• যোগাযোগ
শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

‘একনায়কতান্ত্রিক শাসনের শেষ হচ্ছে না মনে হয়’

অক্টোবর ১৫, ২০১৭
in Home Post, মতামত, সাক্ষাৎকার
Share on FacebookShare on Twitter

খ্যাতিমান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় অধ্যাপক তালুকদার মনিরুজ্জামান। জন্ম সিরাজগঞ্জের তারাকান্দি গ্রামে ১৯৩৮ সালের ১ জুলাই। পিতা আবদুল মজিদ তালুকদার ছিলেন স্কুলশিক্ষক। কৈশোর কেটেছে গ্রামেই। ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন তারাকান্দি মাইনর স্কুলে। এরপর ভর্তি হন সিরাজগঞ্জ হাইস্কুলে। এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। ঢাকার জগন্নাথ কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হন। এইচএসসিতে মেধাতালিকায় প্রথম হন। ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। অনার্সে প্রথম শ্রেণী এবং মাস্টার্সে দ্বিতীয় শ্রেণী লাভ করেন। বৃত্তি নিয়ে ১৯৬৩ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য চলে যান কানাডায়।

পড়াশোনা করেন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে। ১৯৬৬ সালে দেশে ফিরে যোগ দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ বছরই বিয়ে করেন একই বিভাগের ছাত্রী রাজিয়া আক্তার বানুকে। প্রায় সাত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শেষে ১৯৭৪ সালে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন ২০০৬ সালে। এর আগে তাকে জাতীয় অধ্যাপক ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে বই লিখেছেন নয়টি। আটটি ইংরেজিতে, একটি বাংলায়। এই বইগুলো তার জীবনের সেরা অর্জন বলে মনে করেন অধ্যাপক তালুকদার মনিরুজ্জামান। দুই পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের জনক অধ্যাপক তালুকদার মনিরুজ্জামানের অবসর কাটে পড়াশোনা আর সংবাদপত্র পড়ে।

 

নয়া দিগন্ত : দেশের অবস্থা কেমন দেখছেন?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : হতাশাব্যঞ্জক, আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু দেখছি না। রাষ্ট্রের সব কাঠামো ভেঙে পড়ছে।

নয়া দিগন্ত : নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখেন?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : নির্বাচন অনিশ্চিত মনে হচ্ছে।

নয়া দিগন্ত : কিন্তু নির্বাচন কমিশন তো রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশনের ওপর কি বিরোধী দলের আস্থা সৃষ্টি হবে?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা যাবে বলে মনে হয় না।

নয়া দিগন্ত : কেন? নির্বাচনের আরো দেরি আছে?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : দুই পক্ষ অনড়। আমার মনে হয় আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবে না। আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা ছাড়া নির্বাচন করবে না। অপর দিকে বিএনপি শেখ হাসিনাকে রেখে নির্বাচনে অংশ নেবে না। দুই দলের মধ্যে আপসের সম্ভাবনা দেখছি না। শেষ পর্যন্ত একতরফা নির্বাচনের সম্ভাবনা আমি দেখছি।

নয়া দিগন্ত : সে ক্ষেত্রে বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপি কী করতে পারে?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : বিএনপি আন্দোলন করার চেষ্টা করবে।

নয়া দিগন্ত : বিএনপির সাফল্যের সম্ভাবনা কতটুকু? সরকার তো কঠোর অবস্থানে যাবে।

তালুকদার মনিরুজ্জামান : এটা নির্ভর করবে সরকারের কৌশলের বিপরীতে বিএনপি কী ধরনের কৌশল নির্ধারণ করবে তার ওপর। বিএনপিকে সরকার কিভাবে মোকাবেলা করবে তার ওপর।

নয়া দিগন্ত : একটি অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের তো চাপ আছে বলে মনে করা হয়।

তালুকদার মনিরুজ্জামান : আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ থাকবে, কিন্তু সরকার তা মানবে বলে মনে হয় না। এ ছাড়া ভারত শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাথে থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন চাপ দেবে, কিন্তু তারা তো এসে যুদ্ধ করবে না।

নয়া দিগন্ত : রোহিঙ্গা ইস্যুতে তো ভারত সরকারকে সমর্থন দিলো না।

তালুকদার মনিরুজ্জামান : রোহিঙ্গারা মুসলমান বলে সরকারের নীতিকে সমর্থন দিচ্ছে না। কাশ্মির ইস্যু সব সময় ভারতের মাথার মধ্যে ঘোরে। মুসলমান হওয়া যেন রোহিঙ্গাদের বড় অপরাধ। জিনজিয়াংয়ের মুসলমানদের ব্যাপারে চীনের একধরনের ভীতি আছে। আসলে মুসলিম ইস্যুর কারণে চীন, রাশিয়া ও ভারত এক হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আওয়ামী লীগকে সমর্থন না দিলেও আওয়ামী লীগ ভার্সেস বিএনপি ইস্যুতে ভারত আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেবে। শেষ পর্যন্ত ভারত আওয়ামী লীগের সাথেই থাকবে।

