রাজধানীর শাহবাগে শিশু পার্কের ফলক থেকে জিয়াউর রহমানের নাম তুলে দিতে সরকারের উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “এদেশে কোমলমতি শিশুদের জন্য যে শিশু পার্ক করেছিলেন জিয়াউর রহমান, আমরা গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, সেই পার্কের নামফলক থেকে তার নাম মুছে দিচ্ছে এই ভোটারবিহীন সরকার। এটা একেবারেই একটা ঘৃণ্য প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।”
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শিশু পার্কের ফলক থেকে জিয়ার নাম তুলে দেওয়া হবে বলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়ার শাসনামলে ১৯৭৯ সালে শাহবাগে শিশু পার্কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কয়েক দফা নাম বদলের পর ২০০৩ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের সময় এর নাম হয় শহীদ জিয়া শিশু পার্ক।
রিজভী বলেন, “অন্যের অর্জনকে যারা আত্মসাৎ করে তারাই হচ্ছে ডাকাত, তারাই হচ্ছে দখলদার। আওয়ামী লীগের স্বভাবধর্মই তো সন্ত্রাসের বাতাবরণে অন্যের সম্পদক আত্মসাৎ করা। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের এই উদ্যোগকে ধিক্কার জানাচ্ছি, নিন্দা জানাচ্ছি এবং তীব্র প্রতিবাদ করছি।”
সরকারকে এ উদ্যোগ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, “আমাদের সময় ডটকমসহ আরো কিছু অনলাইনে তারেক রহমান ও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নামে ঢালাওভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এসব অপপ্রচার চালাতে সরকারের একটা সেল হয়েছে, সেই সেল থেকে বিভিন্ন অনলাইনগুলোকে বলা হচ্ছে।
“বিভিন্ন অনলাইনে যে সংবাদ ছাপানো হচ্ছে এটা গোয়েন্দা নির্দেশিত সংবাদ। সরকারের বিশেষ সেল থেকে বিএনপিসহ সবার বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক কলঙ্ক দিয়ে নানারকম অপপ্রচার করা হচ্ছে। যেসমস্ত অনলাইন এরকম অপ্রচারের সাথে জড়িত আমি তাদের প্রতিও নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এটা সৎ সাংবাদিকতা নয়।”
নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বিডিনিউজ