কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদী থেকে আরো সাত রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের কারো কারো শরীরে কোপানোর দাগ রয়েছে।
আজ বুধবার সকালে ও গতকাল মঙ্গলবার রাতে শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া ও নাজিপাড়া এলাকা থেকে এসব লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন খান।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে কয়েকটি নৌকা কক্সবাজারের শাহপরীর দ্বীপের দিকে আসার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। রাতে নাফ নদীর মোহনা শাহপরীর দ্বীপের কাছ থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে জালিয়াপাড়া থেকে দুই পুরুষ ও এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সর্বশেষ আজ সকালে নাজিপাড়ায় আরো দুই নারীর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে।
এদিকে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা সকালে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, যে দুই পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের গায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। মনে হচ্ছে, জখম হওয়ার পর তাঁরা নৌকায় করে নাফ নদী পাড়ি দিচ্ছিলেন। তার মধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হন।
আগস্টের শেষ সপ্তাহে রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিপদসংকুল নদী ও সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। সরকারি-বেসরকারি হিসাবমতে, এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। তবে নিখোঁজের কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।
সূত্র: এনটিভি অনলাইন
Discussion about this post