রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ও হত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। আজ রোববার সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র মহাসচিব মুফতি ফায়েজুল্লাহ।
মুফতি ফায়েজুল্লাহ জানান, পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল সকাল ১১টায় মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করতে বায়তুল মোকাররম থেকে যাত্রা শুরু করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এই কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগরী ও এর আশপাশের হেফাজতের কর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী ঘোষণা দেন যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ও গণহত্যা বন্ধ করা না হলে ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস ঘেরাও করা হবে ।
সংবাদ সম্মেলনে আরাকানে (রাখাইন রাজ্য) রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমার সরকারের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান বাবুনগরী। এ ছাড়া প্রয়োজনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণার দাবিও জানান তিনি।
হেফাজতের মহাসচিব বলেছিলেন, রোহিঙ্গা নির্যাতন, হত্যার প্রতিবাদে ১৬ সেপ্টেম্বর সারা দেশে বিক্ষোভ করা হবে। এ ছাড়া ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও এবং ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ ও ওআইসি মহাসচিব বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে রাখাইন অভিমুখে লংমার্চ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা সলিমুল্লাহ, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আনাস মাদানি, মাওলানা সরোয়ার কামাল আজিজি, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহী প্রমুখ।
গত ২৪ আগস্ট রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা শুরুর পর শত শত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ পালিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসতে থাকে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, গত ২৪ আগস্টের পর দুই সপ্তাহে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে দুই লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এর আগে ২০১২ সালের জুনেও রাখাইন রাজ্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছিল। তখন প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা নিহত হন। ওই সময় দাঙ্গার কবলে পড়ে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
সূত্র: এনটিভি অনলাইন
Discussion about this post