• যোগাযোগ
শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home slide

‘ফাও খাওয়া’ এক মহান ঐতিহ্য

ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
in slide, Top Post, কলাম, মতামত
Share on FacebookShare on Twitter

ইবনে ইসহাক

ফাও খাওয়া ছাত্রলীগের ঐতিহ্যের অংশ। ছাত্রলীগ শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এই ঐতিহ্যও শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ। তাদের দেখে এই ঐতিহ্য ছড়িয়ে পড়েছে সারা বাংলাদেশে ক্যম্পাসগুলোতে। দিন যত যাচ্ছে ছাত্রলীগের ফাও খাওয়া তাদের অধিকারে পরিণত হচ্ছে। যারা তাদের এই অধিকারে বাধা হচ্ছে দাঁড়াচ্ছে তাদেরই বিরুদ্ধে অধিকার আদায়ের কঠোর সংগ্রামে লিপ্ত হচ্ছে ছাত্রলীগ। একাত্তরের মহান চেতনায় তারা উজ্জীবিত। তাদের রুখবে কে?

ঠিক কবে থেকে ফাও খাওয়ার ঐতিহ্য শুরু হয়েছে তা ঠিক করে আমরা বলতে না পারলেও একথা নিশ্চিত এটা স্বাধীনতার আগে থেকে ঐতিহ্য হিসেবে প্রচলিত ছিল। প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ুন আহমেদ তার ‘মাতাল হাওয়া’ বইতে ৬৯ এর অস্থির রাজনীতির কথা বলেছেন। সেখানে তিনি ছাত্রলীগের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছেন মারদাঙ্গায় এবং হলের ক্যান্টিনের খাবার বাকীতে খাওয়ায় ছাত্রলীগ বিশেষ পারদর্শী। আজও ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী জীবনবাজি রেখে সেই মহান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা করে চলেছেন। ফাও খাওয়ার মহান সংগ্রামের কিছু সাম্প্রতিক নিদর্শন আমরা দেখবো।

শুরু করছি ঢাবিকে দিয়েই। যাকে নিয়ে কথা বলবো তিনি ওয়াসিফ হাসান পিয়াস। তিনি ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। নিয়মিতই ফাও খেয়ে থাকেন তিনি। ১০ ডিসেম্বর, রবিবার রাতে তিনি বরাবরের মত খেতে যান। হলের ক্যান্টিনে টাকা দিয়ে খাওয়ার টোকেন নিতে হয়। ছাত্রলীগ নেতাদের অবশ্য টাকা দিতে হয় না। ছাত্রলীগ নেতা পিয়াস হলের ক্যান্টিনে গিয়ে কর্মচারী মনিরকে খাবার দিতে বলেন। কর্মচারী জানান, ‘ভাই খাবার দেওয়ার জন্য টোকেন লাগবে।’এ কথা বলাতে তৎক্ষণাৎ মনিরের পেটে ও মাথায় ঘুষি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন পিয়াস। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা চিৎকার দিয়ে বলতে থাকেন, ‘আমি খাওয়ার টোকেন নিব না।’এরপর জোর করে খাবার নিয়ে নেন এই নেতা। খাওয়া শেষে যাওয়ার সময় ক্যান্টিন ব্যবস্থাপক শফিক তাঁকে বলেন, ‘একটা ছেলেকে না মেরে আমাকে বললেই খাবার দিয়ে দিতাম।’এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে পিয়াস ক্যাশ টেবিলের ওপর উঠে ক্যাশ বাক্স লাথি দিয়ে ফেলে দেন। শফিককে লাথি ও ঘুষি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ক্যান্টিন ব্যবস্থাপক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন। বাহ কী সুন্দর। মানবাধিকার(!) রক্ষায় ছাত্রলীগ নেতার কী মহান সংগ্রাম।

এবার আসি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। নাম শামীম পলাশ। একজন সংস্কৃতি কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সদস্য। তিনি তার ফেসবুকে ফাও খাওয়ার ইতিহাস টেনে কটাক্ষ করে বলেছেন, “এই যে ফাও খাওয়া কিম্বা লাঠিশ্রয়ী শ্রেণি গড়ে উঠছে এলাকায় তার জীবিকা কোথায়? লাঠির মাথায়? না আপনার গোলায়! এ প্রশ্ন থেকেই যায়! ইতিহাস ঘুরেঘুরে আসে বারবার। কখনো সে রাবনের কখনো রামের! সিংহাসন ঐ একটাই! দু’বছর আগে যে স্কুলকেন্দ্রিক নির্বাচনে গ্রামের একপক্ষ এলাকাছাড়া হয়েছিল, আজ সেই নির্বাচনকেন্দ্রিক অন্য দল এলাকাছাড়া। গ্রামে দেখেছি অধিকাংশই বিভীষণ! ইতিহাস যে আবার ঘুরবে না, এমন বলি কী করে”?

