মিয়ানমারে রাখাইনদের জন্য নিরাপদ আবাসনের জন্য বাংলাদেশের দেয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচির কার্যালয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে দেশটির জাতীয় দৈনিক মিয়ানমার টাইমসের খবরে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারের ভেতরে সীমান্তের কাছে ‘সেভ জোন’ (নিরাপদ অঞ্চল) নামে বিশেষ অঞ্চল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ।
মিয়ানমারের আশঙ্কা, নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে সেটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
স্টেট কাউন্সিলর অফিসের মহাপরিচালক ইউ জ্য তে বলেছেন, নিরাপদ অঞ্চল তৈরির পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। একবার প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে আন্তর্জাতিক কর্মকর্তারা এর নিয়ন্ত্রণ নেবেন।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে নেই পি দোতে ইউ জ্য তে নিরাপদ অঞ্চল তৈরির প্রস্তাবের ব্যাখ্যা করেন। একইসঙ্গে দেশটির নেত্রী অং সান সুচি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে কেন অংশ নেবেন না -সে বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
সুচির কার্যালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, রাখাইন রাজ্যের দুটি সম্প্রদায়ের পুনর্বাসন ও মানবিক সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করার লক্ষ্যেই জাতিসংঘের সম্মেলনে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন স্টেট কাউন্সেলর
ইউ জ্য তে বলেন, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা, সুরক্ষা এবং নিরাপত্তায় গুরুত্বারোপ ও পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য তিনি সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। এছাড়া সুচির সফর বাতিলের পেছনে সন্ত্রাসীদের হামলা ও প্রেসিডেন্ট ইউ তিন কিয়াওয়ের অসুস্থতাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট ভোররাতে মিয়ানমারের সীমান্ত পুলিশের সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের সংঘর্ষ হয়।
এ সংঘর্ষের পর থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো লক্ষ্য করে অভিযান চালাচ্ছে। ফলে ব্যাপকসংখ্যক রোহিঙ্গা হত্যা-ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, এ অভিযানকালে এক হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে এবং প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৪ লাখ মানুষ।
সূত্র: যুগান্তর
Discussion about this post