সরকার গণতন্ত্রহীন দেশে লুটপাটের নামে জনগণের টাকা আত্মসাৎকে উন্নয়ন বলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় খরচে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করছেন, নৌকায় ভোট চাইছেন। সরকারি কর্মচারীদেরকে যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নির্বাচন কমিশন এসব দেখেও না দেখার ভান করে, সরকারকে সহযোগিতা করছে। উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি নিয়ে সরকারের আজকের কর্মসূচি বিকৃত তামাশা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে আওয়ামী লীগের যেকোনো কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের সাফল্য উদ্যাপন উপলক্ষে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। বিকেলে রাজধানীর নয়টি স্থান থেকে বের হবে আনন্দ শোভাযাত্রা, যা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হবে।
রিজভী বলেন, ‘গোটা ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট অচল হয়ে গেছে। জনজীবন হয়ে গেছে সম্পূর্ণভাবে স্থবির। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ রাস্তায় আটকা পড়ে আছে। সরকার বলছে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়—এমন কোনো কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না, অথচ উল্টো সরকারই জনদুর্ভোগ সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সত্যি আমরা আজব দেশে বাস করছি।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শাহবাগে অবস্থিত শহীদ জিয়া শিশুপার্কের নামও মুছে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। অন্যের অর্জনকে যারা আত্মসাৎ করে তারাই হচ্ছে ডাকাত, তারাই হচ্ছে দখলদার। আর আওয়ামী লীগের স্বভাবধর্মই তো সন্ত্রাসের বাতাবরণে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করা। তিনি বলেন, ‘অন্যায় আর পাপের সাগরে ডুবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি কি ভেবেছেন চিরদিন রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখবেন? আপনার অবৈধ ক্ষমতার মখমলের চেয়ারের চার পায়ে যে উইপোকা ধরেছে, সেটি আপনি টের পাচ্ছেন না। পতন কিন্তু বলে–কয়ে আসে না। উত্তরের কালবৈশাখী ঝড়ের মতো কখন যে সেই গদি উল্টে যাবে, তা অনুধাবন করতে পারছেন না।’
সূত্র: প্রথম আলো