নয়া দিগন্ত : আপনি বিএনপির আন্দোলনের কথা বলছিলেন। ২০১৪ সালে বিএনপি বড় ধরনের আন্দোলন করেছিল।

তালুকদার মনিরুজ্জামান : সত্যি কথা বলতে কি, অটোক্র্যাটিক বা একনায়কতান্ত্রিক শাসনের শেষ হচ্ছে না মনে হয়।

নয়া দিগন্ত : তার মানে শেখ হাসিনা আরো দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে চান?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : তাই তো মনে হয়।

নয়া দিগন্ত : সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : মনে রাখতে হবে, দুই দলের বিপুল জনসমর্থন আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে বড় ধরনের সঙ্ঘাত হবে। রক্তপাতের সম্ভাবনা আছে।

নয়া দিগন্ত : এ ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের সম্ভাবনা বাড়ে- আপনি কী মনে করেন?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : সামরিক হস্তক্ষেপ সহজে হবে বলে মনে হয় না। কারণ কোনো দল এটা চাইবে না।

নয়া দিগন্ত : বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া তাহলে মুখথুবড়ে পড়ছে?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : বাংলাদেশে আরো ঘন ঘন নির্বাচন হওয়া দরকার। সরকারের মেয়াদ তিন বছর হওয়া উচিত। তাহলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পরিবর্তনের অবস্থান তৈরি হতে পারে।

নয়া দিগন্ত : সরকারের মধ্যে নানা সমস্যা আছে। নির্বাহী বিভাগের সাথে বিচার বিভাগের দ্বন্দ্ব চলছে। এর কী প্রভাব পড়বে?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : খুব খারাপ প্রভাব পড়বে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ছাড়া সুষ্ঠু রাজনীতি সম্ভব নয়।

নয়া দিগন্ত : প্রধান বিচারপতির ছুটি নিয়ে অনেক বিতর্ক চলছে। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : আমার মনে হয় না সিনহার আর কোনো ভবিষ্যৎ আছে। প্রয়োজনে তাকে ইমপিচ করতে পারে বা অন্য কোনোভাবে সরিয়ে দিতে পারে। আসলে বিচার বিভাগ আরো নমনীয় হবে।

নয়া দিগন্ত : আপনি একনায়কতান্ত্রিক শাসনের শেষ দেখতে পারছেন না, কিন্তু শেখ হাসিনার পর কে আসবে কিংবা খালেদা জিয়ার পর বিএনপির অবস্থা?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : দুই নেত্রীর পর জয় ও তারেকের যুগ আসবে। তারেক তো রাজনীতিতে আছে। আমি মনে করি জয়ও আসবে।

নয়া দিগন্ত : ইসলামপন্থী রাজনীতির ভবিষ্যৎ কী মনে করেন?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : দশ শতাংশ জনসমর্থনের ওপর ভিত্তি করে ইসলামপন্থী রাজনীতি টিকে থাকবে।

নয়া দিগন্ত : রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি কিভাবে দেখেন?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : আসলে আমরা তো সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারছি না। মিয়ানমারের মতো দেশ এখন শক্তি প্রদর্শন করছে।

নয়া দিগন্ত : কেন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : আমরা সব দেশের সাথে সমান সম্পর্ক বা ভারসাম্যমূলক অবস্থান গ্রহণ করতে পারছি না। আমরা ছোট দেশ যেন হাঙরের পেটে ঢুকে পড়ছি। আমাদের পাশের ক্ষমতাধর দেশগুলো বিগ পাওয়ারের মতো ব্যবহার করছে।

নয়া দিগন্ত : অনেকে মনে করেন চীন ও ভারতের প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ের ক্ষেত্র হয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। আপনি কী মনে করেন?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : তা তো হবেই। এ কারণে আমি মনে করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি থাকলে এই দ্বন্দ্বটা কমে আসবে।

নয়া দিগন্ত : সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : তরুণেরা দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তারা আবার নতুন করে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখবে।

নয়া দিগন্ত : কিন্তু সেই তরুণদের আদর্শ কী হবে?

তালুকদার মনিরুজ্জামান : ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখা।

সূত্র: নয়াদিগন্ত

সম্পর্কিত সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে
Home Post

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য
Home Post

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক
Home Post

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • একজন বীর শহীদ তিতুমীর: মুসলিম জাতির প্রেরণা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রক্তাক্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বিচার গণহত্যার দিন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির যত মামলা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ইসলামী সংস্কৃতি ও আধুনিক সংস্কৃতি

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫
ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

মার্চ ১৯, ২০২৫
কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

মার্চ ১৬, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD