমের সম্পাদকের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়নি। অথচ তারা বিগত ১২ বছর ধরে সরকার থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে সরকারের পক্ষে দালালি করে আসছে। এমনকি ভারতীয় দূতাবাসও তাদেরকে টাকা দেয়।
সচেতন সাংবাদিক সমাজ মনে করেন-সরকারের আসল উদ্দেশ্য দুর্নীতিবাজদের ধরা নয়। যাদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি সরকারের টাকা যাচ্ছে সরকার তাদেরকে ধরছে না। কোন কোন সাংবাদিক নেতা ও সিনিয়র সাংবাদিক দুর্নীতির সাথে জড়িত সেটা সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঠিকই জানে। কিন্তু তারা সরকারের দালালি করার কারণে সরকার তাদেরকে ধরছে না।
আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসাব তলবের পেছনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের হাত রয়েছে। কারণ, কিছু দিন আগে তার স্বামী নঈম নিজামের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছিল। সেই প্রতিশোধ নিতেই ফরিদা ইয়াসমিন এ কাজ করিয়েছে। যদিও ফরিদা ইয়াসমিনের নামও রয়েছে।
Discussion about this post