রংপুরে ইসলাম ধর্ম ও নবীকে নিয়ে ‘ফেসবুকে’ কটূক্তি ও অবমাননাকর ছবি পোস্ট করার অভিযোগে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও পুলিশের গুলিতে ২জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে রংপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর উপস্থিতিতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ওই অপ্রীতিকর ঘটনার তদন্তে রংপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু রাফা মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-রংপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান সাইফ ও রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম।
রংপুরের পাগলাপীর শলেয়া শাহ এলাকার খগেন চন্দ্র রায়ের ছেলে টিটুল চন্দ্র রায় (৪০) রোববার ইসলাম ধর্ম ও নবীকে নিয়ে ‘ফেসবুকে’ কটূক্তি করে প্রচার চালায়।
এ নিয়ে এলাকায় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে সদর উপজেলার খলেয়া ইউনিয়নের শলেয়া শাহ বাজারে শুক্রবার দুপুরে মুসল্লিরা সমাবেশ করার পর হিন্দুপাড়ায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অর্ধশতাধিক টিয়ার শেল ও ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।
এসময় পুলিশ ও মুসল্লিদের সংঘর্ষে হাবিবুর রহমান (২৬) ও সিএনজি চালক হামিদুল ইসলাম (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ সময় আরও ৩০ জন আহত হন।
এর আগে সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার মামলা করা হয়।
টিটুলকে গ্রেফতারে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু টিটুল গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকায় এ নিয়ে উত্তেজনা চলতে থাকে। এ নিয়ে উসকানি না দেয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তিন দিন ধরে প্রচার চালানো হয়। কিন্তু একটি মহল ধর্মীয় উসকানি ছড়িয়ে গ্রামবাসীকে উত্তেজিত করে।
Discussion about this post