শামীমের এমন মানবতাবিরোধী আচরণে স্থির থাকতে পারেন নি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের অনুসারীরা। তারা ব্যাটা শামীমকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে তাদের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করেছে। একাত্তরের চেতনাকে সমুন্নত করেছে।

চলে আসি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুধু ফাও খেয়েই তারা সন্তুষ্ট নন। ক্যান্টিন মালিকের কাছে তারা পয়সা দাবী করেছে। তাই বলে অযৌক্তিক দাবী নয়। এই যে তারা এত কষ্ট করে ফাও খাওয়ার ঐতিহ্য রক্ষা করছে ঐ ক্যান্টিনকে ঘিরে। তাই ক্যান্টিন মালিকের উচিত তাকে দেয়া এই সম্মানের প্রতিদান দেয়া। কিন্তু গান্ডু ক্যান্টিন মালিকদের অসহযোগিতা চরমে গিয়ে পৌঁছেছে। এতে চরম বিরক্ত ছাত্রলীগের নেতারা।

বিরক্ত নেতাদের তালিকায় আছেন বর্তমান ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হামজা রহমান ওরফে অন্তর। যাকে যৌন নিপীড়নের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে চেতনাবিরোধী প্রশাসন। এছাড়া ছাত্রলীগের উপ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহম্মেদ, ছাত্রলীগ কর্মী নিলয় চৌধুরী, সাব্বির আম্মেদ সকাল, পিকুল, পিয়াস ও সোম্যসহ আরো অনেকে। তাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা পাবে ক্যান্টিন মালিক সোহেল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে দায়িত্ব পেয়েই শহীদ রফিক-জব্বার হলের ক্যান্টিন মালিক মো. সোহেলের কাছে চাঁদা দাবী করে বিভিন্ন চেতনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে জাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হামজা রহমান অন্তর ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ অভিষেক মণ্ডল। তারা বিভিন্ন সময় ক্যান্টিন মালিককে রুমে ডেকে নিয়ে আদর-আপ্যায়ন করে। তাতেও সে চাঁদা দেয় নি। সর্বশেষ গত মে মাসে বাধ্য হয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ক্যান্টিন ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন ছাত্রলীগ নেতারা। এভাবে তারা একজন স্বাধীনতাবিরোধীকে হটিয়ে দিয়েছে। সমুন্নত করেছে পতাকাকে।

ঐতিহ্য রক্ষা করার জন্য মানুষ জীবন দেয়। কেন পিছিয়ে থাকবে ছাত্রলীগ। তা কখনো হতে পারে না। রংপুরে বীর ছাত্রলীগ তাদের ঐতিহ্য রক্ষার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হলের ডাইনিংয়ে ফাও খাওয়ার ঐতিহ্য নিয়ে ওই ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন। যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে মহড়া হয়েছিল।

একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নিচ তলার তিনটি কক্ষে ভাংচুর চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার বিকেলে শহীদ মুখতার ইলাহী হল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ বেরিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী। তারা অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকে। এভাবে অনেক দিনের ঐতিহ্য রক্ষা পায়। সারাদেশে ছাত্রলীগের মধ্যে স্বস্তির নিশ্বাস নিতে দেখা যায়।

পাবনার ছাত্রলীগও পিছিয়ে নেই ঐহিত্য রক্ষায়। হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আসিফ ও সাধারণ সম্পাদক মারুফসহ একাধিক ছাত্রনেতারা হাজার হাজার টাকা বাকি রেখে প্রতিদিন খেয়ে যাচ্ছেন। রক্ষা করে যাচ্ছেন চেতনা। টাকা চাইলেই অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন তারা। এভাবে সারাদেশে সব ক্যাম্পাসগুলোতে অনেকে সংগ্রাম করে চেতনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন ছাত্রলীগের মহান বীরেরা।

মাঝেমধ্যেই অস্ত্র হাতে মহড়া দেয় জাফর ইকবাল স্যারের শিষ্য ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে গণিত বিভাগের এক ছাত্রীকে র‌্যাগিং ও পরবর্তীতে সংঘর্ষ এবং অস্ত্র নিয়ে মহড়ার দায়ে ছাত্রলীগ নেতা মোশারফ হোসেন রাজু, অসীম বিশ্বাস, নজরুল ইসলাম রাকিব, মোশারফ হোসেন ও মাহমুদুল হাসানকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকিস্তানপন্থী প্রশাসন।

এপ্রিলে শাহপরান হল ক্যাফেটেরিয়া মালিক ও কর্মচারিকে আচ্ছামত পিটিয়ে আলোচনায় আসেন সহ সভাপতি ধনী রাম রায়। অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থিত গোলাবী রেস্টুরেন্টে ফাও খেতে না দেয়ায় হোটেল মালিক ও কর্মচারিকে মারধর সম্মানিত হন ছাত্রলীগ নেতা মোশাররফ হোসেন রাজু। এঘটনায় রাজুকে নিয়ে, রাজুর বীরত্বগাঁথা নিয়ে রিপোর্ট করে দেশের সব’কটি জাতীয় পত্রিকা। এই রাজুরাই বাংলাদেশের ২য় মুক্তিযুদ্ধের মহান সৈনিক।

১৫ আগস্ট। চেতনা বাস্তবায়ন করতে করতে একপর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন সিলেট মহানগরী ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক তানভীর কবির চৌধুরী সুমন ও তার সহযোগিরা। এক পর্যায়ে তারা তারা নগরীর একটি রেস্টুরেন্টকে ধন্য করে দিয়ে সেখানের ঢুকে পড়েন খেতে। বেয়াদব দোকান মালিক যেখানে তার দোকানে খেয়েছে বলে কৃতজ্ঞ থাকবে তা না করে সে টাকা চেয়ে বসে। ছাত্রলীগ নেতা চরম ধৈর্য্যের পরিচয় দেন। তাকে বুঝাতে চেষ্টা করেন কেন টাকা দেয়া যাবে না। টাকা দিলে যে বহুদিনের ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাবে। এমন সময় এক প্রচন্ড ভারতবিরোধী পুলিশ সদস্য দোকান মালিকের পক্ষ নিয়ে ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে কথা বলে। ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায় মহান নেতার। তিনি আচ্ছামত চড় থাপ্পড় দিয়ে সেই চেতনাবিরোধী পুলিশ সদস্যকে ঘায়েল করে মানচিত্রকে সম্মানিত করেন।

ক্যান্টিনে ফাও খাওয়ার মহান চেতনার জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মারামারি হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হলের গেটে এ মারামারিতে একজনের মাথায় জখম হয় এবং অপর একজনের দাঁত পড়ে যায়। এই ২য় মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাহতরা হলেন আরবি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তানভীর হাসান; সে বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ ইনানের অনুসারী। অপরজন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের অনুসারী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তারেক সংগ্রাম। এভাবে রক্ত দিয়ে জীবনবাজি রেখে জাতীয় সংগীতের মান রক্ষা করে চলছেন ঢাবি ছাত্রলীগ।

ঢাবির জিয়া হলের ক্যান্টিন থেকে নিয়মিত তিন বেলা খাবার পাঠাতে হতো হল শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের ২৮টি কক্ষে। মাস শেষে কেউ ওই খাবারের বিল পরিশোধ করে ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিত না। এতে প্রায় দুই লাখ টাকার মতো বকেয়া হওয়ায় মৌলবাদী ক্যান্টিন মালিক সম্প্রতি ওই রুমগুলোতে খাবার দেওয়া বন্ধ করে দেন। গত শুক্রবার দুপুরে হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী হাসিব(কক্ষ নং ২১০) তার কক্ষে খাবার দিতে বললেও পাকিস্তানপন্থী ক্যান্টিন মালিক তাতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে দুপুর দুইটার দিকে গাজী হাসিব ৫-৬ জন কর্মী সঙ্গে নিয়ে ক্যান্টিনের মালিককে মারধর করে এর উচিত বিচার করেন। এমন অসাধারণ বিচারে বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।

সিলেটের টিলাগড়ে ছাত্রলীগ নেতা অনুপমের কাছে টাকা চেয়ে বেয়াদবি করার অপরাধে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই দোকান কর্মচারী। টিলাগড় পয়েন্টে রিজিক ফাস্টফুড থেকে ফাও খাবার খেয়ে যাওয়ার সময় তার কাছে টাকা চায় বেয়াদব তিন কর্মচারী। আমরা জানতে পারি আগে থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত মহান নেতা অনুপম ফাও খেয়ে আসছেন। এরপরও তারা টাকা চায় কোন সাহসে? এজন্যই কী দেশ স্বাধীন হয়েছে? এ দেশে কী এভাবেই লাঞ্ছিত হবে চেতনার সৈনিকেরা। এর উচিত বিচার করেন অনুপম। ঘটনার ১৫-২০ মিনিট পর অনুপম ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুল, টিটু চৌধুরী, শওকত হাসান মানিকসহ বেশ কয়েকজন ছুরি-চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অপারেশন চালায় সেই ফার্স্টফুড দোকানে যেখানে আস্তানা গেড়েছে স্বাধীনতাবিরোধীরা। এভাবে সিলেটকে শত্রুমুক্ত করেন মহান ২য় মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকেরা।

ফাও খাওয়া নিয়ে সবচেয়ে ভয়ানক ঘটনা ঘটেছে ঢাকার তিতুমীর কলেজে। দুপুরে অনেক চেতনাবর্ধক কাজ করার পর ক্লান্ত হয়ে পড়েনসানি ও সোহাগনামের ছাত্রলীগের দুই মহান যোদ্ধা। তারা কলেজের সামনে বৈশাখী হোটেলে খেতে যান। তারা খেয়ে চলে যাওয়ার সময় বৈশাখীর মালিকো কর্মচারীদের উচিত ছিল কৃতজ্ঞ থাকা। দুই মহান নেতা তাদের হোটেলকে ধন্য করেছে। তা তো করেই নি। উল্টো ফাও খাওয়ার অপরাধে তাদের দুজনকে উত্তম মাধ্যম দেয় পাকিস্তানের দালাল, মৌলবাদী বৈশাখী হোটেলের কর্মচারীরা।

প্রায় সঙ্গে সঙ্গেইবিষয়টি জানতে পারেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী মিরাজুল ইসলাম ডলার ও সেক্রেটারি মানিক হোসেন মানিক। তৎক্ষণাৎ মাথা গরম হয়ে উঠে ডলার ও মানিক সাহেবের।তাদের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে ওই হোটেলসহ বেশ কিছু দোকানে ভাঙচুর করে। এরপর তারা মূল সড়কে এসে বেপরোয়া গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। প্রায় তিরিশটি গাড়ী ভাঙ্গার পর তাদের মাথা ঠান্ডা হয়। তারা পৃথিবীবাসীকে এই বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয় “ফাও খাওয়া”নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র চলবে না। ফাও খাওয়া ছাত্রলীগ নেতা-কর্মিদের বড় ঐতিহ্য। ছাত্রলীগ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে হলেও রক্ষা করছে হাজার বছরের ফাও খাওয়ার ঐতিহ্য।

ফাও খাওয়া ঐহিত্য। এই নিয়ে রাজনীতি করার কোন অবকাশ নেই। ‘ফাও খাওয়া’পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্ষমতাধর ছাত্রলীগ নেতাদের কাছে এক জনপ্রিয় শব্দ। হর-হামেশাই ফাও খাওয়ার বিষয়ে কতৃপক্ষ এবং ছাত্রনেতাদের মাঝে মনমালিন্য দেখা দেয়। এটা ঠিক নয়। এই ফাও খাওয়া সমস্যা সমাধানে জবিতে ছাত্রনেতাদের সাথে বৈঠকে বসেছেন কতৃপক্ষ। এতে উপাচার্যের কাছ থেকেই আসে চমক। তিনি দিয়েছেন ফাও খাওয়ার নতুন নাম। তিনি বলেছেন, ফাও খাওয়া নিয়ে যেহেতু এত সমস্যা তাই এখন থেকে ফাও খাওয়া নয়, এখন থেকে বলতে হবে ‘বাকীতে খাওয়া’। অন্য এক আলাপচারিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন ফাও খাওয়ার ঐতিহ্য তিনিও নিষ্ঠার সাথে পালন করে এসেছেন।

তথ্যসূত্র:

https://goo.gl/B2JkUQ

https://goo.gl/6freRy

https://goo.gl/tKx4rW

https://goo.gl/t9KdT9

https://goo.gl/Yrh5rv

https://goo.gl/aCWkHv

https://goo.gl/vE4gfm

https://goo.gl/nve9oP

https://goo.gl/qnzaKR

https://goo.gl/Stczb3

https://goo.gl/15eZrj

সম্পর্কিত সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে
Home Post

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য
Home Post

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক
Home Post

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • একজন বীর শহীদ তিতুমীর: মুসলিম জাতির প্রেরণা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রক্তাক্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বিচার গণহত্যার দিন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির যত মামলা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • সেঞ্চুরিয়ান মানিক ও জাবির সেই সময়ের ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫
ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

মার্চ ১৯, ২০২৫
কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

মার্চ ১৬, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD