• যোগাযোগ
শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

বন্ধুদেশের সমর্থন পায়নি বাংলাদেশ

নভেম্বর ১৮, ২০১৭
in Home Post, জাতীয়
Share on FacebookShare on Twitter

হাসান ফেরদৌস

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের থার্ড কমিটিতে গত বৃহস্পতিবার ১৩৫-১০ ভোটে গৃহীত প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অব্যাহত সামরিক তৎপরতা বন্ধ এবং তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি তথ্যানুসন্ধানী দল প্রেরণ এবং মিয়ানমার প্রশ্নে একজন বিশেষ প্রতিনিধি নিয়োগেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।

তবে ওই প্রস্তাবে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও বন্ধু কয়েকটি দেশের সমর্থন না পাওয়ায় ঢাকার মিয়ানমার নীতি বা কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঐতিহাসিকভাবে পরীক্ষিত দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভারত ও রাশিয়া এবং সাম্প্রতিক সময়ের বন্ধুদেশ চীন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট না দেওয়ায় বাংলাদেশকে হতাশ করেছে। সাম্প্রতিক ইতিহাসে রোহিঙ্গা সংকটের মতো একটা বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ শুরু থেকেই এই দেশগুলোর কাছে সহযোগিতা চেয়ে আসছে। অন্যদিকে এই ভোটাভুটিতে সার্কভুক্ত দেশ নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের বিরত থাকা বাংলাদেশকে অবাক করেছে। কারণ, এ দেশগুলোর যেকোনো সংকটের শুরুতেই বাংলাদেশ সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।

থার্ড কমিটি জাতিসংঘের সামাজিক, মানবিক ও সংস্কৃতিবিষয়ক ফোরাম। সাধারণ পরিষদের অন্য সব সিদ্ধান্তের মতো ওই প্রস্তাবটি বাস্তবায়নেও কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। তবে বিশ্ব সভার অধিকাংশের মতামত হিসেবে এই প্রস্তাবের যে নৈতিক গুরুত্ব রয়েছে, তাকে এককথায় অস্বীকার করাও মিয়ানমারের পক্ষে সহজ হবে না।

উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সদস্যরাষ্ট্রের সমর্থনে প্রস্তাবটি গৃহীত হলেও ১০টি দেশ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এবং আরও ২৬টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। ২২টি দেশ অনুপস্থিত ছিল। অন্য কথায়, ৫৮টি সদস্যদেশ ওআইসি উত্থাপিত প্রস্তাব সমর্থন করেনি। কোনো কোনো পর্যবেক্ষক বিশ্ব সংস্থার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের এই নেতিবাচক অবস্থানে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। কেউ কেউ এমন কথাও বলেছেন, এটি বাংলাদেশের কূটনৈতিক ব্যর্থতা।

অবশ্য বাংলাদেশি কূটনীতিকেরা এই বক্তব্য কিছুটা অতিরঞ্জিত অভিহিত করে বলেছেন, প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট না দিলেও রোহিঙ্গা প্রশ্নে প্রস্তাবের মূল বক্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছে প্রায় প্রতিটি দেশ। রাশিয়া, চীনসহ যে ১০টি দেশ প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেয়, তারাও সহিংসতা বন্ধ এবং রোহিঙ্গা সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। প্রায় সব দেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে উদারতার প্রমাণ দিয়েছে, তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে। কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে।

নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণকারী দেশগুলোর প্রায় সবারই বক্তব্য ছিল, এই প্রস্তাবে কোনো একটি দেশের পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে স্বতন্ত্র ম্যান্ডেট দেওয়া হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, এজাতীয় ম্যান্ডেটের মাধ্যমে চিহ্নিত দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি হয়। থার্ড কমিটির প্রস্তাবটি ‘মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ এই শিরোনামের অধীনে গৃহীত হয়। জি-৭৭ ভুক্ত একাধিক দেশ যুক্তি দেখায়, মানবাধিকারের প্রশ্ন বিবেচনার প্রকৃত ক্ষেত্র জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার কাউন্সিল, নিউইয়র্কভিত্তিক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ নয়। মানবাধিকার প্রশ্নে যেসব দেশ আগে থেকেই আন্তর্জাতিক সমালোচনা সম্মুখীন যেমন ইরান, চীন, ভেনেজুয়েলা, রাশিয়া, জিম্বাবুয়ে, সিরিয়া—প্রত্যেকেই এই দুই যুক্তিতে প্রস্তাবটির বিরোধিতা করে।

ইরান কেন প্রস্তাবটি নিয়ে ভোটদানে বিরত থাকে, তার ব্যাখ্যায় যে বিবৃতি দেশটি দিয়েছে, তাতে বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট। তারা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্বিচার হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানায়, অবিলম্বে সব সামরিক তৎপরতা বন্ধের দাবি জানায় এবং সব রোহিঙ্গার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার আবেদন জানায়। পাশাপাশি, তারা এ কথাও বলে, থার্ড কমিটি যেভাবে বারবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে, তা মোটেই গঠনমূলক নয়। তারা এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিচ্ছে না, কিন্তু সে কথার অর্থ এই নয় যে তারা রোহিঙ্গাদের ওপর অপরাধ ক্ষমার চোখে দেখে।

