আজ ১১ মে। বাংলার ইসলামপন্থী মানুষের প্রিয় নেতা, আমীরে জামায়াত শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ৭ম শাহদাতবার্ষিকী। ২০১৬ সালের এই দিনে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার জনপ্রিয় এই নেতাকে হত্যা করে।
মাওলানা নিজামী ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মাধ্যমে তার ছাত্ররাজনীতি শুরু করেন । ১৯৬১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ‘ইসলামী জমিয়তে তলাবার’ সাথে যুক্ত হন। পরপর তিন বছর তিনি পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী জমিয়তে তলাবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর দুইবার তিনি পাকিস্তান ইসলামী জমিয়তে তলাবার কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
মাওলানা নিজামী ছাত্রজীবন শেষ করে বৃহৎ ইসলামী আন্দোলন জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। ১৯৭৮-১৯৮২ পর্যন্ত তিনি ঢাকা মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩-১৯৮৮ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি । ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বরে সেক্রেটারী জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং আমীর নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত (২০০০সাল) দায়িত্ব পালন করেন।
ষাটের দশকে আইয়ুব সরকার বিরোধী আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানের আন্দোলন, স্বৈরাচার বিরোধী ৯০ এর আন্দোলন, ৯৬ তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রর্বতনের আন্দোলন সহ তিনি অন্যান্য সকল রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আপামর জনতার সাথে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর নির্বাচিত হন ২০০১-২০০৩ এবং ২০০৪-২০০৬ সেশনে। তিনি ২০০৭-২০০৯ এবং ২০১০-২০১২ সেশনে পুনরায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর নির্বচিত হন । শহীদ মাওলানা নিজামী রহ. জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশ সরকারের কৃষি (২০০১-০৩) ও শিল্প মন্ত্রনালয়ের (২০০৩-০৬) মন্ত্রী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।
দ্যা রয়েল ইসলামিক ষ্ট্র্যাটেজিক ষ্টাডিজ সেন্টার নামক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলমান ২০১৩/২০১৪ সংস্করণের তালিকায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে তিনি স্থান লাভ করেন। তাঁর শাহদাতে ইখওয়ানুল মুসলেমিন, আন নাহাদা, হামাসসহ সারা পৃথিবীর সকল ইসলামী সংগঠন প্রতিবাদ করে ও হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে।
বাতিলরা চেয়েছিলো নেতাদের হত্যা করার মধ্য দিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে দমিয়ে দিবে। কিন্তু দ্বীন প্রতিষ্ঠার এই প্রত্যয়দীপ্ত কাফেলাকে হিফাযত করবেন মহান আল্লাহ তায়ালা।
Discussion about this post