২০১৭ সালে নানা সময় আলোচনা হয়েছে নানা বিষয় নিয়েই। তবে একটি বিষয় প্রায়ই আলোচনায় এসেছে, মাঝে বিরতি দিয়ে প্রায় কারও উধাও হয়ে যাওয়া আবার কারও ফিরে আসা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে মূলধারার গণমাধ্য, সামাজিক মাধ্যম, রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার সংগঠন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে।
শিক্ষক, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক, কূটনীতিক, ব্যাংকার বা অন্য পেশার মানুষও নিখোঁজ হয়েছে এই সময়। কেন, কারা এদেরকে নিয়ে যায়, সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি। যারা ফিরে এসেছে তারাও জানাতে পারেনি কারা নিয়ে গিয়েছিল, আর ফিরে আসার পর তদন্ত এগিয়ে নেয়নি পুলিশও। ফলে এটি কোনো একক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠীর কাজ নাকি প্রতিটি আলাদা গোষ্ঠী করেছে, সেই প্রশ্নের উত্তরও রয়ে গেছে অজানা।
এই এক বছরে কয়েকজন নিজে নিজে বাড়ি ফিরলেও না ফেরার পাল্লাটাই ভারী। এভাবে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি বছর জুড়ে পরিচিতি পেয়েছে ‘গুম’ হিসেবেই।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ৬৭ জন ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন যাদের ৩৮ জনের খোঁজ মেলেনি।। আর গত ১০ বছরে এ ধরনের ৫৪৪ জন ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন যার মধ্যে ৩৯৫ জনকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই নিখোঁজ কারও জন্যই কোনো মুক্তিপণ চাওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক সহেলী ফেরদৌস ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন সত্যি। আবার তাঁরা আমাদের তৎপরতায় ফিরেও এসেছেন। তবে যারা নিখোঁজ হয়েছেন তারা যদি তাদের নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে আমাদের শেয়ার করতেন তাহলে অন্য নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানের ক্ষেত্রে আমাদের জন্য সহযোগিতা হতো।’
মানবাধিকারকর্মী নুর খাঁন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘২০১৭ সালে অনেক মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন এর প্রকৃত সংখ্যা আমার কাছে নেই। এদের মধ্যে অনেকে ফেরত এসেছেন আবার অনেকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর অনেকেই এখনও ফিরে আসেনি। যার ফিরে এসেছেন তাদের চোঁখে মুখে ভীতির ছাপ রয়েছে। তাদের শারীরীভাষা দেখলে মনে হয় তারা মৃত্যুর সামনেই দাঁড়িয়েছিল।’
‘এসব নিখোঁজ ব্যক্তিদের যারা ধরে নিয়েছিল তারা রাষ্ট্রীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেয়ে কমশক্তিশালী অথবা কমদক্ষ বলে মনে হয়নি। আর রাষ্ট্র এখন পর্যন্ত এমন কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি যাতে মানুষ মনে করতে পারে এমন ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।’
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এনামূল হক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। তবে যারা নিখোঁজ হয়েছে সেক্ষেত্রে যদি কোন ফৌজদারী অপরাধ না ঘটে তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু করার থাকে না। তবে যারা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তাদের উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর হয়ে কাজ করা প্রয়োজন।’
কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুর রহমান
চলতি বছর ২৭ আগস্ট ২০ দলীয় জোটের শরিক দল কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান নিখোঁজ হন। রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে সাভারের আমিনবাজার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের পাশে নিজ বাড়ির পথে রওয়ানা হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে আর যাননি।
নিখোঁজ হওয়ার চার মাস পর আমিনুরকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। তাকে রাজধানীর শাহজাদপুর সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করে ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কানাডাপ্রবাসী শিক্ষার্থী ইশরাক আহমেদ
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ছুটি কাটাতে ঢাকায় এসেছিলেন কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ইশরাক আহমেদ। গত ২৬ আগস্ট সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে ধানমন্ডির স্টার কাবাবে খেতে যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন। এরপর আর দেশে ফেরেননি।
এ ঘটনায় ইশরাকের বাবা জামালউদ্দিন আহমেদ ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, স্টার কাবাব থেকে চার বন্ধু স্বাভাবিকভাবে বের হয়ে যায়। এরপর দুই বন্ধু একদিকে এবং ইশরাক ও আরেক বন্ধু আরেক দিকে চলে যান। এরপর ইশরাকের সঙ্গের বন্ধু তাকে রেখে অন্য দিকে চলে যান। তখন থেকে ইশরাক নিখোঁজ।
নর্থ-সাউথের শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান সিজার
৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্লাস নিয়ে রাজধানীর আইডিবি ভবনের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিলেন নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান সিজার। কিন্তু বলতে গেলে উধাও হয়ে যান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক ছাত্রের এভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে নানা কর্মসূচি।
এর ৭০ দিন পর গত ২১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত একটার দিকে হঠাৎ রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীতে নিজের বাসায় ফিরে আসেন এই শিক্ষক।
মুবাশ্বারের বাবা মোতাহার হোসেন জানান, ওই রাতে সিজারকে বিমানবন্দর এলাকায় নামিয়ে দিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সিএনজি অটোরিকশায় করে বাসায় পৌঁছেন সিজার।
এই কয়দিন সিজার কোথায় নিয়ে গিয়েছিল সে ব্যাপারে বাবাকে কিছু বলেনি সিজার।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান
কাতার ও ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন মারুফ জামান। গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ধানমন্ডির বাসা থেকে মেয়েকে আনতে প্রাইভেটকারযোগে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়ার পর নিখোঁজ হন তিনি। পরদিন রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকা থেকে তার গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
এরও পরদিন বাসায় ফোন দেন মারুফ জামান। বলেন, কয়েকজন লোক বাসায় আসবে। তারা তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও ডেক্সটপটি নিয়ে যাবেন। এরপর পরিবারের সঙ্গে তার আর কথা হয়নি। সেদিন দুপুরে তার মেয়ে সামিহা জামান ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন। এখনো বাড়ি ফেরেননি মারুফ জামান।
সাংবাদিক উৎপল দাস
২০১৭ সালে নিখোঁজ হওয়াদের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছ অনলাইন গণমাধ্যম পূর্বপশ্চিমবিডির সাংবাদিক উৎপল দাসকে নিয়ে। গত ১০ অক্টোবর মতিঝিল এলাকা থেকে হঠাৎ নেটওয়ার্কের বাইরে চলে যান তিনি।
নিখোঁজের দিন দুপুরে সর্বশেষ মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছিল উৎপলের। এরপর থেকেই তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় তার কর্মস্থল এবং পরে বাবা চিত্তরঞ্জন দাস সাধারণ ডায়েরি করে।
৭০ দিন পর ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা এলাকায় উৎপলকে নামিয়ে দেয়া হয় একটি মাইক্রোবাসে করে।
উৎপলও জানাতে পারেননি কারা এবং কেন তাকে তুলে নিয়েছিল। জানান, জঙ্গলের মধ্যে একটি স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষে তাকে বন্দী রাখা হয়েছিল। ধানমন্ডি থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় মাইক্রোবাসের পেছনে বসিয়ে চোখ বেঁেধ ফেলা হয় হয়, ফিরিয়ে দেয়ার সময়ও একই কাজ করা হয়। ফলে কারা নিয়ে গিয়েছিলেন সেটি জানতে পারেননি তিনি। তবে যেখানে বন্দী রাখা হয়েছিল সেখান থেকে রাতে শেয়ালের ডাক শুনে তিনি বুঝেছেন, ঘরটি একটি জঙ্গলের ভেতর ছিল।
‘নিখোঁজ’ ফরহাদ মজহারের ফিরে আসা
চলতি বছরের ৩ জুলাই ভোর সাড়ে পাঁচটার সময়ে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন বিশিষ্ট লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট ফরহাদ মজহার। নিখোঁজের পর তাকে অপহরণের অভিযোগ করে তার পরিবার। তবে সেদিন সন্ধ্যায় ফরহাদ মজহারকে খুলনার হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এ ঘটনাকে জানান, ফরহাদ মজহার স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন, সরকারকে বিব্রত করার জন্য। কিন্তু সম্প্রতি ফরহাদ মজহার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ করেন, তাঁকে অপহরণ করে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো। এবং ডিবি অফিসে তাকে তাদের পছন্দ অনুযায়ী স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছিলো।
বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী সৈয়দ সাদাত আহমেদ
২২ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল তিনটার সময়ে বনানী ওভারপাসের নিচে একটি মাইক্রোবাস থেকে থাকা বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী সৈয়দ সাদাত আহমেদ ও তার ছেলের পথরোধ করার অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
স্বজনরা জানান, মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন এসে সাদাতকে জোর করে নামিয়ে তাদের গাড়িতে তুলে নেয়। আর সাদতের গাড়ির চালকের আসনে বসেন একজন।
দুইটি গাড়ি কুড়িল বিশ্বরোডের তিনশ ফুট রাস্তা দিয়ে পূর্বাচলে গিয়ে থামে। সাদাতের গাড়িতে ওই সময়ও তার ছেলে মেহেদি ও কেয়ারটেকার ছিলেন। পরে পূর্বাচলে সাদাতের গাড়ি থেকে ওই ব্যক্তি নেমে যান। সাদাত ১৫ মিনিট পর ফিরে আসবেন বলে তার ছেলেকে বলে গিয়েছিলেন। তবে তখন থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন তার স্ত্রী।
এদিকে চার মাসের বেশি সময় পর গতকাল শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের রমনা থানার নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলা নম্বর ৮। আজ রবিবার সকালে তাকে ওই মামলায় আদালতে পাঠানো হবে।
অপহরণের ৭৯ দিন পর অনিরুদ্ধ রায়ের ফেরা
ব্যবসায়ী ও বেলারুশের অনারারি কনসাল অনিরুদ্ধ রায়কে ২৭ আগস্ট বিকালে গুলশানের ইউনিয়ন ব্যাংকের সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয়। এ সময় তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক সঙ্গে ছিলেন। চালক তখন বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানান। পরে গুলশান থানায় একটি জিডি করেন অনিরুদ্ধের ভাগ্নে কল্লোল হাজরা।
পুলিশ যখন এই ঘটনার কোনো কূল কিনারা করতে পারছিল না, তখন ৭৯ দিনের মাথায় বাড়ি ফিরেন অনিরুদ্ধ। পরে গণমাধ্যমে একটি খোলা চিঠি পাঠান তিনি। জানান, তার অনুপস্থিতিতে তার অফিস থেকে জরুরি নথিপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
অনিরুদ্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা চেয়েছেন। তবে তিনি কোথায় ছিলেন এবং কীভাবে ফিরেছেন এ বিষয়টি এখনও জানা যায়নি।
বিজেপির নতুন নেতা মিঠুন চৌধুরী ও আশিক ঘোষ
২৭ অক্টোবর রাতে রাজধানী থেকে নিখোঁজ হন নবগঠিত দল বাংলাদেশ জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি মিঠুন চৌধুরী এবং এই জোটের নেতা আশিক ঘোষ। ওইদিন রাতে সূত্রাপুর থানার ফরাশগঞ্জে প্রিয় বল্লব জিউর মন্দির গেট লেবুপট্টি মার্কেটের সামনে থেকে একটি কালো গাড়িতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে দাবি করছে পরিবার। প্রায় আড়াই মাসেও মেলেনি তাদের সন্ধান।
নিখোঁজের সাতদিন পর ফিরলেন আইএফআইসি ব্যাংক কর্মকর্তা
গত ২৩ আগস্ট থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় আইএফআইসি ব্যাংকের কর্পোরেট কমিউনিকেশন ও ব্র্যান্ডিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদের।
সেদিন শামীম আইএফআইসি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে থেকে ‘খানাবাসমতি’ নামের একটি রেস্টুরেন্টের উদ্দেশে বের হয়। এরপরে তিনি আর ফিরে আসেননি। অনেক খোঁজাখুজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ।
এ ঘটনায় পরদিন পল্টন মডেল থানায় জিডি করেন তার স্ত্রী শিল্পী আহমেদ। তবে সাতদিন পর ৩০ আগস্ট অক্ষত অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসেন শামীম। তিনিও নিখোঁজের বিষয়ে সাংবাদিক কিংবা পুলিশকে কিছুই বলেননি।
সূত্র: ঢাকা টাইমস