প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, আমি অসুস্থ না। আমি চলে যাচ্ছি। আমি পালিয়েও যাচ্ছি না। আমি আবার ফিরে আসবো। আমি একটু বিব্রত। আমি বিচার বিভাগের অভিভাবক।
তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগের স্বার্থে, বিচার বিভাগটা যাতে কলুষিত না হয়, এ কারণেই আমি সাময়িকভাবে যাচ্ছি। আমার কারো প্রতি কোনো বিরাগ নেই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সরকারকে ভুল বোঝানো হয়েছে। এই আমার বক্তব্য আর কিছু বলব না। আমি লিখিত বক্তব্য দিয়েছি। এই হল আমার লিখিত বক্তব্য।’
শুক্রবার বাসভবনের ফটকে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
প্রধান বিচারপতির প্যাডে লেখা সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। কিন্তু ইদানিং একটি রায় নিয়ে রাজনৈতিক মহল, আইনজীবী ও বিশেষভাবে সরকারের মাননীয় কয়েকজন মন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ব্যক্তিগতভাবে যেভাবে সমালোচনা করেছেন, এতে আমি সত্যিই বিব্রত।’
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সরকারের একটি মহল আমার রায়কে ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করে পরিবেশন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার প্রতি অভিমান করেছেন, যা অচিরেই দূরীভূত হবে বলে আমার বিশ্বাস। সেই সাথে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে আমি একটু শঙ্কিত বটে। কারণ, গতকাল প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনরত দায়িত্বরত প্রবীণতম বিচারপতির উদ্ধৃতি দিয়ে মাননীয় আইনমন্ত্রী প্রকাশ করেছেন যে, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি অচিরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনে পরিবর্তন আনবেন। প্রধান বিচারপতির প্রশাসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কিংবা সরকারের হস্তক্ষেপ করার কোনো রেওয়াজ নেই। তিনি শুধুমাত্র রুটিনমাফিক দৈনন্দিন কাজ করবেন। এটিই হয়ে আসছে। প্রধান বিচারপতির প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করলে এটি সহজেই অনুমেয় যে, সরকার উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করছে। এবং এর দ্বারা বিচার বিভাগ ও সরকারের সম্পর্কে আরও অবনতি হবে। এটি রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।’
এর আগে তাকে পুলিশ এস্কট দিতে সন্ধ্যা ৬টায় পুলিশের দুটি পিকআপভ্যান তার বাসভবনে প্রবেশ করে।
এছাড়া সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় তার একান্ত সচিব আনিসুর রহমানও তার বাসভবনে প্রবেশ করেন। ৭টার দিকে বেঞ্চ রিডার মাহবুব হোসেন ও কোর্ট কিপার ওয়ারেস আলী খানসহ ৩জন যেখানে যান।
বেলা ১১টায় প্রধান বিচারপতির ভাই ড. এনকে সিনহা তার বাসভবনে প্রবেশ করেন।
এ ছাড়া ভাতিজির জামাই রাজ মনু সিংহ ১২টা ৪৫ মিনিটে, আরেক ভাতিজিজামাই সুজিত সিনহা, রাম কান্ত সিনহা প্রবেশ করেন ১০টা ২২ মিনিটে।
শ্যালিকা শীলা সিনহা ও তার মেয়ে সীমা সিনহা প্রধান বিচারপতির বাসায় যান ১০টা ২৩ মিনিটে।
প্রধান বিচারপতি আজই বিদেশ যাচ্ছেন এমন গুঞ্জনে তার বাসার সামনে বিপুলসংখ্যক গণমাধ্যমকর্মী ভিড় করেন। সেখানে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বাড়ানো হয়। পরে বাসভবন থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়ে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি শুক্রবার রাতেই বিদেশ যেতে পারেন বলে সুপ্রিম কোর্টের একটি বিশ্বস্ত সূত্র আগেই জানিয়েছিল।
রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিমানে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা হতে পারেন তিনি। এ জন্য সকাল থেকেই তার সরকারি বাসভবনে আত্মীয়স্বজনরা দেখা করতে যান।
বেলা ১১টায় প্রধান বিচারপতির ভাই ড. এনকে সিনহা তার বাসভবনে প্রবেশ করেন।
এ ছাড়া ভাতিজির জামাই রাজ মনু সিংহ ১২টা ৪৫ মিনিটে, আরেক ভাতিজিজামাই সুজিত সিনহা, রাম কান্ত সিনহা প্রবেশ করেন ১০টা ২২ মিনিটে।
শ্যালিকা শীলা সিনহা ও তার মেয়ে সীমা সিনহা প্রধান বিচারপতির বাসায় যান ১০টা ২৩ মিনিটে।
প্রধান বিচারপতি আজই বিদেশ যাচ্ছেন এমন গুঞ্জনে তার বাসার সামনে বিপুলসংখ্যক গণমাধ্যমকর্মী ভিড় করেন। সেখানে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বাড়ানো হয়। পরে বাসভবন থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়ে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
সূত্র: যুগান্তর ও প্রথম আলো
Discussion about this post