অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
দলের আমিরসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে হরতাল শুরু হয় চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
হরতালে রাজধানীতে গাড়ি চলাচল একেবারেই সীমিত। দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর সড়কগুলোতে পাবলিক বাসের সংখ্যা অল্প কিছু পরিমানে দেখা গেলেও ব্যক্তিগত গাড়ির পরিমান নেই বললেই চলে। রাজধানীর মতিঝিল, কুড়িল, যাত্রাবাড়িসহ বেশকিছু স্পটে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে।
এদিকে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় হাইওয়ে রাস্তাগুলো বেশিরভাগই ফাঁকা দেখা গেছে।
এদিকে রাজধানীর বাইরে সারাদেশেও রাজপথগুলোতে গাড়ি চলাচল না করায় রাস্তাগুলো ফাঁকা বলে খবর পাওয়া গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েসহ সবগুলো রাস্তাই গাড়িশূন্য দেখা গেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিবেদকদের পাঠানো বিভিন্ন ছবিতে এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে।

হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বেশ কিছু পয়েন্টে জামায়াত-শিবির মিছিল ও পিকেটিং করেছে। তবে হরতালকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে কোনো ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, রমনা, তেজগাঁও, কাফরুল, উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিম, যাত্রাবাড়ি, খিলগাঁও, কদমতলি, দয়াগঞ্জসহ অসংখ্য স্থানে মিছিল ও পিকেটিং এর খবর পাওয়া গেছে। এসময় জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদেরকে রাস্তায় অগ্নিসংযোগ করতেও দেখা গেছে।

হরতালে সহিসংতা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অন্যান্য দিনের তুলনায় রাজধানীতে পর্যপ্ত সংখ্যাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ হরতালের ডাক দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

এদিকে হরতালের কারনে রাজধানীতে বেশিরভাগ দোকান পাটই বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় গন পরিবহনের মত মানুষের চলাচলও কম। তবে সরকারি চাকুরিজীবিসহ কিছু মানুষকে রিকশা ও সিএনজিতে যাতায়াত করতে দেখো গেছে। এছাড়া গার্মেন্টসের কর্মীদেরকে হেঁটেই কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্পট ঘুরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে।

অন্যদিকে হরতালের প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সদরঘাটেও। ঘাটে কিছু লঞ্চ দাঁড়িয়ে থাকলেও যাত্রীদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। হকার ও কুলিদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে জামায়াতের ইসলামীর আমির ও সেক্রেটারি জেনারেলসহ ৯ জন শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

গ্রেফতারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাজধানীসহ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করে জামায়াত।
এ ছাড়া বুধবার সারা দেশে বিক্ষোভ ও শুক্রবার গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী দোয়া কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদ, নায়েবে আমির অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানসহ জামায়াতের নেতাদের পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে।
তাদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার প্রতিবাদে ও তাদের মুক্তির দাবিতে উল্লিখিত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
Discussion about this post