• যোগাযোগ
শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুব্ধ বক্তব্যে ভরসা পাচ্ছে না আন্দোলনকারীরা

এপ্রিল ১১, ২০১৮
in Home Post, slide, বিশেষ অ্যানালাইসিস
Share on FacebookShare on Twitter

অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক

সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের নানা ঘটন অঘটনের পর অবশেষে এ সম্পর্কে সিদ্ধান্তমূলক বক্তব্য দিতে বাধ্য হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলনকারীদের তীব্র সমালোচনার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ ও অভিমান নিয়ে বলেন ‘কোটা পদ্ধতিই বাতিল’।

সরকারদলীয় সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানকের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনা হলো, একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ দিল, কেবিনেট সেক্রেটারিকে আমি দায়িত্ব দিলাম। তারা সে সময়টা দিল না। মানি না, মানব না বলে তারা যখন বসে গেল, আস্তে আস্তে সব তাদের সঙ্গে যুক্ত হলো। খুব ভালো কথা, সংস্কার সংস্কার বলে…সংস্কার করতে গেলে আরেক দল এসে বলবে আবার সংস্কার চাই। কোটা থাকলেই সংস্কার। আর কোটা না থাকলে সংস্কারের কোনো ঝামেলাই নাই। কাজেই কোটা পদ্ধতি থাকারই দরকার নাই। আর যদি দরকার হয় আমাদের কেবিনেট সেক্রেটারি তো আছেন। আমি তো তাঁকে বলেই দিয়েছি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বসে তাঁরা কাজ করবেন। সেটা তাঁরা দেখবেন। আমি মনে করি, এ রকম আন্দোলন বারবার হবে। আর বারবার এই আন্দোলনের ঝামেলা মেটাবার জন্য কোটাপদ্ধতি বাতিল। পরিষ্কার কথা। আমি এটাই মনে করি, সেটা হলো বাতিল।’

এদিকে সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থাই তুলে দেওয়া সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সে বিষয়ে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে বলে জানিয়েছে আন্দোলন চালিয়ে আসা শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।

আন্দোলনকারী ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমরা শুনেছি। রাতে বসে আমরা কেন্দ্রীয় কমিটি এই বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা, আইন, ন্যায়নীতি বিশ্লেষণ করে কাল সকাল ১০টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে সিদ্ধান্ত জানাব।’

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এমন ক্ষোভ ও অভিমান মিশ্রিত বক্তব্যে আস্থা পাচ্ছেন না আন্দোলনকারীরা। তারা এতে অন্য কিছুর গন্ধ পাচ্ছেন। কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার না করে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে রেগেমেগে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করলেন তাতে তার বক্তব্য নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের তৈরি হয়েছে।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা আন্দোলন করছেন কোটা সংস্কারের জন্য, তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি রয়েছে। সেখানে কোথাও পুরো কোটা পদ্ধতিই বাতিলের কথা নেই। আর পুরো কোটা পদ্ধতিই বাতিল হোক সেটা তারা চাচ্ছেনও না। মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, নারীসহ সহনীয় মাত্রায় ১০ শতাংশ কোটা রাখার পক্ষে তারা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে পুরো কোটা পদ্ধতিই বাতিল করবেন বলায় এ নিয়ে সন্দেহ ও অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। আন্দোলনে অংশ নেয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, কোটা পদ্ধতি পুরোপুরি বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। এমনটা হলে তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংবিধানে যাদের কোটা সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তা বহাল রাখতেই হবে। দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমান সুযোগ দিতে সংবিধানের নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। কারণ, দেশে এখনও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও ভৌগলিক কারণে সুবিধা বঞ্চিত যেসব মানুষ রয়েছে, তাদের সুবিধা দিতেই হবে। তাই সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, এমন কোটা বাদ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জানান, ‘পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, কোটা বাতিল করা হলে আমরা মানবো না, কারণ সংবিধানের ২৯(৩),(খ) ধারায় অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা ব্যবস্থার বৈধতা দেয়া হয়েছে! আমরা শুধুমাত্র যৌক্তিক সংস্কার চাই! কোটা পুরোপুরি বাতিল করা হলে পরে দেখা যাবে হাইকোর্ট সেই আদেশ স্থগিত করবে, তখন এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তটি আদালতের উপর চলে যাবে। আদালতের বিরুদ্ধে আন্দোলন করাও সম্ভব হবে না।’

