বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের সার্টিফাইড কপি নিয়ে সরকার ‘ছলচাতুরি’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, রায় হয়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি। রোববার, সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার গেল- এখন পর্য়ন্ত রায়ের কপি পাওয়া যায়নি। এই যে ছলচাতুরি করা- এটা করার অর্থই হলো যে, যতদিন পারা যায়, একটা দিন যদি বেশি রাখা যায় বেগম জিয়াকে জেলখানায়। এই যে প্রতিহিংসামূলক মনোভাব এটা বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তাকে আরো কমিয়ে দিয়েছে।
খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, যখনই রায়ের নকল পাব, আমরা আপিল ফাইল করব। সাথে তার (খালেদা জিয়া) জামিন চাইব।
খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্জনকারাবাসে রাখা সংবিধান, বিদ্যমান আইন ও জেল কোডের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে প্রতিহিংসার বিচারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
মওদুদ আহমদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে সরকার রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে। এর মাধ্যমে সমঝোতার সমস্ত দ্বার সরকার বন্ধ করে দিয়েছে।
এখন আমাদের কাছে দুইটি চ্যালেঞ্জ। একটি হলো- বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে বের করে নিয়ে আনা। আরেকটি- দেশে আন্দোলন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
তিনি বলেন, সরকারের যে ডিজাইন- তারা এক দলীয়ভাবে নির্বাচন করবে। সেজন্য বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে নেয়া, আমাদের সকলের বিরুদ্ধে হাজার হাজার অর্থাৎ ৭৫ হাজার মামলায় ১৮ লাখকে আসামি করা হয়েছে। এসব দমন-পীড়ন করে সরকার যদি মনে করে যে, দেশের জনগণ ও জাতীয়তাবাদী শক্তি দুর্বল হয়ে গেছে, এটা তারা মারাত্মক ভুল করবেন।
বিএনপি নির্বাচনে যাবে উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবার আওয়ামী লীগের খবর আছে।
সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবীর ব্যাপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, এনডিপির মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সূত্র: নয়াদিগন্ত