এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন থেকেই এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রায় প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রই পরীক্ষা শুরুর আগে পাওয়া গেছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন অ্যাপে। তবে আজ রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পরীক্ষা শুরুর আগে কোনও মাধ্যমেই প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে। আজ পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সঙ্গীত বিষয়ের পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হয় বেলা পৌনে ১টায়।
আর দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে আরবি, সংস্কৃত, পালি, কর্মমুখী শিক্ষা, কম্পিউটার শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, বেসিক ট্রেড, চারু ও কারুকলা বিষয়ের পরীক্ষা।
রবিবার পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট পর অর্থাৎ সোয়া সকাল ১০টায় কৃষি শিক্ষার ‘ক সেট’র প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপের একটি গ্রুপে ‘আমার আমি’ নামে একটি আইডি থেকে দেওয়া হয়। সঙ্গে দেওয়া হয় উত্তরপত্র। পরে ‘Aj’ নামের এটি আইডি থেকে একজন বলেন, ‘এখন দিয়ে লাভ কী?’
এছাড়া শনিবার রাত থেকেই ওইসব গ্রুপের অ্যাডমিনসহ অন্যরা বলেন, ‘কাল প্রশ্নফাঁস নাও হতে পারে। এছাড়া অন্য সব বিষয়ের পরীক্ষার মতো পরীক্ষার্থীদের এই পরীক্ষার প্রশ্ন কম চাইতে দেখা গেছে।’
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বিজ্ঞান বিভাগের ‘পদার্থবিজ্ঞান’, মানবিক বিভাগের ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা’ এবং বাণিজ্য বিভাগের ‘ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং’। এ পরীক্ষাটিতে শুধু পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগে পাওয়া যায়। ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত রসায়ন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা এবং ব্যবসায় উদ্যোগের মধ্যে শুধু রসায়নের প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় পরীক্ষার আগে।
এ বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় এসব বিষয়ের পরীক্ষা তুলনামূলক সহজ। কমন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রশ্নপত্রেরও চাহিদা বেশি থাকে।
পরীক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘আজ সকালে ৫ বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। বিকালে আরও ৮ বিষয়ের পরীক্ষা। মোট ১৩ বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেয় তিন ক্যাটাগরির পরীক্ষার্থী। এ কারণে এসব বিষয়ের প্রশ্নপত্রের চাহিদা কমে যায়।’
কথা বলতে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সাহাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন