• যোগাযোগ
শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

গণকবর থেকে রোহিঙ্গাদের লাশ সরিয়ে ফেলছে সেনারা

অক্টোবর ৫, ২০১৭
in Home Post, জাতীয়
Share on FacebookShare on Twitter

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের বুচিডংয়ের বিভিন্ন গণকবর থেকে রোহিঙ্গাদের লাশ সরিয়ে ফেরছে মিয়ানমার প্রশাসন।
গতকাল মঙ্গলবার ও আগের দিন সোমবার বুচিডংয়ের সিন্দিপ্রাং পাহাড়ি এলাকায় গর্ত খনন করে লাশ সরিয়ে নিতে দেখেছেন স্থানীয় পাহাড়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা। এদিকে রাচিডং, বুচিডং ও মংডুসহ বিভিন্ন এলাকায় লাশের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গাদের লাশ মাটি চাপা দিয়েছিল সৈন্যরা। শেয়াল-কুকুর সেসব মাটি থেকে বের করে আনছে। ফলে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কংকাল।

সূত্র জানিয়েছে, কয়েক প্লাটুন সেনা সদস্য শনিবার দুপুরে সিন্দিপ্রাং এর পাহাড়ি এলাকায় যায়। সেখানে কয়েকটি গর্ত খুঁড়ে শতাধিক লাশ তুলে ভ্যানে করে নিয়ে যায় তারা।

এ ব্যাপারে রোহিঙ্গারা বলছে, সম্প্রতি জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা আরাকান পরিদর্শনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু নিরাপত্তার অযুহাতে বিদেশী প্রতিনিধিদের আরাকানে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না মিয়ানমার। তবে কোনো সময় আরাকানে বিদেশী প্রতিনিধিরা এলেও তারা যাতে রোহিঙ্গাদের গণহত্যার আলামত খুঁজে না পান, সেজন্য গণকবর থেকে লাশ সরিয়ে ফেলছে প্রশাসন।

বুচিডংয়ের কয়েকটি গ্রামে এখনো কিছু রোহিঙ্গা রয়েছে। তবে তারা মৃত্যুর প্রহর গুনছে। অন্যদিক রাজ্যের চারটি শহর আকিয়াব (সিটওয়ে), মংডু, রাচিডং ও বুচিডংয়ের বিভিন্ন স্থানে থাকা তিন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা এখন পনবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

রাচিডংয়ের ২৪টি বড় রোহিঙ্গা পল্লীর ২২টিই ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে মিয়ানমারের সেনা ও নাডালাবাহিনী। যে দুই গ্রামে এখনো রোহিঙ্গা আছে তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে প্রশাসন। অজানা শঙ্কায় তারা ভেঙে পড়েছে। নাওয়া খাওয়া বন্ধ। খাবার পানির জন্যও বাইরে যেতে পারছে না তারা। পালানোর সুযোগও পাচ্ছে না। খাদ্যের অভাবে মারাও যাচ্ছে অনেকে। বেশিরভাগ মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।

রাচিডংয়ের আন্ডাং গ্রামে গত একসপ্তাহ ধরে ব্যাপক খাদ্যাভাবের জের হিসেবে এ পর্যন্ত চার রোহিঙ্গা মারা গেছে বলে সীমান্তের ওপার থেকে খবর পাওয়া গেছে। ওইসব গ্রাম থেকে বাংলাদেশে আসতে হলে কয়েকটি পাহাড়ী এলাকা হেঁটে পৌঁছতে হবে বাংলাদেশ সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকায়। ফলে ওই রোহিঙ্গাদের পক্ষে এ দুর্গম পথ অতিক্রম করাও অনেকটা দুঃসাধ্য। এছাড়া সেনা সদস্যরা এদের কাউকে বাড়িঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না। দিনে-রাতে শুধু গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। কখন কে কোথায় মরছেন তা জানাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

গত সোমবার রাতেও শাহনপরীর দ্বীপের নাফনদীর পয়েন্ট ও টেকনাফের সাগর উপকূলীয় বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করেছে দুই হাজার রোহিঙ্গা। তারা র্দীঘদিন পাহাড়-জঙ্গলে অবস্থান করে নাফ নদী অতিক্রম করে রাতের বেলা এসে শাহপরীর দ্বীপে প্রবেশ করছে। সকালে শাহপরীর দ্বীপ হয়ে টেকনাফের নয়াপাড়া, লেদা ও লক্ষ্যইং ও উখিয়ার বালুখালী, কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যম্পের দিকে যান। গত সোমাবার রাত ৯টার দিকে এপারে ভিড়েছিল প্রায় অর্ধশত নৌকা। প্রতিটি নৌকায় ১৫-২০ জন করে রোহিঙ্গা নারী, শিশু, বৃদ্ধ। একটি নৌকায় মংডুর কাইন্দা পাড়া থেকে এসেছেন আব্দুল মতলব এর পরিবারের আট সদস্য। সাথে বৃদ্ধা মা, পাঁচ শিশু সন্তান ও স্ত্রী রহিমা খাতুন। নাফ নদের পাড় থেকে ওঠে বেড়িবাঁধের ধারে দাঁড়িয়ে কথা হয় এ রোহিঙ্গার সাথে।

মতলব বলেন, আমরা মিয়ানমারে থেকে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের থাকা হলো না। জীবন বাঁচাতে অসুস্থ বৃদ্ধা মা, ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসতে হয়েছে। মিয়ানমার আমাদের জন্মভূমি। ওখানেই কেটেছে আমাদের শৈশব, কৈশোর, ওখানেই শুয়ে আছে আমাদের বাপ-দাদা ও স্বজনরা, ওখানেই আমাদের সুখের বসতি ছিল। কিন্তু মিয়ানমার সরকার আমাদের সাথে এতই হিংস্র আচরণ করেছে যে, আমাদের এই তিক্ত হৃদয় বলছে যেন, আর কোনো দিন ওপারে ফিরে না যাই।

ওপারে এখন সহিংসতা নেই, ঘরও পুড়িয়ে দিচ্ছে না তবু কেন চলে আসা? এমন প্রশ্নের উত্তরে মতলব বলেন, সহিংসতা না থাকলে কি হবে। আমাদের ঘরবাড়ি আগেই জ্বালিয়ে দিয়েছিল সেনারা। এতদিন পালিয়ে ছিলাম। মিয়ানমার শান্ত হলে পোড়া ঘরে কোনো রকম জোড়া তালি দিয়ে থাকা যায় কি না এমন অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানে বসবাস করা আমাদের জন্য খুবই অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। তা না হলে আমরা এদেশে পালিয়ে আসতাম না।

তিনি বলেন, মংডুতে হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে, এখন নেই। এখন সমস্যা হচ্ছে আমরা সেখানে থাকতে পারলেও কোথাও বের হওয়া যাচ্ছে না, কাজ কর্মও করা যাচ্ছে না। এভাবে কতদিন থাকা যায়? এপারে চলে আসা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ ছিল না।

সূত্র: নয়াদিগন্ত

সম্পর্কিত সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে
Home Post

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য
Home Post

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক
Home Post

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • একজন বীর শহীদ তিতুমীর: মুসলিম জাতির প্রেরণা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রক্তাক্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বিচার গণহত্যার দিন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির যত মামলা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ইসলামী সংস্কৃতি ও আধুনিক সংস্কৃতি

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫
ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

মার্চ ১৯, ২০২৫
কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

মার্চ ১৬, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD