সোহাগ বললেন, সুইডেন প্রবাসি ভাইদের টাকায় ছাত্রলীগ সভপতি হবার আগেই বাড়িটি নির্মাণ হয়েছে। এখানে তার চাকুরীজীবি বাবা মার টাকা যুক্ত হলেও তার নিজের এক বস্তা সিমেন্টও দেওয়া হয়নি। যে খবর এসেছে তা সত্য নয়।
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি হওয়ার পর সফলভাবে সংগঠনটি পরিচালনা করলেও কিছু বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি। এমনকি দলীয় ফোরামে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এত টাকা এবং বিলাসী জীবনযাপনের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এরপর ছাত্রলীগের নতুন কমিটির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠে একটি অংশ। বিষয়টি আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ ফোরামেও আলোচিত হয়েছে।
শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের সংগঠনটির ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত র্যালী শুরুর আগে নতুন সম্মেলনের সময় সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, আগামী মার্চেই ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হবে জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে।
এদিকে, পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ছাত্রলীগ সভাপতির বিত্তবৈভবের মালিক বনে যাওয়ার কাহিনী। বিশেষ করে ছাত্রলীগ সভাপতি হওয়ার মাত্র ২ বছরের মাথায় বিলাসবহুল বাড়ি তৈরির বিষয়টি নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড়ও সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সব মহলে। মাদারীপুর সদরে সোহাগ প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা খরচ করে নতুন এ বাড়ি তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। ৫ তলা ডুপ্লেক্স বাড়ি তুলেছেন সোহাগের পরিবার। বাড়ির কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ১ মাস আগে।
এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, মাদারীপুরের সবচে অভিজাত বাড়িটির মালিক এখন সাইফুর রহমান সোহাগ। ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পরই তিনি যেন আলাদীনের চেরাগ পেয়ে যান। ডুপ্লেক্স এই বাড়িটির পাশেই ছাত্রলীগ সভাপতির আগের টিনশেড বিল্ডিং এখনো রয়েছে। নতুন বাড়িটি দেখতে এলাকার মানুষরা এখন ভিড়ও করছেন বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি।
উল্লেখ্য, সাইফুর রহমান সোহাগের পিতা এইচ এম আবদুর রহমান একজন শিক্ষক এবং মা সমাজ সেবী মর্জিনা খানম পেশা অবসরপ্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ সহকারী। তিন ভাইয়ের মধ্যে সাইফুর রহমান সোহাগ ২য়। তার বড় ভাই মাহবুবুর রহমান সোহেল সুইডেনের লিনিয়াস ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করেছেন। তিনি ছাত্রলীগের সুইডেন শাখার সক্রিয় কর্মী। সাইফুর রহমান সোহাগের আরেক ভাই আরিফ হোসেন সুমন সুইডেন যুবলীগের কার্যকরী সদস্য।
নতুন অভিজাত বাড়ির বিষয়ে জানতে চেয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এ প্রতিবেদক বিকাল ৫ টা ৪০ মিনিটে নিউজ সংক্রান্ত মন্তব্য চেয়ে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি তার জবাব দেননি। পরবর্তীতে সোহাগ পূর্বপশ্চিমকে জানিয়েছেন, আমার দুই ভাই প্রবাসী এবং বাবা-মায়ের টাকায় এ বাড়ি করা হয়েছে। ছাত্রলীগ সভাপতি হওয়ার আগেই বাড়ির কাজ শুরু হয়েছিল এবং শেষও হয়েছে।
সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি