ভারতের মাওলানা সাদ কান্দলভিকে নিয়ে আপত্তি তুলে একটি পক্ষ বিশ্ব ইজতেমা পাকিস্তানে সরিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন তাবলিগ জামাতের একদল মুরুব্বি।
রোববার বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় এ অভিযোগ করেন তাবলিগ জামাত ও বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বি সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. রফিকুল ইসলাম।
এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১২ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি দফার শেষ দিনে আখেরি মোনাজাত হবে।
মুরুব্বি রফিকুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হেফাজতে ইসলামের অনুসারীরা চান না টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় ভারতের মাওলানা সাদ সাহেব আসেন। তিনি যদি না আসেন, তবে এটা বিশ্ব ইজতেমা থাকবে না। এটা হবে আমাদের স্থানীয় ইজতেমা, পাকিস্তানি ম্যানেজড ইজতেমা।
“অনেক বিদেশি ও দেশের মুসল্লিরা জানিয়েছেন, সাদ সাহেব যদি বিশ্ব ইজতেমায় অংশ না নিতে পারেন তবে তারা এ ইজতেমায় অংশ নেবেন না। এটা পাকিস্তানে সরিয়ে নিতে একটা চাল।”
এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে গাজীপুর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এমএ মান্নান, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এম বজলুল করিম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি রফিকুল ইসলাম, মো. গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মাওলানা সাদের বিষয়টি নিয়ে গত বছরের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রস্থল ঢাকার কাকরাইলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে এ নিয়ে পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠন হয়। তাবলিগ জামাতের মজলিশে শূরা সদস্যদের মধ্যে কোনো বিষয়ে দ্বিমত হলে তার সমাধান এই উপদেষ্টা কমিটি করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় মওলানা সাদের বিষয়টি তাবলিগ জামাতের মুরুব্বিদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের অনুরোধ জানান সেখানে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক।
সূত্র: বিডিনিউজ