যশোরের শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামানের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় ৩ সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হয় বিজিবি সদস্যরা।
শনিবার বেলা ১টার সময় অভিযান চালিয়ে এ বিপুল পরিমানে অস্ত্র উদ্ধার ও তিন সন্ত্রাসীকে অটক করে বিজিবি সদস্যরা।
আটককৃতরা হচ্ছে, বেনাপোল পোর্ট থানার ভবের বেড় গ্রামের শাহজাহানের ছেলে মধু (২৬) একই গ্রামের গোলাম কবীরের ছেলে এরশাদ(২৮) এবং নারায়নপুর গ্রামের আব্বাসের ছেলে আবু জাহের রনি (২৫)।
বেনাপোল কোম্পানি সদরের সুবেদার শহিদ জানান, তাদের কাছে গোপন সংবাদ আসে যে, বন্দরের নাশকতার উদ্দেশ্যে নুরুজ্জামানের বাড়ির মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী বিপুল পরিমান অস্ত্র ও বোমা মজুদ করেছে। এমন খবরের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কয়েকজন সন্ত্রাসী দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময়ে ১৪টি শক্তিশালী হাত বোমা, ৪টি রামদা ও ৭টি লোহার রডসহ ৩ জনকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, বেনাপোল বন্দর এলাকায় রড় ধরনের নাশকতা মূলক কর্মকাণ্ডের জন্য এ সব অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা প্রস্তুত হচ্ছিল। শার্শার শীর্ষ জনপ্রতিনিধির মদদে বন্দরে কাজকর্ম ব্যহত করে সরকারকে বিব্রত করতেই শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান ও তার ভাই সন্ত্রাসী অহিদ বেশ কিছুদিন ধরে বন্দরে নাশকতা করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এ লক্ষে তারা এলাকার চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কাগজ পুকুরের আমিরুল, রঘুনাথপুর গ্রামের নাসির, ভবারবেড় গ্রামের মোহাম্মাদ আলী, ইমরান, বেনাপোল গ্রামের মন্টু, অপু, খড়িডাঙ্গা গ্রামের হামজার, বড় আঁচড়ার জসিম, বারোপোতার দলিল, শিকড়ীর সবুর গংদের নিয়ে বারবার গোপন বৈঠক করেছে। গতকাল তারা নাশকতা সৃষ্টির লক্ষে অস্ত্র শস্ত্র মজুদ করে। এর আগেও বেশ কয়েকবার স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির মদদে নুরুজ্জামান ও অহিদের নেতৃত্বে বন্দরে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং ৫২ দিন বন্দরের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ থাকে। যার ফলে সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন ও কোটি কোটি টাকা লোকশান হয়।
বন্দর ব্যবহারকারীদের দাবি, এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিয়ে এদের শিকড় সমুলে উৎপাটন না করলে বন্দরের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হবে। সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ার পাশপাশি বন্দরআর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়বে।
সূত্র: শীর্ষনিউজ