অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
কোনো প্রকার যৌক্তিক কারণ ছাড়াই সকল প্রকার জ্বালানির দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে জনগণের উপর আরেকটি বোঝা চাপিয়ে দিল অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন জ্বালানির দাম নিম্নগামী ঠিক তখন শেখ হাসিনা এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার কারো সাথে কোনো পরামর্শ করেনি, হুট করেই সকল প্রকার জ্বালানির ৫০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করেছে।
গত ২৭ জুলাই, মাত্র এক সপ্তাহ আগে শেখ হাসিনা দেশের বুদ্ধিজীবীদেরকে উপহাস করে বলেছিলেন-তাদের কোনো পড়াশোনা নেই, তারা জানে না যে, অকটেন ও পেট্রল আমাদের নিজস্ব উৎপাদিত। এগুলো আমাদের চাহিদার চেয়ে বেশি আছে। অকটেন আর পেট্রল আমরা বিদেশে বিক্রি করতে পারি। এগুলো আমাদের কিনতে হয় না।
কিন্তু এক সপ্তাহ পরই, শেখ হাসিনা সেই অকটেন ও পেট্রলের দাম বাড়িয়ে দিগুন করেছে। ডিজেল কেরোসিন আমদানি করতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়েছে। যদিও বিশ্ব বাজারে এখন জ্বালানির দাম নিম্নগামী। কিন্তু, অকটেন আর পেট্রলতো আমদানি করতে হয় না। এমনকি আমাদের চাািহদার চেয়েও এগুলো বেশি মজুত আছে। তাহলে এগুলো দাম বাড়িয়ে দিগুন করা হল কেন?
হঠাৎ করে জ্বালানির দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে দেশের মানুষ চরমভাবে সরকারের উপর ক্ষিপ্ত হয়েছে। কারণ, এর প্রভাব মানুষের জীবন যাত্রার সকল কিছুর উপর গিয়ে পড়বে। গণবিরোধী এই সিদ্ধান্তের জন্য মানুষ কঠোর ভাষায় সরকারের সমালোচনা করছে।
বিশেষ করে-অকটেন ও পেট্রলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি মানুষ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। মানুষের প্রশ্ন একটাই-যেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন-আমাদের চাহিদার চেয়ে অকটেন ও পেট্রল বেশি আছে। তাহলে এগুলো দাম বাড়লো কেন? এত অকটেন আর পেট্রল গেল কোথায়? এত অকটেন আর পেট্রল মজুত থাকতে সরকার কেন জনগণের ঘারে অতিরিক্ত দামের বোঝা চাপিয়ে দিল?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে শুধু বিদেশি ডলার সংকট নয়, সরকারের কাছে নগদ টাকাও নাই। রাষ্ট্রীয় কোষাগার আরো অনেক আগেই ফুতুর করে ফেলছে। দেশ চালানোর মতো কোনো টাকা আর সরকারের কাছে নাই। তাই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে সরকার এখন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বিশ্ব বাজারের অজুহাত দেখিয়ে ডিজেলের সাথে অকটেন আর পেট্রলের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ, সরকারের এখন টাকা দরকার।
Discussion about this post