সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের অত্যাচারে হিন্দু সম্প্রদায় আজ দিশেহারা বলে অভিযোগ করেছেন হিন্দু মহাজোটের নেতারা। তাঁরা বলছেন, এত কিছুর পরও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাংক এই দলটির হাতেই ছিল। এই দলটি খুব সার্থকভাবে কিছু দালাল তৈরি করতে পেরেছে। প্রধান বিচারপতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায় সেই দালালদের চিনতে পেরেছে।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা এসব অভিযোগের কথা বলেন। প্রধান বিচারপতির রায়কে ঘিরে ওঠা সমালোচনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির পদ একটি সাংবিধানিক পদ। তিনি কোনো ব্যক্তি নন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁকে নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেওয়া আদালত অবমাননার শামিল। কিন্তু আজ সরকারের মন্ত্রী থেকে সরকারি দলের বড় বড় নেত্রী যেভাবে, যে ভাষায় প্রধান বিচারপতিকে আক্রমণ করে কথা বলছেন, তা ইতিহাসে বিরল।
গোবিন্দ চন্দ্র বলেন, ‘আমরা আদালতের রায় ও পর্যবেক্ষণগুলো দেখেছি। রায়ে বঙ্গবন্ধুকে কোনোভাবেই খাটো করা হয় নাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি মেধা ও যোগ্যতাবলেই প্রধান বিচারপতি হতে পেরেছেন। কারও দয়াদাক্ষিণ্যে নয়। আমরা মনে করি, এ দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন হওয়ার কারণেই তাঁকে এভাবে হেয় করা হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু মহাজোটের আন্তর্জাতিক সম্পাদক রিপন দে, যুগ্ম মহাসচিব মণিশঙ্কর মণ্ডল, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক প্রতিভা বাগচী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: প্রথম আলো
Discussion about this post