সরকার পুরো বিষয়টিকে আদালতে নিয়ে গিয়ে আন্দোলন দমনের পরিকল্পনা করছে বলেই ধারনা আন্দোলনকারীদের। প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের মন্ত্রী, সচিব ও এমপিদের সাম্প্রতিক বক্তব্য আর আজকের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে ব্যাপক ফারাক থাকাটাই এমন সন্দেহ তৈরির মূল কারণ।

গত ২১ মার্চ চট্টগ্রামে দলীয় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের জন্যই আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি এ কথা ভুললে চলবে না। তাদের ছেলে-মেয়ে, নাতি-পুতি পর্যন্ত যাতে চাকরি পায় তার জন্য কোটার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমাদের এ বিশেষ ব্যবস্থা করতেই হবে।’ ২০ দিন আগের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর আজকের বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল কোটাই তুলে দেয়ার কথায় কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছেন না আন্দোলনকারীরা।

একটি সূত্র অ্যানালাইসিস বিডিকে জানায়, প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র হিসাবেই দেখে আসছিলেন। গত রবিবার রাতে দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তিনি দলের অপর নেতাদের কাছে জানতেও চেয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামা এরা কারা? এদের পারিবারিক পরিচয় কী? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহনকারী পরিবারের কোনও সন্তান এই আন্দোলনে জড়াতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টদের। এমন অবস্থায় আন্দোলনকারীদের দাবি এত সহজে তিনি মেনে নিবেন তা কখনো ভাবা যায় না।

এছাড়া গত সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান বলেছিলেন, ‘দেশে বিদ্যমান সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থা সংস্কারে আপাতত কোনো ভাবনাচিন্তা সরকারের নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থাকে সমর্থন করেন। তিনি মনে করেন এটাই থাকা উচিত।’

একইদিন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কোটা সংকুচিত করার দাবির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘পৃথিবীর দেশে দেশে মুক্তিযোদ্ধা, দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী, যারা লড়াই করে, জীবন দেয়, জীবনকে বাজি রাখে তাদের জন্য সুযোগ রাখে। এটা নতুন কিছু না। যারা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছে তাদের ছেলে মেয়ে কিংবা বংশধরদের আরেকটি সিঁড়ি সুযোগ পাবে না? ওই রাজাকারের বাচ্চারা সুযোগ পাবে? তাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ কোটা সংকুচিত করতে হবে?’

এদিকে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য নির্ধারিত কোটার সংস্কার হলে বিকেলে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছিলো মুক্তযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিল করার ঘোষণা দিলেও তাদের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়ামূলক কোনো বক্তৃতা বা বিবৃতি দেয়া হয়নি। এ নিয়েও আন্দোলনকারীদের মনে সংশয় দেখা দিয়েছে। সরকারের গোপন পরিকল্পনা সম্পর্কে তারা অবগত বলেই প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পরও তারা নিশ্চুপ বলে মনে করছেন অনেকে।

এমন আশঙ্কা আর অবিশ্বাসের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তাদের অধিকাংশই মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সবকিছু পরিস্কার নয়। পুরো কোটা পদ্ধতিই বাতিলের ঘোষণায় কোনো চক্রান্ত লুকায়িত রয়েছে। তারা কোটার সংস্কার চান, বাতিল চান না। আর এ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তই জানতে চাইবেন তারা। তারা কোনো ফাঁদে পা দিতে চান না।

সম্পর্কিত সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে
Home Post

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য
Home Post

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক
Home Post

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫

জনপ্রিয় সংবাদ

  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • একজন বীর শহীদ তিতুমীর: মুসলিম জাতির প্রেরণা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রক্তাক্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বিচার গণহত্যার দিন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির যত মামলা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • সেঞ্চুরিয়ান মানিক ও জাবির সেই সময়ের ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫
ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

মার্চ ১৯, ২০২৫
কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

মার্চ ১৬, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD