অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক:–
ক্ষমতার শেষ প্রান্তে এসে এখন চরম বেপরোয়া হয়ে উঠেছে শেখ হাসিনা। কথিত উন্নয়নের নামে শত শত প্রকল্প খুলে বিগত ১৫ বছর ধরে রাষ্ট্রের সম্পদ লুট করছে শেখ হাসিনা। এমন কোনো সেক্টর নেই যেখান থেকে শেখ হাসিনা, তার ছেলে জয়, বোন রেহানা ও তার দলের নেতারা লুটপাট করেনি। সব খাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভও খেয়ে ফেলছে। বেপরোয়া হাসিনা এখন উল্টো দেশের জনগণকে হুমকি দিচ্ছে। রিজার্ভ নিয়ে বেশি কথা বললে নাকি সব বন্ধ করে দিবে।
২০২১ সালের আগষ্টে বাংলাদেশের রিজার্ভ দাড়িয়েছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। সেই রিজার্ভ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। দুই বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে।
হঠাৎ করে রিজার্ভ এত কমলো কেন? এই প্রশ্ন এখন সকল শ্রেনি পেশার মানুষের মুখে মুখে। এ নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছেন দেশের অর্থনীতিবিদরাও। তারা বলছেন, শুধু আমদানি বিল, বিদেশে চিকিৎসা, ভ্রমণ, শিক্ষা সেবা সার্ভিসের জন্য রিজার্ভ এভাবে কমছে এটা বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে যেমন আমদানি বিল বেড়েছে, ঠিক তেমনি আমদানিও কমেছে। তারপরও আমাদের রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় আসা বন্ধ হয়নি। তারপরও রিজার্ভ এত দ্রুত গতিতে কমছে কেন? এর পেছনে অন্য কারণ আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশের রিজার্ভ দ্রুত গতিতে কমার মূল কারণ হল অর্থপাচার। আমদানি-রপ্তানির আড়ালে ব্যাপক অর্থপাচার হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার যোগ দেয়ার পর থেকেই এটা ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টর থেকে লুটপাট করার জন্যই যে শেখ হাসিনা আব্দুর রউফ তালুকদারকে গভর্নর হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে বসিয়েছে সেটা নিয়ে এক বছর আগেই অ্যানালাইসিস বিডিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল। অ্যানালাইসিস বিডির সেই প্রতিবেদন এখন শতভাগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
দেখা গেছে, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার শরীফুল আলমের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ১০টি ব্যাংক। গত দুই বছরে এই ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে তুলে নিয়েছে। ভুয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে এসব টাকা উত্তোলন করা হলেও এগুলোর কোনো অস্তিত্ব নাই। সব টাকাই আমাদানি রপ্তানির আড়ালে পাচার করে দেয়া হয়েছে।
আরও জানা গেছে, রাষ্ট্রয়ত্ব সবগুলো ব্যাংক এখন সমস্যাগ্রস্ত। এর মূল কারণ হল ভুয়া লোন প্রদান। আর এসব লোনের পেছনে যার হাত রয়েছে তিনি হলেন শেখ হাসিনার শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংক থেকেই তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের দিয়ে লোন তুলে টাকা নিচ্ছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংককিং সেক্টর থেকে যত ভুয়া লোন দেয়া হচ্ছে সবই হচ্ছে সরকারের ইশারায়। এমন কি এসব টাকার বড় অংশ যাচ্ছে শেখ হাসিনার কাছে। আর শেখ হাসিনা এসব টাকা বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের দিয়ে কথিত আমদানি-রপ্তানির নামে বিদেশে পাচার করছে। যার কারণে দ্রুত গতিতে কমছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাপক দুর্নীতি-লুটপাটের কারণেই রিজার্ভ দ্রুত গতিতে কমছে। এসব পাচারের সাথে সরকার সরাসরি জড়িত। এজন্যই রিজার্ভ নিয়ে শেখ হাসিনা কিছু শুনতে চাচ্ছেন না।
Discussion about this post