কোনো দেশকে চিহ্নিত করে বিশেষ ম্যান্ডেট প্রদানের ব্যাপারে বাংলাদেশের নিজের অবস্থানও মোটেই ভিন্ন নয়। যেমন ২০০৮ সালে থার্ড কমিটি ‘মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ প্রশ্নে উত্থাপিত প্রস্তাবে গৃহীত ভোটাভুটিতে যে ২৯টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়, তার অন্যতম ছিল বাংলাদেশ। সে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছিল ৮৯টি, আর ৬৩টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

এ বছর উত্থাপিত প্রস্তাবের পক্ষে চীন ও রাশিয়ার ‘না’ সূচক ভোটেও বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। এই দুই দেশই মিয়ানমারের সঙ্গে সামরিক, বাণিজ্যিক ও কৌশলগত সম্পর্ক নির্মাণকে তাদের অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করে, এটি কোনো গোপন ব্যাপার নয়। অব্যাহত সহিংসতার বিপক্ষে মতপ্রকাশ করলেও এই দুই দেশ এর আগে সংকট সমাধানে মিয়ানমার সরকার যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তার প্রশংসা করেছে। বৃহস্পতিবার বিপক্ষে ভোট প্রদানের পর চীন মিয়ানমারের অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ হয়ে এসেছে বলে জানায়। অন্যদিকে প্রস্তাবটি সংকট সমাধানে সাহায্যের বদলে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে বলে রাশিয়া জানায়।

একইভাবে বাংলাদেশের দুই নিকট প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারত ও নেপালের ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্তেও বিস্ময়ের কিছু নেই। চীন যাতে তাকে ফেলে একাই মিয়ানমারে নিজের অবস্থান সংহত করার সুযোগ না পায়, ভারত সে ব্যাপারে সচেতন। মিয়ানমারের ব্যাপারে তার অপেক্ষাকৃত নমনীয় অবস্থানের ব্যাখ্যা হিসেবে দেশটির সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতৃত্ব দাবি করেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের পেছনে মুসলিম জঙ্গিদের ভূমিকা রয়েছে, আইএস ও পাকিস্তান তাতে মদদ জোগাচ্ছে। মিয়ানমারকে অভিযুক্ত করে কঠোর ভাষায় কোনো প্রস্তাব গ্রহণ তাই ভারত বা নেপাল—কারও কাছেই স্বস্তিকর ছিল না। তবে বাংলাদেশ এই ভেবে তৃপ্ত হতে পারে যে ইতিপূর্বে অনুরূপ প্রস্তাবে ভারত বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, জি-৭৭ ভুক্ত দেশগুলো যাতে প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ না করে, সে জন্য বাংলাদেশি কূটনীতিকেরা ব্যাপক লবিং করেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত প্রতিটি দেশের কাছে চিঠি লিখে অবস্থার সবিস্তার বিবরণ দিয়েছেন। নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করতে পারে, এমন দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশি কূটনীতিকেরা আলাদাভাবে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। জানা গেছে, বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ বা তার চেয়েও বেশি দেশ ভোটে অংশগ্রহণের বদলে অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন প্রথম আলোকে বলেন, রোহিঙ্গা প্রশ্নে বিশ্ব সম্প্রদায় যে বাংলাদেশের পক্ষে আছে, এই ভোট থেকে সে কথা স্পষ্ট। সমস্যাটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সামলাতে হবে, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি নজর ফিরিয়ে নেয়, তাহলে কোনো অর্থপূর্ণ অগ্রগতি অসম্ভব হয়ে পড়বে। সে জন্য প্রথম থেকেই বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল এই প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

মাসুদ বিন মোমেন মনে করেন, কোনো কোনো বৃহৎ রাষ্ট্রের নেতিবাচক অবস্থা সত্ত্বেও মিয়ানমার প্রশ্নে একজন বিশেষ প্রতিনিধির নিয়োগ প্রস্তাবটি যে গৃহীত হয়েছে, সেটি অবশ্যই রোহিঙ্গাদের স্বার্থ রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই বিশেষ প্রতিনিধির ম্যান্ডেটটি এখনো সংজ্ঞায়িত হয়নি, তবে তাঁর অব্যাহত উপস্থিতির কারণে রোহিঙ্গা প্রশ্নটি উপেক্ষা করা সম্ভব হবে না।

থার্ড কমিটিতে গৃহীত হওয়ার পর এই প্রস্তাব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সামনে সব সদস্যের বিবেচনার জন্য পুনরায় উত্থাপিত হবে। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে এই প্রশ্নে চূড়ান্ত ভোটাভুটি হবে। সে সময় যাতে আরও অধিকসংখ্যক সদস্যরাষ্ট্র প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়, সে জন্য বাংলাদেশি কূটনীতিকেরা তাঁদের সর্বশক্তি নিয়োগ করবেন বলে রাষ্ট্রদূত মাসুদ জানিয়েছেন।

সূত্র: প্রথম আলো

সম্পর্কিত সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে
Home Post

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য
Home Post

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক
Home Post

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • একজন বীর শহীদ তিতুমীর: মুসলিম জাতির প্রেরণা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রক্তাক্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বিচার গণহত্যার দিন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির যত মামলা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ইসলামী সংস্কৃতি ও আধুনিক সংস্কৃতি

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫
ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

মার্চ ১৯, ২০২৫
কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

মার্চ ১৬, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD