অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমাদ ও সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং মুক্তির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে হরতাল চলছে। হরতালের সমর্থনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দলটির নেতাকর্মিরা বিক্ষোভ ও পিকেটিং করছে। অন্যদিকে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে কেন্দ্র ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যার সর্বাত্মক হরতালের সমর্থনে বুধবার রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া জামায়াতের ডাকা এ হরতাল চলবে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।
আজকের হরতালে এ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাজধানীতে বাস চলাচল খুবই সীমিত আকারে হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির পরিমান নেই বললেই চলে।
মঙ্গলবার জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এ হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল সফল করতে জামায়াতের পাশাপাশি শিবিরের পক্ষ থেকেও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
অপরদিকে, জামায়াতের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। খুবই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়ে দলের নতুন ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে জানান, সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ এবং গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের মুক্তির জন্য আগামী শুক্রবার দেশব্যাপী দোয়া দিবস হিসেবে পালিত হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট গাড়ি এবং ওষুধের দোকান হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।
হরতালের সমর্থনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, রমনা, তেজগাঁও, কাফরুল, উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিম, যাত্রাবাড়ি, খিলগাঁও, কদমতলি, দয়াগঞ্জসহ অসংখ্য স্থানে মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াত ও শিবির। এসময় তারা রাস্তায় অগ্নিসংযোগও করে।
এছাড়া রাজধানীর বাইরে সারাদেশেই হরতালের সমর্থনে মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে জামায়াতের ইসলামীর আমির ও সেক্রেটারি জেনারেলসহ ৯ জন শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার সারাদেশে বিক্ষোভ এবং বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
Discussion about this post